নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উত্তম চরিত্র-৫
, ১৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
فَبِمَا رَحْـمَةٍ مِّنَ اللّٰهِ لِنْتَ لَـهُمْ ۖ وَلَوْ كُنتَ فَظًّا غَلِيْظَ الْقَلْبِ لَانْـفَضُّوْا مِنْ حَوْلِكَ ۖ فَاعْفُ عَنْـهُمْ وَاسْتَـغْفِرْ لَـهُمْ وَشَاوِرْهُمْ فِي الْأَمْرِ ۖ فَإِذَا عَزَمْتَ فَـتَـوَكَّلْ عَلَى اللّٰهِ ۚ إِنَّ اللّٰـهَ يُـحِبُّ الْمُتَـوَكِّلِيْـنَ ﴿১৫৯﴾ آل عمران
মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারকের কারণে আপনি তাদের সাথে নরম বা কোমল ব্যবহার করেছেন। যদি আপনি কর্কশ বা রুক্ষভাষী ও কঠিন হৃদয়ের হতেন তবে তারা আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যেত। আপনি তাদেরকে ক্ষমা করুন, তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন, কাজের ক্ষেত্রে তাদের সাথে পরামর্শ করুন। তারপর যখন কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হন, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা করুন (অর্থাৎ যখন কোনো কাজের নিয়ত করবেন, মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা করেই করবেন)। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার উপর ভরসাকারীদেরকে মুহাব্বত করেন। [সূরা আলে ইমরান শরীফ: ১৫৯]
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কোমল প্রকৃতির ছিলেন। উম্মতের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো উনার অনুসরণে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন-তাবে তাবেয়ীন উনাদের উত্তম ব্যবহার, চরিত্রের মাধুর্যতায় মুগ্ধ হয়ে অসংখ্য অগণিত মানুষ কুফরী শিরকী থেকে ফিরে এসে দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে দাখিল হয়েছেন। উত্তম চরিত্র ছিল মুসলমানগণের যাবতীয় উন্নতি ও সফলতার চাবিকাঠি। তাই পরবর্তীতে কাফিররা পবিত্র দ্বীন ইসলামের বৈশিষ্ট্য ‘উত্তম ব্যবহার’ নিয়ে নিজেরা উন্নতি সাধন করে লাভবান হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত তারা ভালো ব্যবহারের দ্বারাই মানুষদেরকে কুফরীর দিকে আকৃষ্ট করছে। অথচ মুসলমানগণ এসব বিষয়ে গাফিল হয়ে পড়ার কারণে দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে মুসলমানগণ মনে করে, আমি মুসলমান, আমি নাজাত প্রাপ্ত, আমার আর কিছু লাগবে না। এই ভেবে আর ভালো ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দেয় না। নাঊযুবিল্লাহ!
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












