অমুসলিম মহিলাদের দ্বীন ইসলাম গ্রহণের ঈমানদীপ্ত ঘটনা নারীবাদী লেখিকা হয়েও কেন আমি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলাম
, ২৯ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
এভাবেই নিজের দ্বীন ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরেন থেরেসা করবিন। যিনি মূলত একজন লেখিকা। বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের।
তিনি বলেন, আমি ২১ বছর বয়সী ছিলাম এবং লুইসিয়ানার বাটন রুজে বাস করতাম। মুসলিম হওয়ার জন্য এটি খুবই খারাপ সময় ছিল। আমি একজন ক্রেওল ক্যাথলিক এবং একজন আইরিশ নাস্তিক পিতামাতার সন্তান। আমি ক্যাথলিক হিসেবে বড় হয়েছি। তারপর এক সময় সংশয়বাদী হই এবং বর্তমানে আমি একজন মুসলিম।
১৫ বছর বয়সে হোস্টেলে বসবাস করার সময় থেকেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ জন্মে। আমার ক্যাথলিক ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে আমার মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। আমার শিক্ষক এবং যাজকদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তাদের কাছ থেকে উত্তর আসে, তোমার এই সুন্দর ছোট্ট মাথায় এ সম্পর্কে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই, যা আমাকে কখনই সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
আমেরিকার নারী পুরুষেরা সচরাচার যেমনটি করে থাকে আমি তার বিপরীতটি করেছি। আমি এ সম্পর্কে চিন্তিত ছিলাম। বহু বছর ধরে আমার মনে ধর্মের প্রকৃতি, মানুষ এবং মহাবিশ্ব নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন জন্মাতে থাকে।
এ সবকিছু নিয়ে গবেষণার পর আমি সত্যকে খুঁজে পাই। ধর্মীয় অলঙ্করণ, ইতিহাস ও বিভিন্ন মতবাদ ইত্যাদির চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম নামের এই অসাধারণ জিনিসটি খুঁজে পাই।
আমি এটা শিখেছি যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম শুধু একটি সংস্কৃতি কিংবা ধর্মীয় প্রার্থনার প্রথা নয়। এটি শুধুমাত্র বিশ্বের একটি অংশেরও প্রতিনিধিত্ব করে না। আমি বুঝতে পেরেছি যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামই হচ্ছেন একটি বিশ্বধর্ম যা মানুষকে সহনশীলতা, ন্যায় বিচার ও সম্মান করতে শেখায় এবং ধৈর্যধারণ, বিনয়ী এবং ভারসাম্যকে উৎসাহিত করে।
আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছি। আমি এটি দেখে বিস্মিত হয়েছি আমার পাশে অনেক লোক আমার সঙ্গে অনুরণিত হচ্ছে। আমি এটি খুঁজে পেয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম যা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনুসারীদের শিক্ষা দিয়েছেন।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হযরত মূসা কালিমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে খ্রিষ্টানদের যীশু হযরত ঈসা রুহুল্লাহ আলাইহিস সালাম, আবার উনার থেকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সহ সমস্ত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মান করতে শিক্ষা দেন, যাঁদের সবাই মানবজাতিকে এক মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করতে শিক্ষা দিয়েছেন এবং উনারা একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের সঙ্গে আচরণ করতেন।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার আবেদন আমাকে আকৃষ্ট করেছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি উৎসাহব্যঞ্জক উদ্ধৃতি, ‘জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ বা বাধ্যতামূলক, হোক সে পুরুষ কিংবা মহিলা।’
আমি বিস্ময়ে অভিভূত হই যে, বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের উৎপত্তি হয়েছে মুসলিম চিন্তাবিদ কর্তৃক। আল-খাওয়ারিজমির বীজগণিত আবিষ্কার, ভিঞ্চির বহু আগেই ইবনে ফারনাসের ফ্লাইট বলবিজ্ঞানের উন্নতি সাধন এবং আবু আল-কাসিম আল-জাহরি যাকে বলা হয় আধুনিক সার্জারির জনক।
হিজাব বা পর্দা পালন বিষয়ে যখন আমি একজন মুসলিম নারীকে জিজ্ঞেস করি, ‘কেন আপনি হিজাব পরেন?’, ‘মহান আল্লাহ পাক উনাকে খুশি করার জন্য। হিজাব পরিধান একজন নারী হিসেবে আমাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে এবং পুরুষের হয়রানির শিকার থেকে এটি আমাদের নিরাপদ রাখে। পুরুষের খারাপ দৃষ্টি থেকে আমার নিজেকে রক্ষা করার জন্য এটি খুবই কার্যকর।’ তার উত্তর ছিল সুস্পষ্ট এবং অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেয়ার মতো।
আশ্চর্যজনকভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এমন একটি দ্বীন যা আমার দীর্ঘদিনের নারীবাদী আদর্শে যা খুঁজে ছিলাম, তার সাথে মিলে গেছে।
তিনি শালীন পোশাককে বিশ্বের প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, একজন নারীর শরীর শুধুমাত্র উপভোগের জন্য অথবা সমালোচনামূলক প্রবন্ধ লিখার জন্য নয়।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর সম্মতিকে মর্যাদা দেন এবং নারীদেরকে উত্তরাধিকারী হওয়ার, নিজস্ব সম্পত্তি অর্জন, ব্যবসা পরিচালনা করা এবং বিভিন্ন কর্মকা-ে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, আজ থেকে ১৪১৯ বছর পূর্বে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম নারীদের যে অধিকার প্রদান করেছেন সেটি পশ্চিমারা কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।
-উম্মু রাহাত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ইমামুল হুদা, ইমামু আহলিল ইয়াক্বীন, সুলালাতুন নুবুওওয়াহ, সিরাজুল মিল্লাহ, আল ইমামুল খমিস, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম বাক্বির আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত ক্বওল শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি (১)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৫)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত রজব মাস হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার মাস
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












