খোলশ পরিবর্তনের সবচাইতে বড় নমুনা রাজাকার সাঈদী (ক)
এডমিন, ২৬ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ১৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বিশেষ প্রতিবেদন

‘নেকড়ে যেমন মেষের ছদ্মবেশ নিলেও নেকড়েই থেকে যায়, তেমনি একাত্তরের নরপশু রাজাকার-আল-বাদররা স্বাধীনতার পর ভোল পাল্টালেও নরপশু রাজাকার-আল-বাদরই থেকে গেছে। পিরোজপুরের একাত্তরের ‘রাজাকার দেইল্যা’ স্বাধীনতার পর জনগণকে ধর্মকর্মের কথা শুনিয়ে ‘আল্লামা সাঈদী’ হলেও তার অধর্মের অপকর্মের কলঙ্ক এখনো মুছে যায়নি। এখনো সাঈদীরা একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী দালাল-ঘাতক-রাহাজানির নির্মমতা। নৃশংসতার ভয়ঙ্কর প্রতীক।
গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নিপীড়ন ইত্যাদির মাধ্যমে এরা জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করেছে। এ সত্য থেকে আরো পলায়ন করতে পারে; কিন্তু সত্য নিষ্ঠুরভাবে আমৃত্যু তাদের ধাওয়া করে যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ঘাতক সাঈদীদের নাম উচ্চরিত হবে সীমাহীন ঘৃণায়।
স্বাধীনতার পর নেতৃত্বের অদূরদর্শিতায় দেশে স্বাধীনতার শত্রু রাজাকার-আল-বাদরদের সাময়িকভাবে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পুনর্বাসন হয়েছে; কিন্তু লাখো বীরের রক্তের সিঁড়ি দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা অর্থাৎ একাত্তরের বাস্তবতা ইতিহাস থেকে কখনো বিস্মৃত হবে না বলে রাজাকার-আল-বাদরদের প্রশ্নটি বার বার আসবে, যতদিন না কালের আবর্তে শেষ রাজাকারটির চিহ্ন মুছে ফেলা হবে।