গো’আযমের শ্যালক নওগাঁর ‘খক্কো মৌলভী’ খুন রাহাজানি লুটের হোতা
এডমিন, ০১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৪ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৪ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১০ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) বিশেষ প্রতিবেদন

আল ইহসান ডেস্ক:
হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও রাহাজানির হোতা স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সাবেক আমীর গো’আযমের শ্যালক ১৯৭১এর আল-বাদর বাহিনীর নওগাঁর আঞ্চলিক প্রধান মোনায়েম-কাম আকরাম ওরফে খক্কো মৌলভী নওগাঁ জেলা জামাতের নেপথ্যের নীতিনির্ধারক। তার নেতৃত্বে রাজাকার-আল-বাদর বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় হত্যা, রাহাজানি, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে নির্বিচারে। তারা পার-নওগাঁ তাজ হলের ভেতর ২৫/৩০ জন স্বাধীনতাকামী বঙ্গ সন্তানকে হত্যা করে হলের পেছনে মঞ্চের মধ্যখানে অবস্থিত কূপের ভেতর ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তীতে যেসব মুক্তিযোদ্ধা কূপের ভেতর থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে কবরস্থ করেছিলেন- এ তথ্য মিলেছে সেসব মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকেই।
নওগাঁ শহরের চকদের মহল্লায় এই মোনায়েম-কাম আকরাম ওরফে খক্কো মৌলভীর দ্বিতল বাসভবন। তার ভগ্নিপতি গো’আযম এবং নিজামী গং নওগাঁয় এলে ঠাঁই মিলে তার বাসায়। বাসার পেছনেই সরকারি গোরস্থান। ১৯৭১এ এই গোরস্থানেও তারা চালিয়েছিল হত্যাযজ্ঞ। বিভিন্ন গ্রাম থেকে ধরে আনা ২৫/৩০ স্বাধীনতা প্রিয় মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল এখানে। সে সময় এ অঞ্চলে রাজাকার প্রধান ছিল বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের তাহের উদ্দিন প্রফেসর। খক্কো মৌলভীও পাকী আমলে নওগাঁ ডিগ্রি কলেজে শরীরচর্চা শিক্ষক ছিল। এই দুই শিক্ষক আল-বাদরপ্রধান ও রাজাকারপ্রধানদের দাপটে মানুষজন গ্রাম ছেড়ে পালাতো। এদের হিংস্রতার কথা নওগাঁর সব মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও প্রবীণরা একবাক্যে স্বীকার করেন। ১৯৯৬ সালে তাহের রাজাকার মারা যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকায় কলেজে শিক্ষকতা করতো।
নওগাঁর মহাদেবপুরে ছিল আল-বাদর বাহিনীর হেড অফিস। এরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারীদের ধরে এনে পাকী সেনাদের মনোরঞ্জনের জন্য উপহার দিতো। স্বাধীনতার পর দু’জনেই পালিয়েছিল এলাকা থেকে।