আযওয়া খেজুর খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক এবং আযওয়া খেজুরের মধ্যে বেমেছাল উপকার ও কার্যকারিতা রয়েছে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আযওয়া খেজুরের কার্যকারীতা সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرُّهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.
অর্থ: “হযরত ‘আমির ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি প্রতিদি বাকি অংশ পড়ুন...
খেজুরের রস খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
মানুষ ক্ষুধা নিবারণের জন্য, দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও দেহের যাবতীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে চলাচলের জন্য, বেঁচে থাকার জন্য এবং সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে।
আর সেই খাদ্যটি যদি মহাসম্মানিত সুন্নতী খাদ্য হয়, তাহলে এর উপকার ও ফযীলত অতুলনীয়। কেননা, প্রত্যেকটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক হচ্ছেন এক একটি মহাসম্মানিত নূর মুবারক। আর তাই সম্মানিত সুন্নতী খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যেক লোকমা, গ্রাসে বা চুমুকেই নূর মুবারক ভিতরে প্রবেশ করবে বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পরিষ্কার খেজুর বেছে খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت أنس رضى الله تعالى عنه قال رأيت النبی صلى الله عليه وسلم أتى بتمر عتيق فجعل يفتشه
অর্থ: হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে পুরাতন খেজুর উপস্থিত করা হলে আমি দেখলাম তিনি তার মধ্য থেকে পোকামুক্ত পরিষ্কার খেজুর বেছে নিচ্ছেন।
খেজুর গাছের মাথি খাওয়া প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদ বাকি অংশ পড়ুন...
বিশ্ববিখ্যাত ‘নুযহাতুল মাজালিস’ কিতাবে উল্লেখ আছে-
عن النبي صلى الله عليه وسلم من صام من شعبان يوما حرم الله جسده على النار وكان الرفيق وحضرت يوسف عليه السلام في الجنان واعطاه الله ثواب حضرت ايوب عليه السلام وحضرت داؤد عليه السلام فان اتم الشهور كله هون الله عليه سكرات الموت ودفع عنه ظلمة القبر وهول منكر ونكير وستر الله عورته يوم القيامة.
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে মাত্র একটি রোযা রাখবে তার শরীরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি দোযখের জন্য হারাম করে দিবেন এবং বেহেশতের মাঝে সে ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
শুকনা ও গাছপাকা খেজুর খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক এবং তার আশ্চর্যজনক উপকারিতা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عن حضرت أنس بن مالك رضى الله تعالى عنه قال كنت اذا قدمت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم رطبا أكل الرطب وترك المننب.
অর্থ: হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত খিদমত মুবারকে তাজা খেজুর পেশ করলে তিনি পাকাগুলো আহার মুবারক করতেন এবং আধাপাকাগুলো ত্যাগ করতেন।
মহাসম্মানিত ও ম বাকি অংশ পড়ুন...
বিভিন্ন পর্যায়ের খেজুর :
বালাহ: সাধারণভাবে কাঁচা বা সবুজ খেজুরকে বালাহ বলে।
বুসর: খেজুর পাকার পূর্বের অবস্থাকে বুসর বলে।
রুত্বাব: পাকা খেজুরকে রুত্বাব বলে। পাকা খেজুর প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا.
অর্থ: “আর আপনি (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম) নিজের দিকে খেজুর গাছের কা-ে নাড়া দিন, তা থেকে আপনার উপর সুপক্ব খেজুর পতিত হবে।” (পবিত্র সূরা মারইয়াম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৫)
শুকনা খেজুর বা খুরমা খেজুরকে শুকানো হলে শুষ্ক হয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত প্রিয় পানীয় মুবারক হচ্ছে নাবীয। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত আছে, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য সকালে নাবীয তৈরি করতেন। যখন রাত হতো তিনি তা পান করতেন। অতঃপর তিনি রাতে নাবীয তৈরি করতেন। যখন সকাল হতো তিনি তা পান করতেন। সুবহানাল্লাহ!
উপকারিতা: হাড় ও পেশীর ব্যাথা উপশম করে, শক্তিবর্ধক, পাকস্থলির এসিডিট বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দু’ফিতা বিশিষ্ট চামড়ার স্যান্ডেল বা না’লাইন শরীফ পরিধান করতেন। সুবহানাল্লাহ! যা খয়েরী রংয়ের হওয়াও সুন্নত।
অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া এ সকল সুন্নত সমূহকে পুনরায় জিন্দা করে জারি করার ব্যবস্থা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! আর এ জন্যই উনারই মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “আন্তর্জাতিক পবিত্র সু বাকি অংশ পড়ুন...












