আপনি কি জানেন, যে কোন বিদেশী পণ্য ব্যবহার করা মানেই ইসরাইলকে সাহায্য করা? (১)
, ১৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১২ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
কিন্তু আপনি কি কখনো হিসেব করেছেন, আপনি যে কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জন করছেন, চলমান গাজা সংঘাতে এই সব কোম্পানিগুলোর কত অর্থ সরাসরি ব্যয় হচ্ছে? ইসরাইলি সেনাবাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র ক্রয়, প্রযুক্তি সরবরাহ কিংবা ট্রেনিং এ কতটুকু সহায়তা করছে তারা? হিসেব করলে প্রত্যক্ষ সহায়তা হয়ত খুব পাবেন না, পরোক্ষ সহায়তা পেতে পারেন, আর সে কারণেই বয়কট আন্দোলন। কিন্তু যারা গাজায় মুসলিম গন্যহত্যায় ইসরাইলীদের প্রত্যক্ষ সহায়তা করছে, তাদের বেলায় তবে কি করবেন? হ্যা সেই প্রত্যক্ষ সহায়তাদানকারী হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ইসরাইলকে ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা দেয়, তবে এবার যুদ্ধ শুরুর পর ১৪০০ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া ইসরাইলের আয়রন ডোমসহ অনেক যুদ্ধাস্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পাওয়া।
অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ইসরাইলের গণহত্যার সবচেয়ে বড় সহায়তাকারী। আর সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হচ্ছে তাদের মুদ্রা বা ডলার। আপনি সেই ডলার যত ব্যবহার করবেন, তত আপনি ইসরাইলের গণহত্যায় অংশীদার হয়ে গেলেন। ইসরাইলপন্থী কোম্পানি পণ্য বয়কট যেমন জরুরী, তার থেকেও বেশি জরুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার বর্জন করা।
বিষয়টি বুঝতে হলে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা দরকার। আসলে আমেরিকার বর্তমান মুদ্রা ডলার হচ্ছে এক ধরনের ফিয়াট কারেন্সি, যার বিপরীতে কোন সম্পদ বা স্বর্ণ রাখা নেই। শুধুমাত্র চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্যমান ধরে রেখেছে আমেরিকা। এখন আমেরিকা যখন ইসরাইলকে ১৪০০ কোটি ডলার সহায়তা করছে, তারমানে সে ১৪০০ কোটি ডলার প্রেসে ছাপিয়ে তা ইসরাইলকে পাঠাচ্ছে। এখন অতিরিক্ত মূদ্রা ছাপানোয় ডলারের যোগান বেড়ে যাচ্ছে, ফলে ডলারের দাম পরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই মুহুর্তে আমি-আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে ডলার কিনছি, তখন আবার ডলারের আবার চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে ডলারের চাহিদা-যোগান ব্যলেন্স হচ্ছে। এভাবে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে যে দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ ধ্বংস করতে যে অর্থ খরচ করছে, সেই খরচ ডলারের মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে আবার তুলে আনছে। অর্থাৎ আমরা ডলার ব্যবহার করে আমেরিকার সকল অপকর্মে অংশীদার হচ্ছি। বর্তমানে আমেরিকার অপব্যয় বেড়েছে, আর সেই অপব্যয় সামাল দিতে আমাদের দ্রব্যমূল্য মানে চাল-ডাল-তেল-নূনের দামও বেড়েছে।
-আবরার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আধুনিকায়নের নামে আমরা গিনিপিক হতে চাই না
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অবশ্যই সে বিশ্বের সবচাইতে ঘৃণিতদের একজন!
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুসলমানতো সদা-সর্বদা দ্বীন ইসলাম পালন করবে
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
উত্তম চরিত্রের অনুপম আদর্শ-একজন বিধর্মীর দ্বীন ইসলাম গ্রহণ
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুহররমুল হারাম মাস উনার বরকতপূর্ণ আমল সম্পর্কে মুসলমানরা পুরোই বেখবর
১৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাবধান ! আপনার সন্তান কি শিখছে খবর রাখুন (২)
১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাবধান ! আপনার সন্তান কি শিখছে খবর রাখুন (১)
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পিতা-মাতা উনাদের প্রতি সন্তানের কর্তব্য
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কোনটা করলে মুসলমান থাকে আর কোনটা করলে কাফির হয়- তা কি আজ মুসলমান জানে?
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সন্ত্রাসীদের বইকে ‘জিহাদী বই’ না বলে ‘সন্ত্রাসী বই’ বলতে হবে
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানদের জন্য পবিত্র ঈমান রক্ষার জন্য ফান্ড তৈরি করা উচিত
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আপনার শিশুকে আজই চিনিয়ে দিন তার প্রধান শত্রু “কে”
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)