এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَابِسٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَأَلْتُ حَضْرَتْ أُمَّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةَ الصَّدِّيقَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ عَنْ لُحُوْمِ الْأَضَاحِيِّ؟ قَالَتْ كُنَّا نَـخْبَأُ الْكُرَاعَ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرًا ثُـمَّ يَأْكُلُهٗ.
অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবিস রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। উনার পিতা বলেন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে কুরবানীর গোশত সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। সাইয়্যিদাতুনা বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৬৭. প্রসঙ্গ- খাসি কুরবানী করা জায়িয ও সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : তারা বলে থাকে যে, খাসি কুরবানী করা জায়িয নেই। তাই খাসি কুরবানী করলে কুরবানী হবে না। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : খাসি কুরবানী করা শুধু জায়িযই নয়, বরং সুন্নাতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার অন্তর্ভুক্ত। স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই খাসি কুরবানী করেছেন। যা ছিহাহ সিত্তার হাদীছ শরীফ দ্বারাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।
অতএব, যা স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেদিন দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক আনলেন, সেই দিন অর্থাৎ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ উনার সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ) ঈদের দিন তো অবশ্যই; শুধু তাই নয়; সেদিন রোযার ঈদ, কুরবানীর ঈদ, জুমু‘আর ঈদসহ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে আরো যত বড় বড় বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
১. প্রতি দমে দুটি ঈদ ও দুটি ঈদে আকবর হওয়ার দলীল:
বিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হযরত ইসমাঈল হাক্কী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১১২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ান’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন-
عاشقان در دمے دو عيد كنند
(বাংলা উচ্চারণ: আশেক্বানে দর দমে দো ঈদ কুনান্দ। )
অর্থ: “আশেক্বীন উনাদের প্রত্যেকটা শ্বাস-প্রশ্বাসেই দুটি ঈদ হয়। ” সুবহানাল্লাহ! (রূহুল বয়ান ৬/৪৭১)
অন্যভাবে বলা হয়ে থাকে যে,
عارفان هر دمے دو عید کنند
(বাংলা উচ্চারণ: আরেফানে হর দমে দো ঈদ কুনান্দ। )
অর্থ: “সম্মানিত আর বাকি অংশ পড়ুন...
ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার এবং হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের ক্বওল শরীফ দ্বারা দলীল:
৬ষ্ঠ হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর আব্দুল ক্বাদির জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিলাদত শরীফ ৪৭০ হিজরী শরীফ : বিছাল শরীফ ৫৬১ হিজরী শরীফ) তিনি উনার কিতাবে উল্লেখ করেন,
اِنَّ رَجُلًا دَخَلَ عَلٰى اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِىْ يَوْمِ عِيْدٍ وَهُوَ يَأْكُلُ الْخُبْزَ الْخُشْكَارَ فَقَالَ لَهٗ اَلْيَوْمُ يَوْمُ الْعِيْدِ وَاَنْتَ تَأْكُلُ الْخُبْزَ الْخُشْكَارَ فَقَالَ اَلْيَوْمُ عِ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাব থেকে দলীল:
স্বয়ং হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজেই বলেছেন, ‘খাছ মু’মিন উনাদের জন্য প্রতিটি দিনই ঈদ। ’ সুবহানাল্লাহ! এবং তিনি আরো বলেছেন, ‘খাছ মু’মিন উনাদের জন্য দুনিয়ার যমীনে এবং পরকালে প্রত্যেকটা সময় ঈদ। ’ সুবহানাল্লাহ!
যেমন- হযরত ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘লাত্বায়িফুল মা‘আরিফ’ কিতাবের ২৭৮ নং পৃষ্ঠায় বলেন,
كُلُّ يَوْمٍ كَانَ لِلْمُسْلِمِيْنَ عِيْدًا فِى الدُّنْيَا فِاِنَّهٗ عِيْدٌ لَّهُمْ فِى الْجَنَّةِ يَجْتَمِعُوْنَ فِيْهِ عَلٰى زِيَارَةِ رَبِّهِمْ وَيَتَجَلّ বাকি অংশ পড়ুন...
মোবাইলফোন এখন ছোট-বড়, ছেলে-মেয়ে সবাই ব্যবহার করে। মোবাইলফোনে ইন্টারনেটের ব্যবহারও সর্বত্র। ইন্টারনেটের এই অবাধ ব্যবহারে দেশের উঠতি বয়সের শিশু, কিশোর, যুবক থেকে শুরু করে সকলেই যে পর্নো দেখা, অশ্লীল ছবি-ভিডিও দেখাসহ নানা রকম বেহায়াপনায় যুক্ত হচ্ছে সেটা কারোই অজানা নয়। শুধু এসবই নয়, খুন-খারাবি, চুরি-ডাকাতি কিভাবে করা যায় এসবের সিনেমা নাটকও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা দেখে থাকে।
আর এসব কিছু দেখা থেকেই শুরু হয় নারীটিজিং, সম্ভ্রম হরণে, শ্লীলতাহানি। আবার খুন খারাবি, চুরি-ডাকাতির নাটক-সিনেমা দেখে শিশু-কিশোররা প্র্যাকটিক্যালি এসব অ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
বাতিল আক্বীদা ও ফিরক্বার লোকদের বক্তব্য হচ্ছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ; তাই মতভেদ সম্পর্কিত বিষয় পালন করা ঠিক নয়। আর ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ বিলাদত শরীফ উনার দিন এটা সবচেয়ে দুর্বল মত। ” এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফায়সালা কি?
জাওয়াব: (৪র্থ অংশ)
যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت ابى بكرة رضى الله تعالى عنه قال خطبنا النبى صلى الله عليه وسلم يوم النحر قال ان الزمان قد استدار كهيئته يوم خلق الله السموات والارض السنة انثى عشر شه বাকি অংশ পড়ুন...
বাংলার যমীনে গরু যবেহকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের আগমন ও জিহাদ:
১. ১১৭৮ সালে তৎকালীন আরব থেকে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই বাংলায় আসেন সুফি বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি। বিক্রমপুরে তখন কথিত শাসক বল্লাল সেনের শাসন চলছিলো, সে সময় তিনি উনার অনুসারীদের নিয়ে এক কুরবানীর ঈদে গরু যবেহ করেন। এই কথা পৌঁছে যায় কথিত শাসক বল্লাল সেনের কাছে। সে রাগান্বিত হয়ে হামলা করে সুফি বাবা আদম শহীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে এবং উনাকে শহীদ করে। কিন্তু সে সময় যুদ্ধের নমুনা এমন ছিলো যে কথিত শাসক বল্লাল সেনের পরিবার মনে করে সে বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
২. প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে, প্রতি পলকে পলকে কোটি কোটি ঈদ, ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম বা তার চেয়েও বড় ঈদ হওয়ার দলীল:
কেউ যদি প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায়, প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পলকে পলকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণে খুশি মুবারক প্রকাশ করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করেন, উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উন বাকি অংশ পড়ুন...
প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ঈদ
১. প্রতি দমে দুটি ঈদ ও দুটি ঈদে আকবর হওয়ার দলীল:
বিশ্বখ্যাত মুফাসসির আল্লামা হযরত ইসমাঈল হাক্কী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১১২৭ হিজরী শরীফ) তিনি উনার বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ান’ উনার মধ্যে ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ উনার ১১৪ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ’ উনার তাফসীরে বলেন,
كُلُّ يَوْمٍ كَانَ لِلْمُسْلِمِيْنَ عِيْدًا فِى الدُّنْيَا فَهُوَ عِيْدٌ لَّهُمْ فِى الْجَنَّةِ يَجْتَمِعُوْنَ فِيْهِ عَلٰى زِيَارَةِ رَبِّهِمْ وَيَتَجَلّٰى لَهُمْ فِيْهِ فَيَوْمُ الْجُمُعَةِ فِى الْجَنَّةِ يُدْعٰى يَوْمَ الْمَزِيْدِ وَيَوْمُ الْفِطْرِ وَالْا বাকি অংশ পড়ুন...












