পাঠক কলাম:
ইতিহাস কথা বলে: নারী নির্যাতনের সাথে বিধর্মীদের সম্পৃক্ততার অনুসন্ধানে
, ২৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
বিধর্মীদের কথিত এক পুরুষের নাম হলো শিবাজি। এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শিবাজির অধীনস্থ মারাঠা দস্যু বাহিনী বাংলায় ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়েছিল, যা বাংলার ইতিহাসে ‘বর্গী হামলা’ নামে মশহুর। ‘খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো, বর্গী এলো দেশে’ ছড়াটি এখনো বর্গীদের নৃশংসতার সাক্ষর বহন করছে। বিধর্মী কবি গঙ্গারাম রচিত ‘মহারাষ্ট্র পুরাণ’ কাব্যে মারাঠা বিধর্মী দস্যুদের নৃশংসতার ইতিহাস তুলে ধরে বলা হয়েছে
“ভাল ভাল স্ত্রী-লোক জত ধইরা লইয়া জাএ
আঙ্গুষ্ঠে ধরি বাধি দেয় তার গলাএ
একজনা ছাড়ে তারে আরজনা ধরে
রমণের ডরে ত্রাহি শব্দ করে। ”
(তথ্যসূত্র: বঙ্গে মগ-ফিরিঙ্গী ও বর্গীয় অত্যাচার, মুহম্মদ আবদুল জলিল, বাংলা একাডেমী, পৃষ্ঠা ৫২)
মধ্যযুগের বাংলা রীতিতে লেখা গঙ্গারামের উপরোক্ত কবিতায় বলা হয়েছে, মারাঠারা ‘ভাল ভাল’ তথা সুশ্রী স্ত্রীলোক দেখলেই তাকে ধরে নিয়ে যেত।
‘একজনা ছাড়ে তারে আরজনা ধরে, রমণের ডরে ত্রাহি শব্দ করে’, এই লাইনটির তুলনা দেয়া যায় ডাস্টবিনে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করা কাক কিংবা কুকুরের পালের সাথে। অসভ্য মারাঠা দস্যুরাও সেভাবে স্ত্রীলোকদের কাড়াকাড়ি করে সম্ভ্রমহানি করতো, আর স্ত্রীলোকটি যন্ত্রণায় ত্রাহি চিৎকার করতো।
বিধর্মীরা এসব অসভ্য মারাঠাদেরকেই তাদের অনুকরণীয় ঐতিহাসিক চরিত্র বলে মেনে নিয়েছে, মারাঠা দস্যুদের নেতা শিবাজিকে ভারতের জাতীয় বীরের স্বীকৃতি দিয়েছে উগ্রতাবাদী বিধর্মীরা। তাই তাদের দেশটিও হয়েছে সম্ভ্রমহানির দেশ। পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আজও তারা নারীদেরকে গোশতের টুকরা জ্ঞান করে তাদেরকে কাড়াকাড়ি করে সম্ভ্রমহানি করে। যেমন কয়েক মাস আগে খবরে এসেছে, এক বিদেশী নারী পর্যটক ভারতে বেড়াতে এসে টং দোকানে চা পানরত একদল বিধর্মীর কাছে কোনো একটি জায়গার ঠিকানা জানতে চায়। তারা তার জবাবে সাথে সাথে হিংস্র পশুর মতো উক্ত মহিলা পর্যটকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার সম্ভ্রমহানি করেছিল।
ভারতে কোনো বিদেশী পর্যটকের কি হলো, তা নিয়ে এদেশের বাঙালি মুসলমানদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে আমাদের বক্তব্য হলো আমাদের দেশের প্রতিবেশী বিধর্মীদের নিয়ে। কারণ তাদের আদর্শ আর ভারতীয় বিধর্মীদের আদর্শ একই। তারাও শিবাজির মতো ডাকাতকে শ্রদ্ধা করে, তারাও এদেশের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিয়ে অখ- ভারত গঠনে বিশ্বাসী। বর্তমানেও এ দেশে বিধর্মী শিক্ষকরা শত শত মুসলিম ছাত্রীর সম্ভ্রমহানি করছে। অর্থাৎ আমরা যদি এ বিষয়ে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করি, তাহলে এই বাংলার পবিত্র যমীনও ভারতের মতো সম্ভ্রমহানির রাজ্য হতে বাধ্য।
-মুহম্মদ আদনান আখন্দ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












