ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন
, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) ইলমে তাছাউফ
![ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন](https://www.al-ihsan.net/uploads/1706912151_Murshid Qibla.jpg)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ একটি অপরটির পরিপূরক। তাই কোন ব্যক্তি যদি শুধু ইলমে ফিক্বাহ অর্জন করে কিন্তু ইলমে তাসাউফ অর্জন না করে তাহলে এটা তার জন্য হবে হিজাবে আকবর অর্থাৎ সবচেয়ে বড় পর্দা। আর যদি উভয়টি অর্জন করে তবে ইহা তার জন্য হবে হিদায়েতে আকবর। অর্থাৎ সবচেয়ে বড় হিদায়েত। তরীক্বত বা ইলমে তাসাউফ ছাড়া শুধুমাত্র শরীয়ত বা ইলমে ফিক্বাহ অর্জন করার মাধ্যমে কখনই পরিপূর্ণ ইলম বা হিদায়েত লাভ করা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,“আর যদি তারা তরীক্বতের উপর ইস্তেকামত থাকত তাহলে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি দ্বারা সিক্ত করতাম। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহর পাশাপাশি তরীক্বত বা ইলমে তাসাউফ অর্জন করতে পারবে তাকে পর্যাপ্ত ইলম দানের মাধ্যমে সিক্ত করা হবে অর্থাৎ ইতমিনান করা হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মিদের মাঝে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করে শুনাবেন, তাযকিয়া করবেন, কিতাব এবং হিকমত শিক্ষা দিবেন যদিও ইতিপূর্বে তারা স্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে ছিল অর্থাৎ হিদায়েতের উপর ছিল না। উনাদের পরে আরো অনেকে আসবেন যারা এখনো উনাদের সাথে মিলিত হন নি। তিনিই পরাত্রুমশীল, প্রজ্ঞাময়। এটা মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল বা অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই দান করেন। মহান আল্লাহ পাক সবচেয়ে বড় অনুগ্রহশীল।” এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার থেকে যে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যমীনের বুকে প্রেরণ করেছেন। যেন উনারা উনাদের উম্মতদেরকে কিতাব, হিকমত অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ এবং ইলমে তাসাউফ শিক্ষা দেন এবং তাদেরকে তাযকিয়া অর্থাৎ অন্তর পরিশুদ্ধ করেন। আর উনারাও সেই সম্মানিত কাজের যথাযথ আঞ্জাম দিয়েছেন এবং উনাদের পরে উনাদের ক্বায়িম-মাক্বাম হিসেবে যুগে যুগে নায়িবে রসূল, ওয়ারাছাতুল আম্বিয়া উনারা এসেছেন, আসবেন। উনারাও অনুরূপ করেছেন, করবেন। কিয়ামত পর্যন্ত এ ধারা বলবৎ থাকবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,“হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে এ উম্মতের জন্য একজন মুজাদ্দিদ উনাকে পাঠিয়ে থাকেন। যিনি দ্বীন-ইসলাম উনার মধ্যে তাজদীদ করেন।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- যামানার মুজাদ্দিদ ও কামিল শায়েখ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করে মু’মিনে কামিল হওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
তাছাউফ উনার প্রথম শিক্ষাই হচ্ছে- সর্বাবস্থায় নিজ শায়েখ উনার দিকে রুজু থাকা
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রত্যেক উম্মতকে শরীয়ত এবং তাছাওউফ দেয়া হয়েছে
০৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নক্শবন্দিয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ
০৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র ইলমে ফিক্বাহ ও পবিত্র ইলমে তাছাওউফ উনাদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
০১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুহলিকাত তথা বদ স্বভাব
২৭ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ওলীআল্লাহগণের ছোহবত ব্যতীত নেক খাছলত অর্জন সম্ভব নয়
২৬ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুনজিয়াত বা নেক গুণাবলীর বিবরণ
২৬ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
চীশতিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ
২২ জুন, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৪)
০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আক্বীদা বিশুদ্ধ রাখার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
০৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৩)
০৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)