বিখ্যাত ঐতিহাসিক ও বিশ্বপরিব্রাজক ইবনে বতুতা তিনি স্বীয় চোখে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে মহাসমারোহে মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন হতে দেখেছেন। যা তিনি উনার কিতাবে বর্ণনা করেছেন। যেমন তিনি উল্লেখ করেন-
ويفتح الباب الكريم فى كل يوم جمعة بعد الصلاة ويفتح فى يوم مولد رسول الله صلى الله عليه وسلـم
অর্থ: পবিত্র কা’বা শরীফ উনার দরজা মুবারক খোলা হতো প্রত্যেক ইয়াওমুল জুমুয়া বা জুমুয়াবার পবিত্র জুমুয়ার নামাযের পর এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লøাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ দিবস তথা মহাসম্মানিত ১২ই রবী বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ نَادٰى مُنَادٍ يَا مُحَمَّدُ قُمْ فَادْخُلِ الْـجَنَّةَ بِغَيْـرِ حِسَابٍ فَيَقُوْمُ كُلُّ مَنِ اسْـمُهٗ مُحَمَّدٌ وَيَتَوَهَّمُ اَنَّ النِّدَاءَ لَهٗ فَلِكَرَامَةِ سَيِّدِنَا مَوْلـٰـنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُـمْنَعُوْنَ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিবেন- ‘হে মুহম্মদ’! উঠো, অতঃপর বীনা হিসাবে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে প্রবেশ কর বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কালাম এবং উক্ত কালাম মুবারক উনার ব্যাখ্যায় রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিই স্পষ্ট ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে সরাসরি দেখেছেন।
এ প্রসঙ্গে আরো বর্ণিত আছে-
عن عكرمة عن ابن عباس رضي الله عنه قال: "أتعجبون أن تكون الخلة لإبراهيم والكلام لموسى، والرؤية لمحمد صلى الله عليه وسلم"
হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ত বাকি অংশ পড়ুন...
شَارعِ ٌ (শারে’) শব্দ মুবারক আরবী (ش শীন-ر রা-ع আঈন) মূলধাতু থেকে ইসমে ফাইলের ছীগাহ। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, হুকুম প্রদানকারী, আইনদাতা, শরীয়ত প্রণেতা ইত্যাদি। যেমন বলা হয়,
مَا اَمَرَ بِهِ الشَّارِعُ عَلَى وَجْهِ الْاِلْزَامِ
‘সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা আবশ্যকতার ভিত্তিতে যা পালনের আদেশ করেন, (তাকে ওয়াজিব বলে)।’
মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা বা শারে’ বানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এ বিষয়ে দলীলভিত্তিক আলোচনা পেশ করা হলো: ম বাকি অংশ পড়ুন...
شَارعِ ٌ (শারে’) শব্দ মুবারক আরবী (ش শীন-ر রা-ع আঈন) মূলধাতু থেকে ইসমে ফাইলের ছীগাহ। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, হুকুম প্রদানকারী, আইনদাতা, শরীয়ত প্রণেতা ইত্যাদি। যেমন বলা হয়,
مَا اَمَرَ بِهِ الشَّارِعُ عَلَى وَجْهِ الْاِلْزَامِ
‘সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা আবশ্যকতার ভিত্তিতে যা পালনের আদেশ করেন, (তাকে ওয়াজিব বলে)।’
মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা বা শারে’ বানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
নিম্নে এ বিষয়ে দলীলভিত্তিক আলোচনা পেশ করা হলো: ম বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ وَحِيْدُ عَصْرِهٖ وَفَرِيْدُ دَهْرِهٖ اَلْاِمَامُ فَخْرُ الدِّيْنِ الرَّازِىُّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مَا مِنْ شَخْصٍ قَرَاَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مِلْحٍ اَوْ بُرٍّ اَوْ شَىْءٍ اٰخَرَ مِنَ الْـمَأْكُوْلَاتِ اِلَّا ظَهَرَتْ فِيْهِ الْبَرَكَةُ وَفِىْ كُلِّ شَىْءٍ وَصَلَ اِلَيْهِ مِنْ ذٰلِكَ الْمَأْكُوْلِ فَاِنَّهٗ يَضْطَرِبُ وَلَا يَسْتَقِرُّ حَتّٰى يَغْفِرَ اللهُ لِاٰكِلِهٖ وَاِنْ قُرِئَ مَوْلِدُ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى مَاءٍ فَمَنْ شَرِبَ مِنْ ذٰلِكَ الْـمَاءِ دَخَلَ قَلْبَهٗ اَلْفُ نُوْرٍ وَّرَحْمَةٍ وَخَرَجَ مِنْهُ اَلْفُ غِلٍّ وَّعِلَّةٍ وَلَا يَـمُوْتُ ذٰلِكَ الْقَلْبُ يَوْمَ تَـمُوْتُ الْقُلُوْبُ
অর্থ: “যুগের অনন্য ব্যক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী হাম্বলী ছিদ্দীক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৫১০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৫৯৭ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,
وَجَعَلَ لِمَنْ فَرِحَ بِمَوْلِدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِجَابًا مِّنَ النَّارِ وَسِتْرًا وَمَنْ اَنْفَقَ فِىْ مَوْلِدِهٖ دِرْهَمًا كَانَ الْمُصْطَفٰى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهٗ شَافِعًا وَّمُشَفَّعًا وَاَخْلَفَ اللهُ عَلَيْهِ بِكُلِّ دِرْهَمٍ عَشْرًا فَيَا بُشْرٰى لَكُمْ اُمَّةَ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقَدْ نِلْتُمْ خَيْرًا كَثِيْرًا فِى الدُّنْيَا وَفِى الْاُخْرٰى فَيَا سَعْدُ مَنْ يَّعْمَلْ لِسَيِّدِنَا مَوْلَانَا اَحْمَدَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَوْلِدًا فَيُلَقَّى الْهَنَا বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَوْحَى اللهُ اِلـٰى حَضْرَتْ عِـيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَـا حَضْرَتْ عِيْسٰى عَلَـيْهِ السَّلَامُ اٰمِنْ بِـسَيِّدِنَـا حَبِـيْـبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلـٰـنـَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاْمُرْ مَنْ اَدْرَكَهٗ مِنْ اُمَّتِكَ اَنْ يُّـؤْمِنُـوْا بِهٖ فَـلَوْلَا سَيِّدُنَا حَبِيْـبُـنَا شَفِيْـعُنَا مَوْلـٰنـَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَقْتُ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَوْلَا سَيِّدُنَا حَبِيْـبُـنَا شَفِيْـعُنَا مَوْلـٰنَـا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَقْتُ الْـجَنَّةَ وَلَا النَّارَ
অর্থ: “হযরত ই বাকি অংশ পড়ুন...












