নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
ইলম হাছিলের মূল উদ্দেশ্য-৫
, ২৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
পবিত্র কিতাবুল্লাহ থেকে ইলম অর্জন করা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰـى عَنْـهُمَا قَالَ مَنْ تَـعَلَّمَ كِتَابَ اللهِ ثُـمَّ اتَّـبَعَ مَا فِـيْهِ هَدَاهُ اللهُ مِنَ الضَّلَالَةِ فِـي الدُّنْـيَا وَوَقَاهُ يَـوْمَ الْقِيَامَةِ سُوْءَ الْـحِسَابِ وَفِـىْ رِوَايَةٍ قَالَ مَنِ اقْــتَدٰى بِكِـتَابِ اللهِ لَا يَضِلُّ فِـى الدُّنْـيَا وَ لَا يَشْقٰى فِـى الْاٰخِرَةِ ثُـمَّ تَلَا هٰذِهِ الْاٰيَـةَ فَـمَنِ اتَّـبَعَ هُدَاىَ فَلَا يَضِلُّ وَ لَا يَشْقٰى. (رواه رزين)
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব শিক্ষা করে অতঃপর কিতাবের মধ্যে বর্ণিত বিষয় সমূহ অনুসরণ করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দুনিয়াতেই গোমরাহী থেকে হিদায়েতের পথে পরিচালিত করবেন এবং কিয়ামতের দিন কঠিন হিসাব থেকে রক্ষা করবেন। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব অনুসরণ করবে, সে ব্যক্তি দুনিয়াতে গোমরাহ হবে না এবং পরকালে হতভাগ্যও হবে না। তারপর আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করলেন, ‘যারা হিদায়েত অনুসরণ করবে, তারা গোমরাহ হবে না এবং হতভাগ্য হবে না। সুবহানাল্লাহ!
[রযীন শরীফ]
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,
وَعَنْ أَبِـيْ رَافِعٍ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰی عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلٰى أَرِيْكَتِهٖ يَأْتِـيْهِ الأَمْرُ مِنْ أَمْرِيْ مِـمَّا أَمَرْتُ بِهٖ أَوْ نَـهَيْتُ عَنْهُ فَـيَـقُوْلُ لاَ أَدْرِيْ مَا وَجَدْنَا فِـيْ كِتَابِ اللّٰهِ اتَّـبَـعْنَاهُ . (رواه أحمد وأبو داود، والترمذي، وابن ماجه، والبيهقي في دلائل النبوة )
হযরত আবূ রাফি’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তোমাদের কাউকে যেন এমন অবস্থায় না পাই যে, সে স্বীয় গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, আর তার নিকট আমার নির্দেশাবলীর কোনো নির্দেশ এসে পৌঁছবে, যা আমি আদেশ করেছি অথবা যা হতে নিষেধ করেছি। তখন সে বলবে আমি কিছুই জানি না, যা মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবে পেয়েছি তাই অনুসরণ করছি।
[আহমদ, আবূ দাউদ, তিরমিযী, বাইহাক্বী ও ইবনে মাজাহ শরীফ]
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












