সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা (২)
, ২৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০১ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّلَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَی اللهُ وَ رَسُوْلُهٗۤ اَمْرًا اَنْ یَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِیَرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ وَ مَنْ یَّعْصِ اللهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیْنًا.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যখন কোনো বিষয়ে ফায়ছালা মুবারক দান করেন, তখন কোনো মু’মিন পুরুষ-মহিলা কারো জন্য সে বিষয়ে মত পেশ করা জায়িয নেই। আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের অবাধ্যতা করলো সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে নিমজ্জিত হলো। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)
এখানেও একই কথা বলা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কোনো বিষয়ে ফায়ছালা মুবারক করলে কোনো মু’মিন-মু’মিনা কারো জন্য সেখানে মত পেশ করা জায়িয নেই। কেউ মত পেশ করলে সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে গোমরাহ হয়ে যাবে। মূল ফায়ছালার মালিক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা এখানে সে বিষয়টাকেই সুস্পষ্ট করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَلَا وَرَبِّكَ لَا یُؤْمِنُوْنَ حَتّٰی یُحَكِّمُوْكَ فِیْمَا شَجَرَ بَیْنَهُمْ ثُمَّ لَا یَجِدُوْا فِیْۤ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَیْتَ وَ یُسَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا.
অর্থ: “আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পরস্পরের ইখতিলাফের ব্যাপারে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নির্দেশ মুবারক, আপনার ফায়ছালা মুবারক মেনে না নিবে। (শুধু মেনে নিলেই চলবে না) তাদের অন্তরে কোনো সংকীর্ণতা অনুভব করতে পারবে না। শুধু অন্তরে সংকীর্ণতা অনুভব না করলেই চলবে না বরং আপনি যেটা ফায়ছালা মুবারক করবেন, সেটা মানার মতো মেনে নিতে হবে অর্থাৎ অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কোনো প্রকার চু-চেরা সংকীর্ণতা ছাড়াই মেনে নিতে হবে। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৫)
এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তোমরা যদি তোমাদের পরস্পরের ইখতিলাফের ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফায়ছালা মুবারক মেনে না নাও; শুধু মুখে মেনে নিলেই চলবে না অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কোনো প্রকার চু-চেরা ছাড়াই মেনে নিতে হবে। যদি মেনে না নাও তাহলে কস্মিনকালেও তোমরা ঈমানদ্বার হতে পারবে না। তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে, শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা সেটা বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেও সে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছেন।
যেমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-
عَن حَضْرَتْ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِىْ كَرِبَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَا هَلْ عَسَى رَجُلٌ يَبْلُغُهُ الْحَدِيْثُ عَنِّىْ وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى اَرِيْكَتِهِ فَيَقُوْلُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللهِ فَمَا وَجَدْنَا فِيْهِ حَلَالًا اِسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا فِيْهِ حَرَامًا حَرَّمْنَاهُ وَاِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا حَرَّمَ اللهُ
অর্থ: “হযরত মিকদাম ইবনে মা’দীকারিবা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাবধান! অতিসত্বর এমনসব লোকের উদ্ভব ঘটবে, যাদের নিকট আমার কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছবে আর তারা তাদের গদিতে হেলান দিয়ে বসে থেকে বলবে, আমাদের মাঝে এবং তোমাদের মাঝে তো মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাবই রয়েছে। তাতে আমরা যা হালাল হিসেবে পাব তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করব আর যা হারাম হিসেবে পাব তা হারাম মনে করব। কিন্তু (প্রকৃত অবস্থা হল এই যে,) নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করেছেন তা মহান আল্লাহ পাক উনার হারামকৃত বস্তুর মতই হারাম। ” (তিরমিযী শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২৬৬৪, ইবনে মাজাহ শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, আল আহকামুশ শরইয়্যাহ্ লিল ইসিবীলী ১/৩৩৪ ইত্যাদি)
-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ ব্যাপকভাবে পালনের ব্যাপারে আল্লামা হযরত মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রত্যাশা
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে সর্বোচ্চ নৈকট্য মুবারক এবং বেমেছাল মহাসম্মানিত নিসবত মুবারক ও মর্যাদা মুবারক উনাদের বহিঃপ্রকাশ
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
এক নযরে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বৎসর ভিত্তিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জিবনী মুবারক (১)
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক লেখার সময় পবিত্র দুরূদ শরীফ লেখার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (২)
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে বিশিষ্ট বুযূর্গ আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জামা‘আহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আমল মুবারক এবং প্রত্যাশা
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত-বরকত প্রাধান্য বিস্তার করেন, শান্তি-নিরাপত্তা বিরাজমান থাকে এবং তাৎক্ষণিকভাবে মক্বছূদ হাছিল হয়
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন তিনি (৫)
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক লেখার সময় পবিত্র দুরূদ শরীফ লেখার বেমেছাল ফযীলত মুবারক (১)
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও ছালেহ্ উনাদের সাথে হাশর-নশর
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন আমল মুবারক, যা কখনও বৃথা যাবে না
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন অত্যন্ত মর্যাদা সম্পন্ন আমল মুবারক, যা কখনও বৃথা যাবে না
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খাদ্যাভাব, মহামারী, অগ্নিকান্ড, ডুবে মরা এবং চুরি-ডাকাতি ইত্যাদি বালা-মুছীবত থেকে মুক্তি লাভ
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)