আল ইহসান ডেস্ক:
“হারীসাহ” এতই আভিজাত্যপূর্ণ ও পছন্দনীয় খাবার যে, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মাহাতুল মুমিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে পবিত্র নিসবতে আযীমাহ মুবারক উনার সময় আয়োজিত ওয়ালিমা অনুষ্ঠানে ‘হারীসাহ’ রান্না করে মেহমানদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
অবলুপ্ত হয়ে যাওয়া এ সকল সুন্নত সমূহকে পুনরায় জিন্দা করে জারি করার উদ্দেশ্যে রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম আলাইহিস সালাম উ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন- ইস্তিঞ্জার পর ঢিলা নিতে হয় বেজোড়, জামারায় পাথর মারা হয় বেজোড়, সাফা মারওয়ায় সা‘ঈ করতে হয় বেজোড় এবং তাওয়াফ করতে হয় বেজোড়। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি সুগন্ধির ধোঁয়া গ্রহণ করে সেও যেন বেজোড় লাগায়। (মুসলিম শরীফ , পবিত্র হাদীছ শরীফ - ১৩০০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ - ৯৩২১, ছহীহ আল জামি‘ শরীফ , পবিত্র হাদীছ শরীফ - ২৭৭২)
ঘরে চন্দন কাঠ পোড়ানো এবং ধূপ জ্বালানোঃ
ঘ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অসংখ্য-অগণিত হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ছিলেন। তন্মধ্যে অন্যতম একজন জলীলুল ক্বদর, বিশিষ্ট ছাহাবী ছিলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি।
হযরত আবূ যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নিরিবিলি একাকী থাকতে পছন্দ করতেন। তাই ‘সবজা’ নামক একটা জায়গায় তিনি অবস্থান করতেন। তিনি একদিন উনার ক্ষেতে পানি দিচ্ছিলেন। উনার পরনে ছিল সদ্যধোয়া পরিষ্কার কাপড়; আর পানি দেয়ার কারণে সেই জমিটি ছিল কর্দমাক্ত।
এমন সময় একজন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি সুন্নত মুবারক হলো খাবারের সময় দস্তরখানা ব্যবহার করা। দস্তরখানা চামড়ার এবং হালকা খয়েরী রংয়ের হওয়া সুন্নত।
যে ব্যক্তি খয়েরী রঙের চামড়ার দস্তরখানায় এক লোকমা খাবার খাবে, তার প্রতিটি লোকমার প্রতিদানে তাকে ১০০টি করে ছওয়াব দেয়া হবে। (হাদীছ শরীফ)
তাই খাবারের সময় সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করে রহমত বরকত হাছিল করতে সুন্নতী দস্তরখানা ব্যবহার করুন। সুন্নতী দস্তরখানা সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ يَـقُوْلُ مَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِزَارِ فَـهُوَ فِي الْقَمِيْصِ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, লুঙ্গি যেমন নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে, তদ্রুপ জামাও নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুল আওসাত, শুয়াবুল ঈমান ৮/২২০)
মূলত, ক্বমীছ বা জামা ও ইযার বা লুঙ্গি সমান সমান হতে পারে আবা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আনার শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখবে এবং ৪০ দিনের জন্য বদ আকাঙ্খা থেকে দূরে রাখবে। সুবহানাল্লাহ!
হাদীছ শরীফ উনার মাঝে আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “প্রতিটি ডালিম জান্নাতের পানির একটি ফোঁটা ধারণ করে। ”
বরকতময় এ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় সুন্নতী বিষয়াদিসহ সকল প্রকার সুন্নতী সামগ্রী সংগ্রহ করতে যোগাযোগ করুন- আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র, সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ গেট, ৫ আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা- ১২১ বাকি অংশ পড়ুন...
হারীসাহ
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উট যবেহ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খমিসাহ্ আলাইহাস সালাম উনার ওলীমা মুবারক উনার মেহমানদারী মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! সেই ওলীমা মুবারক-এ অসংখ্য গরীব-মিসকীন, ফক্বীর-ফুক্বারা’, নিঃস-অসহায় ও দরিদ্র লোক উপস্থিত হন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলকে (প্রস্তুতকৃত সমস্ত) খাদ্য খাওয়ায়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদ বাকি অংশ পড়ুন...
তালবীনাহ এক প্রকার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাদ্য মুবারক। তালবীনাহ শব্দটি লাবানুন (لَبَنٌ) শব্দ থেকে এসেছে। অর্থাৎ তালবীনাহ একটি দুগ্ধজাত খাদ্য। অসুখ-বিসুখে রোগীকে সহজপাচ্য, পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় পথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসুখ-বিসুখ, দুঃখ-শোকে তালবীনাহ খাওয়ার পরামর্শ মুবারক দিতেন।
সাধারণত যবের আটার সাথে দুধ মিশিয়ে তালবীনাহ প্রস্তুত করা হয়। সাথে মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন: বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অধিকাংশ সময়েই চাদর মুবারক ব্যবহার করেছেন। পবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক উনার উপর বা জামা মুবারক উনার উপরে যা পরিধান করতেন তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছিলো চাদর মুবারক।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দু’ধরণের চাদর মুবারক ব্যবহার করতেন। ১. ছোট চাদর, ২. বড় চাদর। ছোট চাদর মুবারক উনার দৈর্ঘ্য ছিলো ৪ (চার) হাত। আর প্রস্থ ছিলো ২.৫ (আড়াই) হাত। আর বড় চাদর মুবারক উনার দৈর্ঘ্য ছিল ৬ হাত এবং প্রস্থ ছিল ৩.৫ (সাড়ে তিন) বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে লিবাস বা পোশাকের বর্ণনাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। যেমন লিবাস বা পোশাক সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا
অর্থ: “হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য লিবাস বা পোশাক নাযিল করেছি।”(পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ; পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬)
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ইহুদী-নাছারা অর্থাৎ কাফির-মুশরিকদের লিবাস বা পোশাক থেকে বেঁচে থাকো।”
এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসলমানদের জন্য আলাদা বা নির্দিষ বাকি অংশ পড়ুন...












