ইলম হাছিলের মূল উদ্দেশ্য-৭

, ২৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৫ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা

আলোচ্য পবিত্র হাদীছ শরীফে যা বলা হয়েছে, তা দ্বারা মূলত পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বা পবিত্র হাদীছ শরীফকেই বুঝানো হয়েছে। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফের ব্যাখ্যা। তাই পবিত্র হাদীছ শরীফ না জানলে পবিত্র কুরআন শরীফ বুঝা বা অনুধাবন করা এবং অনুসরণ করা কখনো সম্ভব হবে না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে নামায আদায় করতে বলেছেন কিন্তু কখন, কিভাবে, কত রাক‘য়াত আদায় করতে হবে তা পবিত্র হাদীছ শরীফে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এভাবে পবিত্র কুরআন শরীফের প্রতিটি বিষয়ই পবিত্র হাদীছ শরীফে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এজন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “নিঃসন্দেহে আমাকে পবিত্র কুরআন শরীফের সাথে উনার অনুরূপ পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বা পবিত্র হাদীছ শরীফ দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই তা কুরআন শরীফের সমতুল্য বা তার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।” কারণ, ব্যাখ্যা ব্যতীত কুরআন শরীফের হুকুম-আহকাম অনুধাবন করা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়।

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,

وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْـهَوَىٰ ﴿৩﴾ إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ ﴿৪﴾ سورة النجم

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট যা কিছু ওহী মুবারক করা হয়, তা ব্যতীত তিনি নিজ থেকে কোনো কিছু বলেন না। [সূরা নজম শরীফ: ৩-৪]

ট্যাগসমূহঃ ইলম হাছিলের মূল উদ্দেশ্য