শিক্ষনীয় ঘটনা:
খলীফা হারুনুর রশীদকে স্ত্রী’র বদ কাজে বাধা দেয়া ও তালাকের ফায়সালা
, ০৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০২ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
তখন সে বললো- আমি যদি জাহান্নামী হই, তাহলে তোমাকে আমি এখনই তালাক দিয়ে দিলাম। যখন একথা বলে ফেললো হারুনুর রশীদ, তখন তার স্ত্রী আলাদা হয়ে গেল, জুদা হয়ে গেল। সে বললো আপনি আমার কাছে আর আসবেন না। কারণ আপনি জাহান্নামী হলে, আমি তালাক হয়ে যাই। এখন আপনি জাহান্নামী না জান্নাতী তার ফায়সালা কে করবে? কে তার ফায়সালা করবে?
তখন হারুনুর রশীদ সমস্ত আলিমদের দরবারে দরবারে ঘুরতে লাগলো এই মাসয়ালার জন্য। যে হারুনুর রশীদ! সে জাহান্নামী না জান্নাতী। কিন্তু কোন আলিম সেই ফায়সালা দিলেন না এই হেতু, কারণ জাহান্নামী এবং জান্নাতী কি করে ফায়সালা করা যাবে? শেষ পর্যন্ত হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার কাছে গিয়ে পৌঁছালো সেই হারুনুর রশীদ। গিয়ে বললো, হুযূর! এটা আপনাকে যেভাবে হোক ফায়সালা করে দিতেই হবে। উনি বললেন, ঠিক আছে অসুবিধা নেই। আপনাকে আমি কয়েকটা পশ্ন জিজ্ঞেস করবো, তার জাওয়াব দিতে হবে।
কি প্রশ্ন? প্রশ্ন হলো- আচ্ছা আপনি বলুনতো, আপনার জীবনে কোন সময় কখনও মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত রয়েছেন কিনা? মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে কোন খারাপ কাজ থেকে বিরত রয়েছ কিনা? হারুনুর রশীদ বললো যেহেতু আমি বাদশাহ আমার এই রকম অনেক সুযোগ ঘটেছে খারাপ কাজ করার জন্য। কিন্তু আমি একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে পাপ কাজ থেকে বিরত রয়েছি। তখন ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন- যে ঠিক আছে, আপনার স্ত্রী তালাক হয়নি, আপনি তার সাথে ঘর-সংসার করতে পারবেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে দাঁড়ায়ে জাওয়াব দিতে ভয় করে এবং যে নফসের বিরোধিতা করে, তার স্থান হবে মাওয়া বেহেশত। ”
যেহেতু হে খলীফা হারুনুর রশীদ আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে দাঁড়ায়ে জাওয়াব দিতে ভয় করেছেন এবং নফসের বিরোধিতা করেছেন, সেহেতু আপনাকে তো জাহান্নামী বলা যায় না। কাজেই আপনার স্ত্রী তালাক হয়নি, সমস্ত আলিম সম্প্রদায় যখন সেটা শুনলেন, উনারা সেটা মেনে নিলেন।
-আহমদ মুবাশশ্বিরা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












