আপনার সন্তানকে জরুরী ৩টি বিষয় শিক্ষা দিন
, ২১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ০৯ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
প্রথম শিক্ষা হলো:
১। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
كُونُوا رَبَّانِيِّينَ
অর্থ: তোমরা সকলে আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী হয়ে যাও।। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ ৭৯)
অর্থাৎ প্রথমে সন্তানকে শিক্ষা দিতে হবে যে, তোমাকে আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী হতে হবে।
দ্বিতীয় শিক্ষা হলো:
২। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُو
অর্থ: আপনি ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী এবং মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পাবত্র আয়াত শরীফ ৮২)
অর্থাৎ দ্বিতীয়ত: সন্তানকে তার শত্রু চিনাতে হবে। কে তার শত্রু।আর মুসলমানদের শত্রু হলো ইহুদী, মুশরিক সহ সমস্ত বিধর্মীরা।
তৃতীয় শিক্ষা হলো:
৩। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
كُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ
অর্থ: তোমরা আল্লাহওয়ালা উনাদের সঙ্গী হয়ে যাও। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
অর্থাৎ তৃতীয়ত সন্তানকে শিখাতে হবে যে, আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী হতে হলে এবং শত্রু চিনে তাদের থেকে নিজের ঈমান, আক্বীদা ও আমল হিফাজত করে আল্লাহওয়ালা ও আল্লাহওয়ালী হতে হলে আল্লাহওয়ালা বা আল্লাহওয়ালী উনাদের নিকট যেতে হবে। উনাদের নিকট বায়াত গ্রহণ করে ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে হবে। উনাদের নির্দেশনা মুবারক অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। তাহলেই প্রতিটি সন্তানের জন্য রয়েছে কামিয়াবি। অন্যথায় সন্তান দুনিয়াতে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তদ্রুপ পরকালেও কঠিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অর্থাৎ পুরুষ-মহিলা, জীন-ইনসান প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, একজন হক্কানী-রব্বানী কামিল শায়েখ উনার নিকট বাইয়াত হয়ে সবক্ব আদায় এবং ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার মাধ্যমে ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করে খালিছ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হওয়া।
সুতরাং পিতা-মাতার দায়িত্ব এবং কর্তব্য হলো প্রতিটি সন্তানকে প্রথমেই এ তিনটি বিষয় শিক্ষা দেওয়া । মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে সেই তাওফিক দান করুন। আমীন
-মুহম্মদ রিয়াদুযযামান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












