আর কত মানুষ পুড়লে? বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ আর কত বাড়লে? যানজট আর কত তীব্র হলে? জনজট আর কত ভয়ানক হলে? সরকারের কর্তাব্যক্তিদের হুশ হবে যে- অপরিকল্পিত এবং ধারণ ক্ষমতায় অক্ষম যে “গোটা ঢাকা মহানগরীই একটা মহা বিস্ফোরক”! বাঁচার জন্য অনিবার্য ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ ঢাকার জনজট সব জেলা শহরে ও থানা শহরে স্থানান্তরিতকরণ।
, ২২ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২০ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম

প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেসব কারণে রাজধানী বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ সেগুলোর অন্যতম। নগরায়ণ পরিকল্পনা অনুযায়ী না হওয়ায় দুর্যোগ মোকাবেলায় যেসব অনুষঙ্গ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, ভবনগুলোতে সেগুলো নেই বললেই চলে। কোনো ট্র্যাজেডির পর কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয় না। গড়ে ওঠা অবকাঠামোগুলোর পর্যবেক্ষণেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা লক্ষণীয়। ফলে সার্বিকভাবে রাজধানীতে অগ্নিঝুঁকির মাত্রা বেড়েই চলছে।
চকবাজারের চুড়িহাট্টা, বনানীর এফ আর টাওয়ার, গুলশান ডিএনসিসি মার্কেট ও সর্বশেষ খিলগাঁওয়ের মিউনিসিপ্যাল সুপার মার্কেটের অগ্নিকা- এসবেরই প্রামাণ্য উদাহরণ।
উল্লেখ্য, প্রতিটি নগরেরই বৈশ্বিক মানদ- থাকে। ঢাকা শহরে সেই মানদ-ের কিছুই নেই। যে সংস্থার যে দায়িত্ব তারা সেটা ঠিকমতো পালন করে না। কর্তৃপক্ষগুলোকে জবাবদিহির মধ্যে আনা হয় না। অগ্নিদুর্ঘটনা কী কারণে ঘটছে, কার গাফিলতিতে ঘটছে, তা উদ্ঘাটন করা গেলে এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হলে এসব দুর্ঘটনা কিছুটা কমতো। এখানে এই জবাবদিহির বড় অভাব। এখন সরকারকেই শক্ত হতে হবে।
সাম্প্রতিক অগ্নিকা-গুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে একটি ভবনে যেসব অগ্নিনিরাপত্তা সামগ্রী থাকা প্রয়োজন, নির্মাণ কাঠামো যেমন হওয়া প্রয়োজন- সেসবের অভাব রয়েছে। ভবনটি যে কাজে ব্যবহার হওয়ার কথা, কার্যত তা হয়নি। অনুমোদন ছাড়াই এবং ঝুঁকি বিবেচনা না করেই ভবনের তলার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ভবনের বাসিন্দাদের অগ্নিনির্বাপণ সম্পর্কে সম্যক ধারণাও ছিল না। এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৬ হাজার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে।
২০১৭ ও ২০১৮ সালে রাজধানীর ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে দুই হাজার ৬১২টি ভবনে জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। জরিপে দেখা যায়, এগুলোর মধ্যে মাত্র ৭৪টি ভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। দুই হাজার ৪৪৮টি ভবনে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই নেই এবং বাকি ৯০টি ভবনে রয়েছে অল্পস্বল্প ব্যবস্থা।
নগরবাসীরা ঢাকা শহরে একটি অগ্নিগর্ভে বাস করছে। মাটির নিচেও আগুন, ওপরেও আগুন। মাটির নিচে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের লাইন; ওপরেও বিদ্যুতের লাইন, বিভিন্ন তারের লাইন। এসব লাইনে যদি কোনো সময় আগুন লেগে গ্যাসপাইপের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায়, তাহলে পুরো ঢাকা শহর অগ্নিকু-ে পরিণত হবে। তখন কোন ভবন বাদ দিয়ে কোনটার আগুন নেভাবে ফায়ার সার্ভিস? আসলে ঢাকা শহরের যে অবস্থা, তাতে প্রতিদিনই আগুন লাগার কথা। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ রহমতের কারণে লাগছে না।
পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকা সব জায়গাতেই অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটছে। আগুন কেন লাগে, কীভাবে ছড়ায়, তার বৈজ্ঞানিক বিশ্নেষণ করলেই কারণগুলো বেরিয়ে আসবে। রাজধানীর ভবনগুলোতে কোনো অ্যাভোকেশন প্ল্যান এবং অ্যাভোকেশন রুট নেই। তাই কোনো দুর্যোগ এলে ভবনের বসবাসকারীরা বুঝতে পারেন না কী ঘটতে যাচ্ছে, কোন পথে বেরোতে হবে। ভবনগুলোতে ফায়ার অ্যালার্ম নেই। নেই ফায়ার স্টিংগুইশার। যেগুলো থাকে সেগুলোর মেয়াদ থাকে না। থাকলেও বাসিন্দারা ব্যবহার জানে না। ভবনগুলোতে ফায়ার প্রুফ দরজা থাকার কথা- যা তাপ ও দাহ্যতা থেকে মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। যদিও বাস্তবে তা নেই। এসব কারণে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, রাজউক আওতাধীন এলাকায় ২৫ লাখ স্থাপনা রয়েছে। ছয়তলা পর্যন্ত স্থাপনা আছে ২১ লাখ ৫০ হাজার। সাততলা থেকে ২৪-২৫ তলা ভবন আছে ৮৮ হাজার। এগুলোর মধ্যে ১০ তলা এবং ১০ তলার বেশি উচ্চতাসম্পন্ন বহুতল ইমারত রয়েছে প্রায় চার হাজার। এগুলোর মধ্যে তিন হাজার ৭৭২টি ভবনই ব্যাপকভাবে অগ্নিঝুঁকিতে। ২০১৭ সালে ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর শপিংমল, মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল, আবাসিক হোটেল ও মিডিয়া সেন্টারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ওপর পরিচালিত জরিপে এই চিত্র উঠে আসে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানের অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত ফায়ারসেফটি প্ল্যান নেই। ওই সময় তিন হাজার ৮৫৫টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। তখন সরকারি-বেসরকারি ৪৩৩টি হাসপাতালের মধ্যে ১৭৩টিকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৪৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ৩২৫টি আবাসিক হোটেলের ৭০টি 'খুবই ঝুঁকিপূর্ণ' এবং ২৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২৬টি মিডিয়া ভবনের মধ্যে মাত্র দুটির অগ্নিনিরাপত্তা প্রস্তুতি সন্তোষজনক বলে জানা যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে সারা দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকা- ঘটেছে। প্রতিদিন গড়ে এ ঘটনা ঘটেছে ৭৭টি এবং এর ফলে কেবল গত বছরই ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের টুকরো, চুলা ও গ্যাসের লাইন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অধিকাংশ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে সারা দেশের তুলনায় রাজধানীতে আগুনের ঘটনা ঘটছে বেশি। প্রতি বছরই ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকা- দেখা যায়। নিমতলী, চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ার, ইউনাইটেড হাসপাতাল, চকবাজারে রেস্তোরাঁয়, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেটসহ নানা জায়গায় ভয়াল অগ্নিকা-ে ঘটেছে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে বেইলি রোডের অগ্নিকা-ের ঘটনা।
সহজে ও স্বল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে এ অঘটনগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও প্রাথমিক উপকরণ পানি। অধিকাংশ সময় পানিস্বল্পতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে রাজধানী ঢাকায় পানির প্রাকৃতিক উৎস নেই বললেই চলে। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ শহরে মানুষের চাপে কমে এসেছে নীরাশয়। নীরাশয় ভরাট করে নির্মাণ হয়েছে বসতি ও স্থাপনা।
নির্মিত ভবনগুলো দীর্ঘদেহী কিন্তু প্রস্থে বেশ সংকীর্ণ। এক ভবনের সঙ্গে অন্য ভবনের খুব বেশি দূরত্ব নেই, নেই আশপাশে কোনো নীরাশয়। একদিকে নীরাশয় নেই, অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ ভবনের দরুন রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে যেতেও বেগ পেতে হয়। উপরন্তু শহরের কোথাও ফায়ার হাইড্রেন্ট (বিশেষ পানির কল) স্থাপন করা হয়নি। প্রাকৃতিক নীরাশয় না থাকলেও ফায়ার হাইড্রেন্টের মাধ্যমে আগুন নেভানো সম্ভব। যেহেতু এটি ওয়াটার রিজার্ভার বা মূল পানির লাইনে সংযুক্ত থাকে। এটির সঙ্গে পাইপ সংযুক্ত করে সহজেই পানি পেতে পারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। অবশ্য বাস্তবে ভবনগুলোয় নেই ওয়াটার রিজার্ভার। অথচ ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় ওয়াটার রিজার্ভারের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
অগ্নিকা- প্রতিরোধে পানি ছাড়া অন্য যেসব নিরাপত্তাসামগ্রী দরকার এবং নির্মাণ কাঠামো যে ধরনের হওয়া প্রয়োজন সেসবের উপস্থিতি নেই অধিকাংশ ভবনে। এছাড়া অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায় না।
একবার আগুন ধরে গেলে শুরুতেই নেভানোর যেমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে, ভবনগুলো থেকে নিরাপদে বের হওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থাও পরিলক্ষিত হয় না। লিফট ও মূল সিঁড়ি ছাড়া জরুরি বহির্গমনের বিকল্প সিঁড়ি নেই। আবার ভবনের ভেতরে নেই বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা। ফলে আগুনে দগ্ধ না হয়েও অগ্নিকা-ের সময় ধোঁয়ার কারণে বের হতে না পেরে এবং তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে হতাহত হন অনেকে।
এ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় উদ্ধারকাজ বিলম্বের জন্যেও। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা এখানে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত ফায়ার সার্ভিসের অভাব রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১১ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকা শহরে প্রতি ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭০ অধিবাসীর জন্য মাত্র একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের সংখ্যা যেমন কম, তাদের জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিরও অপ্রতুলতা রয়েছে। অনেক কর্মীও উদ্ধারকাজের সময় মারা যায় নিরাপত্তার কারণে। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে প্রেরণ ও যথাযথ চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় স্বাস্থ্য খাতকে। তাছাড়া বাংলাদেশের শহরগুলোয় অগ্নিকা-ে আহতদের চিকিৎসা দেয়ার মতো ঢাকার তুলনায় লোকবল ও সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল। পুরো দেশজুড়েই অপরিকল্পত নগরায়ণের চিত্রটি সামনে আসে অগ্নিদুর্ঘটনার সময়ে। এছাড়া নীতিমালা লঙ্ঘন, জবাবদিহির শিথিলতা, অসাবধানতা এসব নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে, যা কমবেশি সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
অগ্নিকা- মোকাবেলায় পরিকল্পিত নগরায়ণ অতি আবশ্যক। পরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে উঠলে নীরাশয় সংরক্ষণ সম্ভবপর হবে, জনগণের সচেতনতাও বাড়ানো সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম অন্যান্য ধর্মের সাথে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে না। পবিত্র দ্বীন ইসলাম কখনোই কথিত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অধীন হতে পারে না।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সংবিধান, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী আপত্তিকর শব্দ প্রকাশের বিপরীতে মহান আল্লাহ পাক উনার ‘কুদরত’ ও ‘রহমত’ এ ছিফত মুবারক দ্বয়ের ব্যাপক প্রচলন ঘটাতে হবে
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
দেশে ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম বাড়ছেই। ১২ হাজার কোটি টাকার ওষুধের এক-দশমাংশই নিম্নমানের। ভেজাল ওষুধে বহুবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সরকার এখনই প্রতিরোধ না করলে দেশের জনস্বাস্থ্য মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের লবণচাষীরা হাজার কোটি টাকার লবণ আমদানী ঠেকিয়ে রেখেছে লবণচাষীদের উপর বিভিন্ন চাপ, বাধা ও নিয়ন্ত্রণ তৈরী করছে সিন্ডিকেট অপরদিকে দেদারছে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর সোডিয়াম সালফেট আমদানী করে লবণ বলে বাজারজাত করা হচ্ছে
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! নিয়মের জটিলতায় ক্ষতিপূরণ পেতে দেরি আহত ও নিহতদের পরিবারের লালফিতায় আটকা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্ষতিপূরণ
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নিজেদের জীবন পঙ্গু করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যারা ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই ছাত্র-জনতা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে না। তাদের বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, রাস্তায় নামতে হচ্ছে! এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা এই অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আর কি হতে পারে?
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গঃ সম্মানিতা হুর, গেলমানের আলোচনায় কুণ্ঠা। তার বিপরীতে অশ্লীল শব্দ আওড়াতে স্বতঃস্ফূর্ততা হুর, গেলমান লাভের মানসিকতা পোষণের পরিবর্তে বিবস্ত্রপনায় বিপর্যস্থ হওয়া তথা চরিত্রহীনতায় পর্যবসিত হওয়া। নাঊযুবিল্লাহ!
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সঠিক পরিসংখ্যান ও জরিপের অভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার সঠিক পরিসংখ্যান ছাড়া শুধু অর্থনীতিই নয় কোনো খাতেরই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সম্ভব নয় বাজার নিয়ন্ত্রণে চাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত জরিপ তথা পরিসংখ্যা
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)