একজন মুসলমান হিসেবে ভাল ও মন্দের পার্থক্য করুন! (২)
, ০২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
তাদেরকে এত আযাব-গযব গ্রেফতার করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যখন তারা পানি পান করার জন্য পানি পানি বলে চিৎকার করতে থাকবে তখন তাদেরকে ফুটন্ত ঝরণার পানি পান করার জন্য দেওয়া হবে। সে পানির অবস্থা সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে- সে পানি এত গরম হবে তার এক ফোঁটা যদি দুনিয়ার কোন পাহাড়-পর্বতের উপর ফেলা হয় তাহলে সে পাহাড়-পর্বত উত্তপ্ততার কারণে গলে যাবে। আর সে পানি যখন জাহান্নামীরা অর্থাৎ বদকাররা পান করবে তখন তাদের নাড়ি-ভুঁড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তারপর তারা ক্ষুধায় কাতর হয়ে খাদ্য খাদ্য বলে চিৎকার করতে থাকবে তখন তাদেরকে এক প্রকার কাঁটাযুক্ত শুষ্ক ঘাস যা মাকাল ফল অপেক্ষা অধিক তিক্ত, গলিত মৃত দেহ অপেক্ষা অধিক দুর্গন্ধযুক্ত এবং অগ্নি অপেক্ষা অধিক উত্তপ্ত তা খেতে দেয়া হবে। তারপর ৭০ হাজার ফেরেশতা ৭০ হাজার শিকল দিয়ে আবদ্ধ করে সম্মানিত আরশ উনার বাম পার্শ্বে উপস্থিত করবেন।
আর জাহান্নামের অগ্নিস্ফুলিঙ্গগুলো এমনভাবে প্রজ্জ্বলিত হতে থাকবে এবং জাহান্নাম এমন ভয়ংকর শব্দ করতে থাকবে যা দুই’শ বৎসরের দূরের পথ থেকেও তার অগ্নিস্ফুলিঙ্গগুলো দেখা যাবে এবং শব্দও শোনা যাবে। এটা শুনে ও দেখে তারা তাদের বদ আমলের কারণে আফসুস করে বলতে থাকবে যে, হায়! আমরা যদি দুনিয়াতে থাকতে নছীহত গ্রহণ করতাম! আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে যমীনে পুনরায় প্রেরণ করুন। আমরা আপনার আদেশ-নিষেধ মুবারক পালন করে নেককার হয়ে আসবো। কিন্তু তাদের এই আরজু কোন কাজে আসবে না।
মূলত: মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছুই জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা কোন অবস্থাতেই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নাফরমানী করোনা। কেননা ক্বিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে এবং তোমাদেরকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট জবাবদিহিও করতে হবে। ” (পবিত্র সূরা ফজর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
প্রিয় পাঠক! আমাদেরকে কোন অবস্থাতেই দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হওয়া যাবে না এবং দুনিয়াকে মুহব্বত করা যাবে না। তা পরিপূর্ণভাবে ত্যাগ করতে হবে। কারণ: দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী আর পরকাল স্থায়ী ও উত্তম। সেখানে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক রয়েছে। আর এই সন্তুষ্টি মুবারক পেতে হলে, আযাব থেকে মুক্তি পেতে হলে রুহানী কুওওয়াত হাছিল করতে হবে। আর তা হাছিল করতে হলে একজন হক্কানী, রব্বানী কামিল শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে, ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে, সবক্ব নিয়ে, যিকির-ফিকির ঠিকমতো করে ফায়েজ-তাওয়াজ্জুহ হাছিল করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদের সকলকে সেই তাওফীক্ব দান করেন। আমীন!
-আহমদ কানিজ ফাতিমা আঁখি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












