خِلَافَةٌ (খিলাফত) শব্দ মুবারকখানা আরবী। উনার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- প্রতিনিধিত্ব করা, স্থলাভিষিক্ত হওয়া। মূলকথা হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নায়িব হয়ে উনার যাহিরী-বাতিনী প্রতিনিধিত্ব করা। عَلـٰى (আলা) অর্থ হচ্ছে- উপর। مِنْهَاج (মিনহাজ) অর্থ হচ্ছে- সিঁড়ি, পদাঙ্ক, পথ ইত্যাদি। اَلنُّـبُوَّة (আন নুবুওওয়াহ্) এখানে নুবুওওয়াত বলতে সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক ও রিসালত মুবারক উনাদেরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে। সুতর বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
قَدْ جَآءَكُمْ مِّنَ اللهِ نُـوْرٌ وَّكِـتٰبٌ مُّبِيْـنٌ
অর্থ: “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক এবং সুস্পষ্ট কিতাব এসেছেন। ” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)
এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক’ দ্বারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আল বাকি অংশ পড়ুন...
শারহুয যারক্বানী, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, তারীখুল খ¦মীস, মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্ এবং মাছাবাতা বিস সুন্নাহসহ আরো অন্যান্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছেন,
قَالَ حَضْرَتْ اِبْنُ الْجَزْرِىِّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَاِذَا كَانَ هٰذَا الْكَافِرُ اَلَّذِىْ نَزَلَ الْقُرْاٰنَ بِذَمِّهٖ جُوْزِىَ فِى النَّارِ بِفَرْحِهٖ لَيْلَةَ مَوْلِدِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهٖ فَمَا حَالُ الْمُسْلِمِ الْمُوَحِّدِ مِنْ اُمَّتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسُرُّ بِمَوْلِدِهٖ وَيَبْذُلُ مَا تَصِلُ اِلَيْهِ قُدْرَتُهٗ فِىْ مَحَبَّتِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعُمْرِىْ اِنَّمَا يَكُوْنُ جَزَاؤُهٗ مِنَ اللهِ الْكَرِيْمِ اَنْ يَّدْخُلَهٗ بِفَضْلِهِ الْعَمِيْمِ جَنَّاتِ الن বাকি অংশ পড়ুন...
কেউ যদি কুফরী করে, তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যায়। কিন্তু আবূ লাহাব যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছে, সে হাজার কুফরী করার পরও তার এই আমলটি বরবাদ হয়নি। সে জাহান্নামী হওয়া সত্তে¡ও প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) সপ্তাহে ১ দিন তাকে আযাব থেকে রুখছত দেয়া হয় এবং তার শাহাদাত ও বৃদ্ধ আঙ্গুলের মাঝখান থেকে ঠান্ডা শীতল পানি প্রবাহিত হয়, সেটা সে পান করে। ফলে তার ১ সপ্তাহের আযাব তার শরীর থেকে দূর হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! সে সেদিন শান্তিতে থাকে। তাহলে একজ বাকি অংশ পড়ুন...
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “৬ষ্ঠ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে রবীউছ ছানী শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাতে) নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যি বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاَيْتُ اَبَا لَـهَبٍ فِـى النَّارِ يَصِيْحُ اَلْعَطَشَ اَلْعَطَشَ فَيُسْقٰى مِنَ الْمَاءِ فِـىْ نُقْرِ اِبْـهَامِهٖ فَقُلْتُ بِـمَ هٰذَا فَقَالَ بِعِتْقِىْ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اُمَّ الرَّضَاعَةِ الْاُوْلـٰى عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ ثُوَيْبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) لِاَنَّـهَا اَرْضَعَتْكَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আবূ লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে- পানি! পানি! পিপাসা! পিপাসা! ত বাকি অংশ পড়ুন...
আসুন এবার আমরা দেখি, হাফিযে হাদীছ আল্লামা হযরত কুস্তালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উপরোক্ত বক্তব্য মুবারক থেকে কি সব বিষয় প্রমাণিত হচ্ছে-
১) পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাসে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠান করা মুসলিম মিল্লাতের ঐতিহ্যবাহী তরীক্বা।
২) মুসলিম জাহান এই মহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার রাতে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে এবং দান-ছদকা করে আসছে!
৩) মহান রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে ঈদ পালন করা মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী আমল।
৪) পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার রাতে অধিক থেকে অধিক হারে নেক কাজ করা মুসলমানদের একটি প্রিয় তর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ.
অর্থ: “আর (আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনার সম্মানিত যিকির মুবারক, সম্মানিত আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলাম নাশ্রহ্ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত যিকির মুবারক, আলোচনা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর বাকি অংশ পড়ুন...
(৩) মিশর ও সিরিয়াবাসীগণ উনাদের পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন:
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিলে সবচাইতে অগ্রগামী ছিলেন মিশর ও সিরিয়াবাসী। মিশর সুলতান প্রতি বছর পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান রাত্রে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল উনার আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতেন। ইমাম হযরত সামছুদ্দীন সাখাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, ‘আমি ৭৮৫ হিজরী সনে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান রাতে সুলতান বরকুকের উদ্যোগে আল জবলুল আলীয়া নামক কেল্লায় আয়োজিত মীলাদ শরীফ মাহফিলে হাজির হয়েছিলাম। ওখানে আমি যা কিছু দ বাকি অংশ পড়ুন...
ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আবূ লাহাব কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী এটা সবাই জানে। তার ধ্বংস সম্পর্কে স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ অর্থাৎ সূরা লাহাব নাযিল করেছেন। আবূ লাহাবের যে মূল ওয়াকেয়াটা, এটা মানুষ যদি ফিকির কর বাকি অংশ পড়ুন...












