আর কত মানুষ পুড়লে? বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ আর কত বাড়লে? যানজট আর কত তীব্র হলে? জনজট আর কত ভয়ানক হলে? সরকারের কর্তাব্যক্তিদের হুশ হবে যে- অপরিকল্পিত এবং ধারণ ক্ষমতায় অক্ষম যে “গোটা ঢাকা মহানগরীই একটা মহা বিস্ফোরক”! বাঁচার জন্য অনিবার্য ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ ঢাকার জনজট সব জেলা শহরে ও থানা শহরে স্থানান্তরিতকরণ।
, ২২ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২০ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মন্তব্য কলাম
প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেসব কারণে রাজধানী বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ সেগুলোর অন্যতম। নগরায়ণ পরিকল্পনা অনুযায়ী না হওয়ায় দুর্যোগ মোকাবেলায় যেসব অনুষঙ্গ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, ভবনগুলোতে সেগুলো নেই বললেই চলে। কোনো ট্র্যাজেডির পর কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন হয় না। গড়ে ওঠা অবকাঠামোগুলোর পর্যবেক্ষণেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা লক্ষণীয়। ফলে সার্বিকভাবে রাজধানীতে অগ্নিঝুঁকির মাত্রা বেড়েই চলছে।
চকবাজারের চুড়িহাট্টা, বনানীর এফ আর টাওয়ার, গুলশান ডিএনসিসি মার্কেট ও সর্বশেষ খিলগাঁওয়ের মিউনিসিপ্যাল সুপার মার্কেটের অগ্নিকা- এসবেরই প্রামাণ্য উদাহরণ।
উল্লেখ্য, প্রতিটি নগরেরই বৈশ্বিক মানদ- থাকে। ঢাকা শহরে সেই মানদ-ের কিছুই নেই। যে সংস্থার যে দায়িত্ব তারা সেটা ঠিকমতো পালন করে না। কর্তৃপক্ষগুলোকে জবাবদিহির মধ্যে আনা হয় না। অগ্নিদুর্ঘটনা কী কারণে ঘটছে, কার গাফিলতিতে ঘটছে, তা উদ্ঘাটন করা গেলে এবং দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হলে এসব দুর্ঘটনা কিছুটা কমতো। এখানে এই জবাবদিহির বড় অভাব। এখন সরকারকেই শক্ত হতে হবে।
সাম্প্রতিক অগ্নিকা-গুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে একটি ভবনে যেসব অগ্নিনিরাপত্তা সামগ্রী থাকা প্রয়োজন, নির্মাণ কাঠামো যেমন হওয়া প্রয়োজন- সেসবের অভাব রয়েছে। ভবনটি যে কাজে ব্যবহার হওয়ার কথা, কার্যত তা হয়নি। অনুমোদন ছাড়াই এবং ঝুঁকি বিবেচনা না করেই ভবনের তলার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ভবনের বাসিন্দাদের অগ্নিনির্বাপণ সম্পর্কে সম্যক ধারণাও ছিল না। এতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৬ হাজার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে।
২০১৭ ও ২০১৮ সালে রাজধানীর ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে দুই হাজার ৬১২টি ভবনে জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। জরিপে দেখা যায়, এগুলোর মধ্যে মাত্র ৭৪টি ভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। দুই হাজার ৪৪৮টি ভবনে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই নেই এবং বাকি ৯০টি ভবনে রয়েছে অল্পস্বল্প ব্যবস্থা।
নগরবাসীরা ঢাকা শহরে একটি অগ্নিগর্ভে বাস করছে। মাটির নিচেও আগুন, ওপরেও আগুন। মাটির নিচে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের লাইন; ওপরেও বিদ্যুতের লাইন, বিভিন্ন তারের লাইন। এসব লাইনে যদি কোনো সময় আগুন লেগে গ্যাসপাইপের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায়, তাহলে পুরো ঢাকা শহর অগ্নিকু-ে পরিণত হবে। তখন কোন ভবন বাদ দিয়ে কোনটার আগুন নেভাবে ফায়ার সার্ভিস? আসলে ঢাকা শহরের যে অবস্থা, তাতে প্রতিদিনই আগুন লাগার কথা। কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ রহমতের কারণে লাগছে না।
পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকা সব জায়গাতেই অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটছে। আগুন কেন লাগে, কীভাবে ছড়ায়, তার বৈজ্ঞানিক বিশ্নেষণ করলেই কারণগুলো বেরিয়ে আসবে। রাজধানীর ভবনগুলোতে কোনো অ্যাভোকেশন প্ল্যান এবং অ্যাভোকেশন রুট নেই। তাই কোনো দুর্যোগ এলে ভবনের বসবাসকারীরা বুঝতে পারেন না কী ঘটতে যাচ্ছে, কোন পথে বেরোতে হবে। ভবনগুলোতে ফায়ার অ্যালার্ম নেই। নেই ফায়ার স্টিংগুইশার। যেগুলো থাকে সেগুলোর মেয়াদ থাকে না। থাকলেও বাসিন্দারা ব্যবহার জানে না। ভবনগুলোতে ফায়ার প্রুফ দরজা থাকার কথা- যা তাপ ও দাহ্যতা থেকে মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। যদিও বাস্তবে তা নেই। এসব কারণে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, রাজউক আওতাধীন এলাকায় ২৫ লাখ স্থাপনা রয়েছে। ছয়তলা পর্যন্ত স্থাপনা আছে ২১ লাখ ৫০ হাজার। সাততলা থেকে ২৪-২৫ তলা ভবন আছে ৮৮ হাজার। এগুলোর মধ্যে ১০ তলা এবং ১০ তলার বেশি উচ্চতাসম্পন্ন বহুতল ইমারত রয়েছে প্রায় চার হাজার। এগুলোর মধ্যে তিন হাজার ৭৭২টি ভবনই ব্যাপকভাবে অগ্নিঝুঁকিতে। ২০১৭ সালে ফায়ার সার্ভিস রাজধানীর শপিংমল, মার্কেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাসপাতাল, আবাসিক হোটেল ও মিডিয়া সেন্টারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ওপর পরিচালিত জরিপে এই চিত্র উঠে আসে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানের অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত ফায়ারসেফটি প্ল্যান নেই। ওই সময় তিন হাজার ৮৫৫টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। তখন সরকারি-বেসরকারি ৪৩৩টি হাসপাতালের মধ্যে ১৭৩টিকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৪৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ৩২৫টি আবাসিক হোটেলের ৭০টি 'খুবই ঝুঁকিপূর্ণ' এবং ২৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২৬টি মিডিয়া ভবনের মধ্যে মাত্র দুটির অগ্নিনিরাপত্তা প্রস্তুতি সন্তোষজনক বলে জানা যায়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালে সারা দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকা- ঘটেছে। প্রতিদিন গড়ে এ ঘটনা ঘটেছে ৭৭টি এবং এর ফলে কেবল গত বছরই ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের টুকরো, চুলা ও গ্যাসের লাইন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অধিকাংশ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে সারা দেশের তুলনায় রাজধানীতে আগুনের ঘটনা ঘটছে বেশি। প্রতি বছরই ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকা- দেখা যায়। নিমতলী, চুড়িহাট্টা, বনানীর এফআর টাওয়ার, ইউনাইটেড হাসপাতাল, চকবাজারে রেস্তোরাঁয়, বঙ্গবাজার, নিউমার্কেটসহ নানা জায়গায় ভয়াল অগ্নিকা-ে ঘটেছে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে বেইলি রোডের অগ্নিকা-ের ঘটনা।
সহজে ও স্বল্প সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে এ অঘটনগুলো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও প্রাথমিক উপকরণ পানি। অধিকাংশ সময় পানিস্বল্পতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে রাজধানী ঢাকায় পানির প্রাকৃতিক উৎস নেই বললেই চলে। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ শহরে মানুষের চাপে কমে এসেছে নীরাশয়। নীরাশয় ভরাট করে নির্মাণ হয়েছে বসতি ও স্থাপনা।
নির্মিত ভবনগুলো দীর্ঘদেহী কিন্তু প্রস্থে বেশ সংকীর্ণ। এক ভবনের সঙ্গে অন্য ভবনের খুব বেশি দূরত্ব নেই, নেই আশপাশে কোনো নীরাশয়। একদিকে নীরাশয় নেই, অন্যদিকে ঘনবসতিপূর্ণ ভবনের দরুন রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে যেতেও বেগ পেতে হয়। উপরন্তু শহরের কোথাও ফায়ার হাইড্রেন্ট (বিশেষ পানির কল) স্থাপন করা হয়নি। প্রাকৃতিক নীরাশয় না থাকলেও ফায়ার হাইড্রেন্টের মাধ্যমে আগুন নেভানো সম্ভব। যেহেতু এটি ওয়াটার রিজার্ভার বা মূল পানির লাইনে সংযুক্ত থাকে। এটির সঙ্গে পাইপ সংযুক্ত করে সহজেই পানি পেতে পারে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। অবশ্য বাস্তবে ভবনগুলোয় নেই ওয়াটার রিজার্ভার। অথচ ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় ওয়াটার রিজার্ভারের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
অগ্নিকা- প্রতিরোধে পানি ছাড়া অন্য যেসব নিরাপত্তাসামগ্রী দরকার এবং নির্মাণ কাঠামো যে ধরনের হওয়া প্রয়োজন সেসবের উপস্থিতি নেই অধিকাংশ ভবনে। এছাড়া অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায় না।
একবার আগুন ধরে গেলে শুরুতেই নেভানোর যেমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে, ভবনগুলো থেকে নিরাপদে বের হওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থাও পরিলক্ষিত হয় না। লিফট ও মূল সিঁড়ি ছাড়া জরুরি বহির্গমনের বিকল্প সিঁড়ি নেই। আবার ভবনের ভেতরে নেই বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা। ফলে আগুনে দগ্ধ না হয়েও অগ্নিকা-ের সময় ধোঁয়ার কারণে বের হতে না পেরে এবং তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে হতাহত হন অনেকে।
এ দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় উদ্ধারকাজ বিলম্বের জন্যেও। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা এখানে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত ফায়ার সার্ভিসের অভাব রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১১ সালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকা শহরে প্রতি ৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭০ অধিবাসীর জন্য মাত্র একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। অর্থাৎ ফায়ার সার্ভিসের সংখ্যা যেমন কম, তাদের জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিরও অপ্রতুলতা রয়েছে। অনেক কর্মীও উদ্ধারকাজের সময় মারা যায় নিরাপত্তার কারণে। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে প্রেরণ ও যথাযথ চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় স্বাস্থ্য খাতকে। তাছাড়া বাংলাদেশের শহরগুলোয় অগ্নিকা-ে আহতদের চিকিৎসা দেয়ার মতো ঢাকার তুলনায় লোকবল ও সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল। পুরো দেশজুড়েই অপরিকল্পত নগরায়ণের চিত্রটি সামনে আসে অগ্নিদুর্ঘটনার সময়ে। এছাড়া নীতিমালা লঙ্ঘন, জবাবদিহির শিথিলতা, অসাবধানতা এসব নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে, যা কমবেশি সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
অগ্নিকা- মোকাবেলায় পরিকল্পিত নগরায়ণ অতি আবশ্যক। পরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে উঠলে নীরাশয় সংরক্ষণ সম্ভবপর হবে, জনগণের সচেতনতাও বাড়ানো সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












