নছীহতে কায়িম মাকামে উম্মাহাতুল মু’মীনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম
উত্তম চরিত্র-৬
, ১৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
(পূর্বে প্রকাশের পর)
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللّٰهَ تَـعَالٰـى رَفِيْـقٌ يُـحِبُّ الرِّفْـقَ وَيُـعْطِيْ عَلَى الرِّفْـقِ مَا لَا يُـعْطِيْ عَلَى الْعُنْفِ وَمَا لَا يُـعْطِيْ عَلٰى مَا سِوَاهُ (رواه مسلم) وَفِـيْ رِوَايَةٍ لَهٗ قَالَ لِعَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ عَلَيْكِ بِالرِّفْـقِ وَإِيَّاكِ وَالْعُنْفَ وَالْفُحْشَ إِنَّ الرِّفْقَ لَا يَكُوْنُ فِـيْ شَيْءٍ إِلَّا زَانَهٗ وَلَا يُــنْـزَعُ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا شَانَهٗ.
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কোমল বা দয়ালু। তিনি কোমল প্রকৃতির লোকদেরকে পছন্দ করেন। যারা কোমল প্রকৃতির তাদেরকে যা দেয়া হয়, যারা কঠোর প্রকৃতির তাদেরকে তা দেয়া হয় না। আর যারা কোমল প্রকৃতির, তারা ব্যতীত অন্য কাউকেই তা (রহমত-বরকত, সাকীনা) দেয়া হয় না। সুবহানাল্লাহ!
[মুসলিম শরীফ]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা আলাইহাস সালাম উনাকে বলেন, আপনি কোমলতাকে আবশ্যক করে নিন। কঠোরতা এবং অশ্লীলতা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। নিশ্চয়ই কোমলতা বা নম্রতা অর্থাৎ যার মধ্যে কোমলতাকে রাখা হয়, সেটা তার সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে দেয় এবং কোনো কিছু থেকে কোমলতাকে যখন ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তখন তা ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায়। [মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ]
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই কোমল, দয়ালু। তিনি ঐ ব্যক্তিকে মুহাব্বত করেন যে মানুষের প্রতি দয়া-ইহসান করে। যারা কোমল স্বভাবের, তারা যে নিয়ামত, রহমত-বরকত, সাকীনা লাভ করতে পারে; যারা কঠোর স্বভাবের, তারা তা লাভ করতে পারে না। যারা কোমল প্রকৃতির শুধুমাত্র তাদের প্রতিই এই বিশেষ নিয়ামত, রহমত-বরকত, সাকীনা নাযিল করা হয়। কোমলতার দ্বারা মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়, মর্যাদা বৃদ্ধি হয়, আর কোমলতা না থাকলে মানুষ ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায়, মানুষের মর্যাদা কমে যায়। এজন্যই বলা হয়েছে, মানুষের সাথে কোমল ব্যবহার করা এবং লজ্জাশীল হওয়া উত্তম চরিত্রের অন্তর্ভূক্ত। আমাদের উচিত, সুন্নতের অনুসরণে মানুষের প্রতি দয়া-ইহসান করা, কোমল ব্যবহার করা, নরম স্বরে কথা বলা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনাদের শান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন,
رُحَـمـَاءُ بَـيْـنَـهُمْ ﴿২৯﴾ سورة الفتح
(হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম) উনারা ছিলেন পরষ্পরের প্রতি পরষ্পর দয়ালু। [সূরা ফাতহ শরীফ: ২৯]
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনারা একজন অপরজনকে ইহসান করতেন। উনারা পরস্পর পরষ্পরের জন্য ছিলেন ভাই, এক ভাই অন্য ভাইয়ের জন্য সব কিছু দিয়ে দিতেন। এক ভাইয়ের কষ্ট হলে আরেক ভাইও কষ্ট অনুভব করতেন।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












