ঘটনা থেকে শিক্ষা:
, ২৩ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২২ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
শয়তান মানুষের মধ্যে ফেৎনা তৈরি করে কিভাবে? তার একটা মেছাল কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক বুযূর্গ ব্যক্তি, ওলীআল্লাহ তিনি বর্ণনা করেন, তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন, ইবলীস এক জায়গায় দাঁড়ানো।
তিনি ইবলীসকে দেখে বললেন, ইবলীস! তুমি এখানে কি করো? নিশ্চয়ই তোমার আশে-পাশে ফেতনা লাগিয়েছ।
সে বললো- না হুযূর! সে কোন ফেতনা করেনি। সেই বুযূর্গ ব্যক্তি একটু সামনে গেলেন। গিয়ে দেখেন মারামারি হচ্ছে।
তিনি বললেন, হে ইবলীস! তুমি নিশ্চয়ই মারামারির মূল। সে বললো- হুযূর! সে মারামারি লাগায়নি। কি করেছ তুমি?
সে বললো, সে- শুধু ছোট্ট একটা কাজ করেছে, আর কিছুই করেনি। কাজটা হলো এই যে, দুই বাড়ীতে মারামারি হচ্ছে, দুই বাড়ীর সীমানার মধ্যে এক ফোঁটা মিষ্টির রস ফেলে দিয়েছিল। যার কারণে সেখানে পিঁপড়া আসলো, পোকা-মাকড় আসলো। তা দেখে ঈঁদুর আসলো, ঈঁদুর দেখে বিড়াল আসলো। বিড়াল দেখে প্রতিবেশীর কুকুরটা আসলো। কুকুর বিড়ালকে কামড় দিল, আর বিড়ালওয়ালা কুকুরের মাথায় বারি দিল। তখন কুকুরওয়ালা উত্তেজিত হয়ে বিড়ালওয়ালার মাথায় বারি দিয়ে তাকে হত্যা করে ফেললো।
মূলতঃ ইবলীস শুধু একফোঁটা রস ফেলেছিল। কিন্তু বিরাট একটা ফেতনা পয়দা হয়ে গেল। ঠিক ইবলীসের কাজগুলি এরকমই হয়ে থাকে।
মূলতঃ বড় কাজটা তো সে করেনি, সে শুধু শুরু করে দেয়। এরপরে আর তার কিছু করা লাগে না। ইবলীস মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে ওয়াস্ওয়াসা দেয়।
পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, ইবলীস নিজে বর্ণনা করেছে যে, মানুষকে সে যখন গোস্বার মধ্যে পায়, বলের মত তাকে সে চক্কর খাওয়াতে থাকে। সে তখন তার তাবেদার হয়ে সে কি করে, তার নিজেরও হুঁশ থাকে না।
কাজেই ইবলীস হলো মানুষের শত্রু।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তাকে প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো।
হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, এ বিষয়টি বুঝতে পেরে তখন থেকে আমি সমস্ত শত্রুতা, সমস্ত হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি যত বদ খাছলত রয়েছে, তা ছেড়ে দিয়ে একমাত্র মনে করলাম, শয়তানই আমাদের শত্রু, আর কারো সাথে আমাদের শত্রুতা নেই। সবার সাথে মুহব্বত, আমি তা জারি করে দিলাম।
১০টি প্রাণী বশিষে কারণে জান্নাতে প্রবশে করবে
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে, নিম্নোক্ত ১০টি প্রাণী বিশেষ কারণে সম্মানিত জান্নাত মুবারকে প্রবেশ করবে-
১. সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উটনী মুবারক।
২. হযরত ছালিহ আলাইহিস সালাম উনার উটনী।
৩. হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের দুম্বা।
৪. হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গাভী।
৫. বালআম ইবনে বাউরার গাধা।
৬. হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনাকে যেই মাছ ধারণ করেছিলো, সেই মাছ। এই মাছ সবসময় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করতো।
৭. হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার পিপীলিকা।
৮. হযরত ওযাইর আলাইহিস সালাম উনার গাধা।
৯. হযরত বিলকিস আলাইহাস সালাম উনার হুদহুদ পাখি। এবং
১০. আছহাবে কাহ্ফের কুকুর।
উছমানী খিলাফতকালে পর্দা পালনের ব্যতিক্রমী পদ্ধতি
উছমানী খিলাফতকালে প্রত্যেক বাড়ির দরজায় দুটো কড়া থাকত। একটি ছোট, একটি বড়।
কোনো নারী দরজায় কড়া নাড়লে ছোটো কড়াটি নাড়তো। এতে আস্তে শব্দ হতো। ভেতরের লোকজন বুঝতে পারতো একজন নারী এসেছে। পরিবারের পুরুষ সদস্য তখন অন্য রুমে চলে যেতো। একজন নারী গিয়ে দরজা খুলে অন্য নারীকে স্বাগত জানাত।
কোনো পুরুষ আসলে বড় কড়াতে নাড়ত। ভেতরের লোকজন বুঝত একজন পুরুষ আসছে। বাড়ির নারী সদস্যরা অন্য রুমে চলে যেত, একজন পুরুষ গিয়ে দরজা খুলত।
চিন্তা করা যায়, সেই যুগে একটা বাড়িতে প্রাইভেসির কথা কীভাবে ভাবা হত!?
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












