হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন:
একখানা পবিত্র আয়াত শরীফ ও শানে নুযূল
, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ.
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মু’মিনগণকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এতে তাদের জন্য অনেক পবিত্রতা আছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে মহান আল্লাহ পাক তিনি তা অবহিত। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)
উক্ত আয়াত শরীফের “শানে নুযূল” সম্পর্কে তাফসীরে উল্লেখ আছে, “হযরত ইবনু মারদুবিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় এক ব্যক্তি মদীনা শরীফের পথসমূহের কোন এক পথে চলছিল। সে এক মহিলার দিকে দৃষ্টি দিল এবং মহিলাও তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। সুতরাং শয়তান তাদের দু’জনকে ওয়াসওয়াসা দিল যার ফলে তারা আশ্চর্যান্বিত হলো এই ভেবে যে, তাদের দু’জনের কেউ অন্য কোন লোককে দেখছে না।
এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি দেয়ালের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে (মহিলাকে) দেখলো, যখন দেয়ালকে সম্মুখে রাখলো। (এতে সে কষ্ট, লজ্জা পেল) তাই তার নাক সে ফেঁড়ে দিল। অতঃপর সে ব্যক্তি বললঃ মহান আল্লাহ পাক উনার শপথ! আমি রক্ত ধৌত করব না যতক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি না আসবেন, এমনকি উনাকে আমার ব্যাপারটি জানাবো।
অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আসলেন। লোকটি উনাকে ঘটনাটি জানালো।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, (এটা তোমার গুনাহের শাস্তি। ) এ পরিপ্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত আয়াত শরীফ নাযিল করেন, “(আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মু’মিন পুরুষগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চক্ষুকে অবনত রাখে ...........। ” (তাফসীরে আয়াতুল আহকাম লিছ্ ছাবূনী ২য় খ- ১৪৮ পৃষ্ঠা, আদ দুররুল মানছূর লিস সুয়ূত্বী ৫ম খ- ৪০ পৃষ্ঠা)
-আহমদ আবু সাফওয়ান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












