একজন আহলিয়ার (স্ত্রী) জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ
, ১৮ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
১. আহাল বা স্বামীর আমানতসমূহের হিফাযত করা:
মহিলাদের প্রথম দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, আহাল বা স্বামীর যাবতীয় জিনিস যা তার অনুপস্থিতে স্ত্রীর কাছে আমানত হিসেবে রক্ষিত থাকে, তার হিফাযত করা। অর্থাৎ স্বামীর বংশ বা সন্তান, চরিত্র, ইজ্জত-আব্রু, ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা ইত্যাদি যাবতীয় রক্ষিত বিষয়বস্তুর হিফাযত করা স্ত্রী হিসেবে একজন নারীর পবিত্র দ্বীনি দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সুতরাং নেককার আহলিয়াগণ (স্ত্রীগণ) উনাদের স্বামীদের অনুগত হয়ে থাকে এবং তাদের অবর্তমানে মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহে তার আহাল (স্বামীর) যাবতীয় অধিকার সংরক্ষণকারিনী হয়ে থাকে। ” (পবিত্র সূরা নিসা, আয়াত শরীফ নং ৩৪)
উপরোক্ত আয়াত শরীফ থেকে বুঝা যায় যে, একজন নেককার নারী কখনও স্বামীর অবাধ্য হতে পারেন না।
২. আহাল বা স্বামীর আনুগত্য করা:
আহলিয়া বা স্ত্রীর দ্বিতীয় দায়িত্ব, কর্তব্য হচ্ছে আহালের আনুগত্য করা। অর্থাৎ স্বামীর কথামত চলা এবং স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে তার অনুপস্থিতে কোন কাজ না করা। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, “যারা নেক, সৎ ও চরিত্রসম্পন্না আহলিয়া বা স্ত্রী, উনারা স্বামীর অনুগত হয়ে থাকে। ”
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তাদের উপর তোমাদের (স্বামী) এই অধিকার রয়েছে যে, উনারা (স্ত্রী) এমন কোন ব্যক্তিকে তোমাদের ঘরে আসতে দেবে না, যাকে তোমরা আদৌ পছন্দ কর না। ”
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে মহিলারা মহান আল্লাহ পাক এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে উনাদের জন্য এটা জায়েয (বৈধ) নয় যে, তারা স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের হবে। ” (তিবরানী এবং বায়হাকী সুনানে হযরত মু’আয রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম থেকে বর্ণিত)।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অন্যত্র বলা হয়েছে, “আহাল বা স্বামীর উপস্থিতিতে আহলিয়া বা স্ত্রী তার অনুমতি ব্যতিরেকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার রোযা ছাড়া কোন নফল রোযা র াখবেনা। ”
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হয়েছে, “আহাল বা স্বামীর সন্তুষ্টিতে আহলিয়া বা স্ত্রীর বেহেস্ত। ” তবে আহাল বা স্বামী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানীমূলক কোন কাজে আদেশ দেয় তাহলে আহলিয়া বা স্ত্রীর জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, আহালকে বুঝানো অন্যথায় তার সেই আদেশ অমান্য করা। অর্থাৎ শরীয়তবিরোধী কাজে আদেশ দিলে সেই আদেশ মানা যাবে না। অনুসরণ করা যাবেনা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












