মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ এমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আমল মুবারক যেই আমল মুবারক উনাকে হাজার কুফরীও মেটাতে পারে না
, ২১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৯ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আবূ লাহাব কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী এটা সবাই জানে। তার ধ্বংস সম্পর্কে স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ অর্থাৎ সূরা লাহাব নাযিল করেছেন। আবূ লাহাবের যে মূল ওয়াকেয়াটা, এটা মানুষ যদি ফিকির করে, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ উনার যে কতটুকু ফযীলত, গুরুত্ব, মর্যাদা-শান মুবারক সেটা সহজেই বুঝতে পারবে। এই ওয়াকেয়াটা বুখারী শরীফ, ফতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারীসহ আরো অনেক কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশুদ্ধ বর্ণনা। আবূ লাহাবের মূল ওয়াকেয়াটা হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন, তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছুওয়াইবাহ্ আলাইহাস সালাম) তিনি আবূ লাহাবের অধীনে ছিলেন। নূূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন, তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি উনাকে দেখে অত্যন্ত খুশি হয়ে আবূ লাহবের কাছে যেয়ে বিষয়টা বললেন- আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার একজন অত্যন্ত সম্মানিত খুবছূরত নূরের টুকরা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ তিনি যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা শুনে আবূ লাহাব নূূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখার জন্য আসলো। সে উনাকে দেখে খুব খুশি প্রকাশ করলো। উনার অনেক ছানা-ছিফত মুবারক করলো। শুধু এতোটুকু না; সে চিন্তা করলো, তাহলে তো উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করতে হবে। তখন সে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে বললো- ঠিক আছে; তাহলে আপনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন, উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুধ মুবারক পান করান। উনি তো তার অধীন। সে হাতের দুই আঙ্গুলি অর্থাৎ অনামিকা আঙ্গুল ও বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা ইশারা দিয়ে উনাকে মুক্ত করলো এবং বললো- আপনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এমনকি তখন সে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে মূল্যবান একখানা আংটিও হাদিয়া করলো। এর মাধ্যমে সে এই যে সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা-
وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ
‘খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দাও, সম্মান করো এবং ছানা-ছিফত মুবারক করো।’
আবূ লাহাব সবটাই করলো। কিন্তু পরে সে ইস্তিক্বামত থাকতে পারেনি। সে কুফরী করে। তার ধ্বংস ঘোষণা করে স্বয়ং খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ অর্থাৎ সূরা লাহাব নাযিল করেন। সে কাফির অবস্থায় মারা যায়। আবূ লাহাব একটা কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী। কিন্তু তারপরেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুসংবাদ মুবারক শুনে খুশি মুবারক প্রকাশ করে সে তার দুই আঙ্গুল দ্বারা ইশারা দিয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুর রদ্বা‘আহ্ আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে আযাদ করে দিয়েছিলো। আর সেই দিনটি ছিলেন, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার)। এই কারণে প্রতি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ সপ্তাহে ১ দিন তাকে আযাব থেকে রুখছত দেয়া হয় এবং তার শাহাদাত ও বৃদ্ধাঙ্গুলের মাঝখান থেকে ঠান্ডা শীতল পানি প্রবাহিত হয়। এটাই সে চুষে চুষে পান করে। ফলে তার এক সপ্তাহের আযাব হালকা হয়ে যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) যদি তাই হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কত বেমেছাল ফযীলত মুবারক সেটা সমস্ত সৃষ্টির চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
(অপেক্ষায় থাকুন)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আবূ আহমাদ ছিদ্দীক্বাহ্।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৮)
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ই’জায শরীফ
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৭)
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৬)
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৫)
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জান্নাতী ইমাম, সাইয়্যিদুল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহনাওয়াসা আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (৪)
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো ‘বাশার’ বা মানুষ বলা কাট্টা কুফরী
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(৩)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ‘আল মানছূর’ লক্বব মুবারক উনার অর্থ মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যদিুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহসি সালাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বশিষে শান মুবারক
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)