গান-বাজনা করা ও শোনার পরিণাম নিকৃষ্ট আবাসস্থল জাহান্নাম
, ২০ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র সূরা হাশর শরীফ উনার ৭নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেনে তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। ”
এই পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ -নির্দেশ মুবারক মেনে চলার কথা বলেছেন এবং তিনি যে বিষয়ে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। যেমন- গান-বাজনা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই গান-বাজনা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি গান-বাজনা এবং মূর্তি ধ্বংস করার জন্য প্রেরিত হয়েছি। ”
এখন কেউ যদি গান-বাজনা থেকে বিরত না থাকে তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিষেধ মুবারক মানলো না। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিষেধকৃত বিষয় থেকে বিরত থাকতে বলেছেন সে আদেশ মুবারকও মানা হলো না।
সুতরাং মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ এবং নিষেধ মুবারক না মানার কারণে কঠিন শাস্তির উপযুক্ত হবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে নামধারী মুসলমানগণ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নির্দেশ মুবারক উনাদের প্রতি খেয়াল না করে বাড়িতে বাড়িতে, রাস্তা-ঘাটে এমনকি মসজিদেও গান-বাজনা শুনছে এবং সমাজচ্যূত অভিনয়কারী ফাসেক-ফুজ্জারদের আলোচনা করছে। নাউযুবিল্লাহ!
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মহান আল্লাহ পাক উনার হামদ শরীফ এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার না’ত শরীফ অথবা উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে মুবারক আলোচনা করা হয়, তাহলে তাদের কাজ ও কর্মে, পড়া-লেখায় এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে; কিন্তু তারা যে গান-বাজনা শুনছে, সমাজচ্যূত অভিনয়কারী ফাসেক-ফুজ্জারদের আলোচনা করছে এত কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। নাউযুবিল্লাহ!
এ প্রসঙ্গেই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র সূরা যুমার শরীফ উনার ৪৫নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “যারা পরকালকে বিশ্বাস করে না তাদের নিকট যদি এক মহান আল্লাহ পাক উনার আলোচনা করা হয় তাহলে তাদের অন্তর সংকুচিত হয় অর্থাৎ বিরক্ত হয় আর যখন গাইরুল্লাহর আলোচনা করা হয় তখন তারা খুশি হয়। ”
যারা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আলোচনা শুনতে বিরক্ত হয়, কিন্তু গাইরুল্লাহর আলোচনা করলে খুশি হয়, তাদের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ১১৫নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যেও ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে এবং মুসলমান উনাদের প্রচলিত পথ বাদ দিয়ে অন্য পথের অনুসরণ করে আমি তাদেরকে সে দিকেই ফিরাবো যেদিকে তারা ফিরেছে এবং তাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছাবো, সেটা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল। ”
অর্থাৎ যারা পবিত্র দ্বীন ইসলাম প্রকাশিত হওয়ার পর এবং হারাম হালাল উভয়টি স্পষ্ট হওয়ার পরও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিষেধকৃত বিষয়সমূহের খেয়াল করছে না; মুসলমান উনাদের পথ বাদ দিয়ে ইহুদী-নাছারাদের অনুসরণ করছে- মহান আল্লাহ পাক তাদেরকে সেদিকে ফিরাবেন যে দিকে তারা ফিরেছে। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে জাহান্নামে পৌঁছাবেন। আর এটা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থল।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে হারাম গান-বাজনা থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন!
-আহমদ মাশহুরা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (৯)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৩)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












