বিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হযরত ইসমাঈল হাক্কী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১১২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ান’ উনার মধ্যে এবং বিশ্বখ্যাত ইমাম ও মুজতাহিদ, ছূফী, ফক্বীহ, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফখরুল আউলিয়া ওয়াল মাশায়িখ আল্লামা হযরত ইমাম আবুল ফারাজ নূরুদ্দীন আলী ইবনে বুরহানুদ্দীন হালাবী মিছরী ক্বাহিরী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৯৭৫ হিজরী শরীফ এবং বিছাল শরীফ ১০৪৪ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত সীরাতগ্রন্থ ‘আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ শরীফ’ উনার মধ্যে বলেন,
عَنْ كِتَابِ الْاِ বাকি অংশ পড়ুন...
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি যখন হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম উনার নিকট চিঠি পাঠালেন সম্মানিত ঈমান গ্রহণ করার জন্য, তখন হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি উনার অনেক সেনাপতি এবং সৈন্য-সামন্তসহ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে সম্মানিত ঈমান গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাদের দুজনের মধ্যে বিশেষ কথোপকথন মুবারক হয়। এক পর্যায়ে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,
وَيْحَكِ يَا حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَفْنَيْتِ شَبَابَكِ فِىْ عِبَادَةِ الشَّمْسِ مِنْ دُوْنِ اللهِ قَال বাকি অংশ পড়ুন...
১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘আহ্ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম তিনি তনি হচ্ছেন ‘আর রবি‘আহ্ অর্থাৎ চতুর্থ’। সুবহানাল্লাহ! তিনি সকলের মাঝে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন বাকি অংশ পড়ুন...
উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে যে, যিনি মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে কোন ঘরে অথবা মসজিদে অথবা মহল্লায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় সে স্থান অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার ফেরেশতাগণ বেষ্টন করে নেন। আর উনারা সে স্থানের অধিবাসীগণের উপর ছলাত-সালাম পাঠ করতে থাকেন।
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টি বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক এবং সম্মানিত ইলিম মুবারক ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকে বেনিয়ায করে, পবিত্র করার মতো পবিত্র করে, সমস্ত প্রকার সম্মানিত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করে এবং সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্ বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খ্বালিক্ব মালি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
تُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْـرَةً وَّاَصِيْلًا
অর্থ: “তোমরা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী। সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)
আর হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বল বাকি অংশ পড়ুন...
শুধু তাই নয়, ঘরে বাইরে সবখানেই উনারা ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করতেন, একাকী যেমন করতেন তদ্রƒপ মজলিসের মাধ্যমেও করতেন। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজগৃহে সমবেত ছাহাবীগণ উনাদেরকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করছিলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করছিলেন এবং ন বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বিতীয় অংশ হচ্ছেন-
وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْرًا
‘মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে চান। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ!
ক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার লুগাতী বা আভিধানিক অর্থ বিলাদত (জন্ম) শরীফ উনার সময়। আর ইছতিলাহী বা ব্যবহারিক অর্থ সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খাতামুন নাবিয়্যীন রহমতুল্লিল আলামীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা এবং এ উদ্দেশ্যে উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা, উনার শান মুবারকে ছলাত শরীফ পাঠ করা, সালাম মুবারক পেশ করা এবং উনার মুহব্বত-মা’রিফাত, তায়াল্লুক, নিসবত, যিয়ারত ও সন্তুষ্টি মুবারক কামনা করা। উম্মত হিসেবে যা হাছিলের জন্য কোশেশ করা ফরযে বাকি অংশ পড়ুন...












