কুরবানীর হাটে কেন আদায় হবে ‘ইজারা’ ও ‘হাসিল’?
, ০৭ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত

একটি হাটের ব্যবস্থাপনায় সরকারের কত টাকাইবা খরচ হবে? এই সরকারই কিন্তু নিজের দলের খাতিরে, পূজা-পার্বণে কোটি কোটি টাকা খরচ করে থাকে।
বিশেষ করে দেখা যায়, পূজার সময় দেশের বিভিন্ন মাঠ-ঘাট দখল করে পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তখন কিন্তু কেউ সে জায়গাগুলো ইজারা দেয় না বা সেখানে গিয়ে কেউ হাসিল দাবি করে না। উপরন্তু সরকার তাদের পূজায় টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকে।
৯৮ ভাগ মুসলমানদের এই দেশে মুসলমানরা বছরে একবার নিজের দ্বীনি অধিকার পবিত্র কুরবানী আদায় করতে গিয়ে কোন বরাদ্দ, ভর্তুকিতো পাচ্ছেই না বরং ইজারা আর হাসিলের নামে জুলুম-নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিপরীতে সংখ্যালঘু হয়েও ইজারা ও হাসিল ছাড়াই নির্বিঘেœ দেশের বিভিন্ন মাঠ-ঘাট ব্যবহার করে পূজা-পার্বণ পালন করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন্তা করলে প্রশ্ন আসে, এ দেশের সরকারী আমলারা যে টাকা দিয়ে আরাম-আয়েশ করছে, সংখ্যালঘুদের পূজায় বরাদ্দ দিচ্ছে, সে টাকাগুলো তারা কিভাবে পেয়েছে? এগুলোতো তাদের বাপের পকেটের টাকা নয়। এগুলো এ দেশের মানুষের টাকা। এ দেশের মুসলমানদের টাকা। তাহলে মুসলমানদের এই টাকা মুসলমানদের পবিত্র কুরবানীর জন্য খরচ করতে বাধা কোথায়?
সার্বিক দিক বিচেনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পবিত্র কুরবানীর অবদান অনেক ব্যাপক। কুরবানী আসলে দেশজুড়েই অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পায়। আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় নিয়ামক হচ্ছে এই গরু, ছাগল, মহিষ কেনাবেচা এবং চামড়াসহ অন্যান্য শিল্প।
সবশেষে বলতে হয়, এই দেশের সার্বিক উন্নয়নে মুসলমানদের এত এত অবদান, সরকারও মুসলমানদের থেকে এত এত পায়, তারপরও কেন সেই মুসলমানদেরকেই বঞ্চিত হতে হচ্ছে? জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে?
মূলত কুরবানী নির্বিঘেœ করতে পারা,
কুরবানীতে সরকারী বরাদ্দ পাওয়া,
কুরবানীর হাট ব্যবস্থাপনায় ভর্তুকি পাওয়া
-এগুলোতো মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার।
তাই সরকারের উচিত- হাসিল ও ইজারা প্রথা বাদ দিয়ে কুরবানীর পশুর হাটগুলোর জন্য বিশেষ বরাদ্দ করে সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করা। এবং হাসিল নামক জুলুম ও হয়রানি থেকে কুরবানী দাতাদের রক্ষা করে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা।
-আবুল কালাম আর রাযী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র যাকাত-এর টাকা কুক্ষিগত করে রোযা ও ঈদ পালন কোনো প্রকৃত মুসলমান করতে পারে না
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ভারতের সেবাদাস পতিত জালিম সরকারের পতনের পর দিন দিন প্রমাণিত হচ্ছে বাংলাদেশের উপর ভারতের নির্ভরতা। ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানী বন্ধের সিদ্ধান্তে ভারতের মাথায় হাত। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে আরো মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে হবে এবং ভারতের মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে ইনশাআল্লাহ!
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফের সম্মানার্থে ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করছেন চাঁদপুরের এক ব্যবসায়ী। পবিত্র রমাদ্বান শরীফের সম্মানার্থে দেশের অন্য ব্যবসায়ীদেরও এভাবে এগিয়ে আসা উচিত। ইনশাআল্লাহ!
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আপনার পবিত্র যাকাত-ফিতরা কোথায় দেয়া উচিত?
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুসলিম ভ্রাতৃত্ব পূর্ণ সম্পর্ককে সহ্য করতে পারছে না ভারত। ভারতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এবং সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত সামরিক, বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়ন করা।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মসজিদ কমিটিকে রাজি-খুশি করাই যাদের উদ্দেশ্য!
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র ইফতারীতে একটু পছন্দের ফল খেতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষুব্ধ রোযাদাররা বর্তমান উপদেষ্টা সরকারকে উপহাসের সরকার হিসেবে দেখছে
১৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তির জবাব দেয়া ঈমানের দাবি
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিরে আসো... ফিরে আসো...
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যুগের সাথে তাল মিলানো, নাকি শয়তানের সাথে তাল মিলানো?
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
গণমাধ্যমে খবরে হেডিং হয়েছে, “রমাদ্বান শরীফে বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় কলকাতার ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত” “বাংলাদেশিরা না যাওয়ায় হাহাকার আধপেটা থাকছে কলকাতার ব্যবসায়ীরা” “নেই বাংলাদেশি পর্যটক, কলকাতায় মানবেতর পরিস্থিতিতে রিকশাচালকরা”
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্যক্তির জন্যই রাষ্ট্র, কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য ব্যক্তি নয়; আর দ্বীনদার ব্যক্তির জন্য দ্বীন ইসলামই সবচেয়ে বড়
১২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)