মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পরিভাষিক অর্থে বলা হয়-
مَا نُقِلَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ قَوْلٍ أَوْ فِعْلٍ أَوْ تَقْرِيْرٍ وَعَلَى مَا جَاءَ عَنِ الصَّحَابَةِ أَوْ الخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ
অর্থ: ‘মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক হলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত কথা মুবারক, মহাসম্মানিত কর্ম মুবারক ও মহাসম্মানিত মৌন সম্মতি মুবারক থেকে যা বর্ণিত হয়েছে এবং যা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে এসেছে’।
কেউ কেউ বলেন-
السُّنَّةُ مَا وَرَدَ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনাকে মুহব্বত করলেন, তিনি মূলতঃ আমাকেই মুহব্বত করলেন, আর যিনি আমাকে মুহব্বত করবেন, তিনি আমার সাথে সম্মানিত জান্নাতে অবস্থান করবে। ” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ঘরে খেজুর নেই, সেই ঘরে যেন কোন খাবারই নেই। ”
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নত উনার অর্থ ও পরিচয় মুবারক: পবিত্র ‘সুন্নত’ শব্দটি আরবী, একবচন। বহুবচনে السنن (আস-সুনান)। আভিধানিক অর্থ হল, الطريقة والسيرة অর্থাৎ পথ, পন্থা, পদ্ধতি, নিয়ম ইত্যাদি; (লিসানুল আরব ১৩/২২৪-২২৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উক্ত অর্থে সুন্নত শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يُرِيْدُ اللهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمْ وَيَهْدِيَكُمْ سُنَنَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَيَتُوْبَ عَلَيْكُمْ وَاللهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা করেন তোমাদের নিকট বিশদভাবে বিবৃত করতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের নিয়ম-কানুন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা কর বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হযরত সাঈদ ইবনু যায়দ ইবনু আমর ইবনু নুফায়ল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি যে, কামআ (মাশরুম) মান্না জাতীয়। আর এর পানি (রস) চোখের জন্য ঔষধ বিশেষ। সুবহানাল্লাহ!
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে- বরকতময় সুন্নতী খাবার মাশরুমের নানা উপকারিতা ও রোগ নিরাময়কারী উপাদান রয়েছে। তাই সুন্নত মুবারক পালনের মহান উদ্দেশ্যে মাশরুম খান, সুস্থ থাকুন।
বরকতময় এ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় সুন্নতী বিষয়াদিসহ সকল প্রকার সুন্নতী সামগ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে তোমরা ভয় করো, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিণ শাস্তিদাতা” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সর্বদাই, সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِي يُحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ.
অর্থ: “আয় আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো বা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহখাতা ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু। ” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পব বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মহান আল্লাহ্ পাক পবিত্র কালামে পাকে এরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করলো, সে ব্যক্তি বিরাট সফলতা অর্জন করলো। ” সুবহানাল্লাহ! (সূরা আহযাব/৭১)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালোজিরায় যার আরোগ্যতা নেই। ”
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরও ইরশাদ মুবারক করেন, যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পর বাকি অংশ পড়ুন...
গোঁফ খাটো করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক:
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ أَبي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ اَلْفِطْرَةُ خَمْسٌ أَوْ خَمْسٌ مِنَ الْفِطْرَةِ ـ الْخِتَانُ، وَالاِسْتِحْدَادُ، وَنَتْفُ الإِبْطِ، وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ، وَقَصُّ الشَّارِبِ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফিতরাত অর্থাৎ মানুষের জন্মগত স্বভাব পাঁচটি- (পুরুষের জন্য) খৎনা করা, (নাভীর নিচের পশম কাটার জন্য) ক্ষুর ব্যবহার করা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ খাটো করা। (মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সুতরাং যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবেন, তিনি অবশ্যই সম্মানিত হিদায়াত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
জুব্বা পরিধান করা খাছ সুন্নত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জুমুয়া, ঈদ এবং বিশেষ বিশেষ সময়ে কামীছ বা কোর্তা মুবারকের উপরে জুব্বা মুবারক পরিধান করতেন। জুব্বা কালো, গন্ধম ইত্যাদি রং-এর হওয়া সুন্নত মুবারক। জুব্বা হচ্ছ বাকি অংশ পড়ুন...
আমরা কম বেশি সবাই প্রতিনিয়ত মুরগির গোশ্ত খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা, মুরগির গোশ্ত যে মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার। যা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গ্রহণ করেছেন অর্থাৎ মহাসম্মানিত আহার মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মুরগির গোশ্ত খাওয়া যে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَةْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلْتُ عَلٰى حَضْرَةْ أَبِيْ مُوسٰى رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَهُوَ يَأْكُلُ دَجَاجًا فَقَالَ اد বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং সম্মানিত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই যব খেয়েছেন। বিশেষ করে উনারা যবের রুটি, যবের তৈরি খাবার তালবীনা, যবের ছাতু ইত্যাদিসহ আরও অনেক ধরণের খাবারে যবের ব্যবহার করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
যদিও পবিত্র সুন্নতী সকল ধরণের খাবারের মধ্যেই রয়ে গেছে ব্যাপক বরকত ও সাকিনা, পাশাপাশি বৈজ বাকি অংশ পড়ুন...












