পাঠক কলাম:
কাশ্মীরের ক্ষতবিক্ষত আসিফা ও শত্রুর শত্রুতা নিয়ে গাফিল মুসলিম
, ২২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহিলাদের পাতা
ভারতের কাশ্মীরে মন্দিরে পুরোহিত ও হিন্দু পুলিশ দিয়ে সম্ভ্রম হারানো ও মাথায় পাথর মেরে হত্যা করা আসিফার খবরটি সবাই জানেন। মুসলমান মেয়েকে ধর্ষণ করায় অভিযুক্তরা কাশ্মীরের হিন্দুদের নিকট এখন হিরো হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
পুরো খবরটির মধ্যে যে অংশটি উল্লেখযোগ্য, তা হলো ধর্ষক মন্দিরের পুরোহিতের পুরো পরিবার, নাবালক ছেলেও এই জঘন্য কর্মকা-ের সাথে জড়িত। নাবালকটি তার চাচাতো ভাইকে উত্তর প্রদেশের মীরাট থেকে কাশ্মীরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ৮ বছরের আসিফাকে ধর্ষণ করার জন্য। ৮ দিন পাশবিক নির্যাতন শেষে যখন আসিফাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়, তখন ধর্ষণকারীরা সক্ষম হয় না আসিফাকে হত্যা করতে। সেই নাবালকই তখন আসিফার মাথায় পাথর মেরে থেতলে তাকে হত্যা করে।
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়নি যে, “নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমত ইহুদীদের, অতঃপর মুশরিকদের। ” দুনিয়ায় বেঁচে থাকার গাইডলাইন হিসেবেই পবিত্র কুরআন শরীফে বলা হয়েছে কাফির মুশরিকদের শত্রু ভাবতে হবে। কারণ কাফির মুশরিকরা মুসলমানদের যে পরিমাণ ঘৃণা করে, মুসলমানরা যদি পাল্টা তার চেয়ে বেশি ঘৃণা পোষণ করতে না পারে কাফির মুশরিকদের প্রতি, তাহলে মুসলমানরা কাফির মুশরিকদের দ্বারা গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হতে বাধ্য।
প্রাথমিক যুগে ছাহাবায়ে কিরামগণ এই ঘৃণার যুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছিলেন, কারণ কাফির মুশরিকদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করার জন্য যে ঈমানী শক্তির প্রয়োজন, মুসলমানিত্বের প্রয়োজন, তা উনাদের পুরোটাই ছিল। দ্বীণ ইসলামের প্রাথমিক যুগে মাত্র ১৬ বছর বয়সে সিন্ধু বিজয় করেছিলেন মুহম্মদ বিন কাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি, এতে বোঝা যায় যে তখনকার মুসলমানগণ শিশুকাল থেকেই সন্তানদের মধ্যে কাফির মুশরিকদের প্রতি ঘৃণাবোধ সঞ্চারিত করতেন। একারণেই মুসলমানরা একদা সারাবিশ্ব শাসন করতে পেরেছিলেন।
তীর-তলোয়ার-বন্দুক মূল বিষয় নয়, মূল বিষয় হলো জাতি ‘মোরালাইজড’ কিনা? তারা তাদের শত্রুদেরকে শত্রু হিসেবে ঘৃণা করতে পারে কিনা, সে মানসিক শক্তি রাখে কি না?
-আদনান হামিদী আখন্দ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












