শিক্ষামূলক ঘটনা:
ইলিম চর্চায় কতবেশি মনোযোগ!
, ৩০ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
এক দেশে ছিলেন একজন বুযুর্গ লোক। তিনি সবসময় একমাত্র সন্তানের ইলিম-তা’লিমের প্রতি খুব খেয়াল রাখতেন। একদিন সন্তান পড়াশোনা করার সময় উনার কাছে উনাদের কাজের লোক কাছে বসা ছিল। সন্তান তিনি কাজের লোকের কাছে পানি খেতে চাইলেন। কাজের লোকটি গৃহকর্তা বুযুর্গ উনার কাছে গিয়ে জানাল, আপনার সন্তান তিনি পানি খেতে চাইছেন। বুযুর্গ লোক জানতে চাইলেন, আমার সন্তান এখন কী করছেন? লোকটি উত্তর দিল, তিনি এখন পড়াশোনায় ব্যস্ত। বুযুর্গ লোক তখন আফসোস করে বললেন, হায়! আহ! এটা আবার কেমন পড়াশোনা! ইলিম অর্জন করার সময় আবার পানির কথা মনে থাকে কী করে! তাহলে কি দুনিয়ায় ইলিম আর থাকবে না! আমার বংশে কি আর কোনো ফকীহ, আলিম তৈরি হবে না! বুযুর্গ লোক তখন সন্তানকে পরীক্ষা করার ইচ্ছা করলেন। তাই কাজের লোকটির হাতে পানির বদলে এক পেয়ালা কেরোসিন দিয়ে বললেন, যাও এই কেরোসিনের গ্লাস নিয়ে তাকে খেতে দাও।
পাশাপাশি তিনি কী করেন খেয়াল করবে। কাজের লোকটি এই নির্দেশ শুনে অবাক হলো। যা হোক, মালিকের আদেশ তো আর অমান্য করা যাবে না! লোকটি কেরোসিন ভর্তি পেয়ালা নিয়ে সন্তানের হাতে দিল। সন্তান তখন পড়াশোনায় ভীষণ ব্যস্ত। পেয়ালা হাতে পেয়ে ‘বিসমিল্লাহ বলে সবটুকু কেরোসিন তিন চুমুকে খেয়ে ফেললেন এবং আবার ইলিম অর্জনে ব্যস্ত হলেন। এবার কাজের লোকটি আরো বেশি অবাক হলো। সে তার বুযুর্গ লোকের কাছে এসে পুরো ঘটনা খুলে বলল। সব শুনে বুযুর্গ লোক তিনি অনেক খুশি হলেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ শুকরিয়া আদায় করলেন। এরপর বললেন, যাক এখনো আমার বংশে ফকীহ, আলিম তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। আশা করি আমার বংশে ভালো ফকীহ, আলিম তৈরি হবেন।
জানেন? এই সন্তান তিনি কে ছিলেন? যিনি ইলিম চর্চায় এতো মনোযোগী হওয়ার কারণে কেরোসিনকে পানি মনে করে খেয়ে ফেললেন। তিনি হলেন, বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক ও বুযুর্গ ওলীআল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আল্লামা জালালুদ্দিন রুমি রহমাতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ!
মুবারক নছীহত : মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ তিনি যাকে চান হিকমত দান করেন। আর যাকে হিকমত দান করা হয়েছে, তাকে প্রভূত কল্যাণ দেওয়া হয়েছে। ’ (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ নং ২৬৯)। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁর ভালাই চান, তাকে দ্বীনের ছহীহ সমঝ দান করেন। ” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার উদ্দেশ্যে জরুরত আন্দাজ দুই প্রকার ইলিম, ইলমে ফিকা¡হ ও ইলমে তাছাউফ হাছিল করার জন্য সবাইকে গভীরভাবে মনোযোগী হতে হবে।
-উম্মু রাফিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












