আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি সুন্নত মুবারক হলো খাবারের সময় দস্তরখানা ব্যবহার করা। দস্তরখানা চামড়ার এবং হালকা খয়েরী রংয়ের হওয়া সুন্নত।
যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানায় এক লোকমা খাবার খাবে, তার প্রতিটি লোকমার প্রতিদানে তাকে ১০০টি করে ছওয়াব দেয়া হবে। (হাদীছ শরীফ)
তাই খাবারের সময় সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করে রহমত বরকত হাছিল করতে সুন্নতী দস্তরখানা ব্যবহার করুন। সুন্নতী দস্তরখানা সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِيْهِمَا فَاكِهَةٌ وَنَحْلٌ وَرُمَّانٌ
অর্থ : “তথায় আছে ফল-মূল, খেজুর ও আনার।” (পবিত্র সূরা রহমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৮)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ رُمَّانٍ مِنْ رُمَّانِكُمْ هَذَا إِلَّا وَهُوَ مُلقَّحٌ بِحَبَّةٍ مِّنْ رُمَّانِ الْجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবার বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাস অন্যান্য মাসগুলোর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসের বহুবিধ তাৎপর্য রয়েছে। হিজরী মাসের দশম মাস পবিত্র শাওওয়াল শরীফ। এই মাস পবিত্র হজ্ব উনার তিনটি মাসের (পবিত্র শাওওয়াল শরীফ, পবিত্র যিলক্বদ শরীফ, পবিত্র যিলহজ্ব শরীফ) অন্তর্ভূক্ত। এ মাসের প্রথম তারিখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিন। পহেলা শাওওয়াল শরীফ তথা পবিত্র ঈদুল ফিতর ছুবহে ছাদিকের সময় ছদক্বাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়,তবে এ ছদক্বা বা ফিতরা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের মধ্যে আদায় করা উত্তম এবং অধিক ফযীলত লাভের কারণ। পবিত্র ঈদুল ফিতর উনার দিনে পবিত্র ঈদের নাম বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পাঁচটি স্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে পবিত্র যাকাত। পবিত্র যাকাত আর্থিক ইবাদত সমূহের মধ্যে অন্যতম ইবাদত।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
بُنِيَ الإِسْلامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالْحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ.
অর্থ: সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি পাঁচটি যথা- (১) সাক্ষ্য দেয়া যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে -
عن حضرت جابر بن عبد الله رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قال خرج النبى صلى الله عليه وسلم ذات ليلة فى رمضان فصلى الناس اربعة وعشرون ركعة واوتر بثلاثة.
অর্থ: হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার এক রাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (পবিত্র হুজরা শরীফ উনার) বাহিরে মহাসম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন। আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে নিয়ে ২৪ রাকায়াত (৪ রাকায়াত পবিত্র ইশা, আর ২ বাকি অংশ পড়ুন...
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনাকারী রাবীর জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِه.
অর্থাৎ পবিত্র রমাদ্বান শরীফে এবং গায়রে রমাদ্বান শরীফে অর্থাৎ বছরের ১২ মাস রাতের নামায ছিলো মোট ১১ রাকায়াত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে পবিত্র তারাবীহ্ নামায পড়তেন আর অন্য মাসে কি পড়তেন?
আসলে বাতিল ফিরক্বার লোকগুলো মূর্খ হওয়ার কারণে এই পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা তারাবীহ্র দলীল দিয়ে থাকে। এই পবিত্র হাদীছ শরীফখানা দ্বারা মূলত তারাবীহ্কে বুঝ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা ইযার বা সেলাইবিহীন লুঙ্গী মুবারক পরিধান করেছেন। এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও ইযার বা সেলাইবিহীন লুঙ্গি মুবারক পরিধান করতেন। এ কারনে সেলাইবিহীন লুঙ্গি পরা খাছ সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনার অন্তর্ভুক্ত।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেলাইবি বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অন্যতম ছাত্র, ছিয়াহ সিত্তাহ্র অন্যতম ইমাম হযরত আবূ ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “সুনানে তিরমিযী শরীফে” পবিত্র তারাবীহ্ নামায উনার রাকায়াত সংখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন-
قال الترمذى رحمة الله عليه واكثر اهل العلم على ما روى عن حضرت الفاروق الاعظم عليه السلام و حضرت امام الاول كرم الله وجهه عليه السلام وغيرهما من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم عشرين ركعة وهو قول الثورى وابن المبارك والشافعى وقال هكذا ادركت الناس بمكة يصلون عشرين ركعة.
অর্থ: ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া স বাকি অংশ পড়ুন...
অনেকে মনে করে যে, ‘তারাবীহ্’ অর্থ তাড়াতাড়ি। তাই পবিত্র তারাবীহ্ নামায তাড়াতাড়ি পড়তে হয়। বাস্তবিক সমাজে এটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, সূরা তারাবীহ্ হোক আর খতম তারাবীহ্ হোক উভয় প্রকার জামায়াতে ইমাম বা হাফিয ছাহিবরা দ্রুত সূরা-ক্বিরায়াত পাঠ করে পবিত্র নামায শেষ করেন। বিশেষ করে খতম তারাবীহ্ উনার ক্ষেত্রে অধিকাংশ হাফিয ছাহিবকে দেখা যায়, তারা এত দ্রুতগতিতে সূরা-ক্বিরায়াত পাঠ করেন মুছল্লীরা তা স্পষ্ট শুনতে বা বুঝতে পারেন না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -
وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ.
অর্থ: “তোমরা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিত পর)
অন্য কোন মাবুদকেও কবুল করিনি। পড়তে থাকুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার প্রতি রহমত বর্ষন করুন।” তিনি আরও পড়লেন, যার অর্থ- “আমি যালিমদের জন্য দোযখের আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি, তাদের চতুর্স্পার্শ্বে আগুনের তাবু থাকবে। তারা পানি প্রার্থনা করলে, তাদেরকে তাম্রগলিত উত্তপ্ত পানির ন্যায় পানি দেয়া হবে; যা তাদের চেহারার চামড়া খসিয়ে ফেলবে। তাদের এ পান করাও মন্দ, তাদের বাসস্থানও নিকৃষ্ট।” তিলাওয়াত শেষে বাঁদী বললো, “হে আবু আব্দুল্লাহ! আপনি নিজের নফসকে নৈরাশ্যের মধ্যে রেখেছেন। অন্তঃকরণকে ভয় এবং আশার মধ্যস্থলে রেখে একটু আ বাকি অংশ পড়ুন...
একখানা ঘটণা আলোচনা করলে সহজেই বুঝা যাবে। ঘটণা খানা হচ্ছে, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একবার পবিত্র খানকা শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক করেন, ‘প্রত্যেক উম্মতের উচিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক-এ পবিত্র কুরবানী মুবারক দেয়া।’ এই মহাসম্মানিত নছীহত মুবারক শুনে অনেক পীরভাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক-এ পবিত্র কুরবানী মুবারক দেয়ার নিয়ত করলেন।
এক পীর বাকি অংশ পড়ুন...












