সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে খাদ্য গ্রহণের আদব ও তরতীব মুবারক শিক্ষা দিয়েছেন তা অর্থাৎ খাবারের সুন্নত সমূহ সম্পর্কে দলীল আদিল্লাহসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
১. খাওয়ার আগে ও খাওয়ার শেষে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া: খাওয়ার আগে ও পরে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া সুন্নত।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَلْمَانَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَرَأْتُ فِي التَّوْرَاةِ اَنَّ بَرَكَةَ الطَّعَامِ الْوُضُوءُ قَبْلَهٗ فَذَكَرْتُ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা মু’মিন-মুসলমান উনাদের উপর ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদেরকে পুরো রমাদ্বান শরীফ মাস রোযা পালন করার ব্যাপারে সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতের উপরও পবিত্র রোযা পালন করা ফরয ছিল। সে ধারাবাহিকতায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আখিরী উম্মতের প্রতিও সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা ফরয করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
ياأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করলেন, তিনি মূলত আমাকেই জিন্দা করলেন। আর যে ব্যক্তি আমাকে জিন্দা করলেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবেন। সুবহানাল্লাহ!
দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করার জন্য মিসওয়াক ব্যবহার করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পিলু, যয়তুন ও খেজুর গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করেছেন। সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلْيُفْطِرْ عَلَى التَّمْرِ فَإِنْ لَمْ يَجِدِ التَّمْرَ فَعَلَى الْمَاءِ فَإِنَّ الْمَاءَ طَهُوْرٌ.(سنن أبي داود)
অর্থ: “হযরত সালমান ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমাদের মধ্যে কোন রোযাদার ইফতার করে, সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। আর যদি খেজুর না পাওয় বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহপাক তিনি আদেশ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা আঁকড়ে ধর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ্ পাক উনাকে ভয় করো। মহান আল্লাহ্ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মেথি দ্বারা আরোগ্য লাভ কর।
নূরে বাকি অংশ পড়ুন...
সাহরীর মতো ইফাতারীতেও সর্বোত্তম খাবার হচ্ছে খেজুর। এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنِهُ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ قَبْلَ اَنْ يُصَلِّيَ عَلٰى رُطَبَاتٍ فَاِنْ لَـمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَتُمَيْرَاتٍ فَاِنْ لَـمْ تَكُنْ تُـمَيْرَاتٌ حَسَا حَسَوَاتٌ مِنْ مَاءٍ.
অর্থ : “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাগরিবের নামাযের পূর্বেই কয়েকটি তাজা খেজুর দ্বারা ই বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাসীর গোশত খেয়েছেন। এবং উহা পছন্দও করতেন। এমনকি তিনি গরু কুরবানী দিয়েছেন এবং গরুর গোশতও খেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থ্যাৎ গরুর গোশত এবং খাসীর গোশত খাওয়া খাছ সুন্নতে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!
সকল ধরণের সুন্নতী খাদ্য সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের সুন্নতী সামগ্রী পেতে যোগাযোগ করুন-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র, সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ গেট, ৫ আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস সমস্ত প্রকার রহমত, বরকত, মাগফিরাত হাছিল করার মাস। এই পবিত্র মাসে আমরা রোযা রেখে থাকি। রোযা রাখার হুকুম পূর্ববর্তী সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতদের উপর ফরয ছিল। কিন্তু উনাদের সাথে আমাদের রোযার কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন আমাদের রোযা আর আহলে কিতাবদের রোযার পার্থক্য হচ্ছে সাহরী গ্রহণ করা। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে সাহরী খাওয়া ছেড়ে দেয়া যাবে না।
সাহরী খাওয়া প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَل বাকি অংশ পড়ুন...












