চেতনাজীবি জাফর ইকবালের রাজাকারনামা (৪)
এডমিন, ০১ রবীউর আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৭সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বিশেষ প্রতিবেদন

জাফর ইকবালের মা আয়েশা ফয়েয লিখিত ‘জীবন যে রকম’ বইয়ে ২৫ মার্চ পরবর্তি মে মাসে তারাকোথায় ছিলো সে সম্পর্কে উক্ত বইয়ের ৫৯-৬০ পৃঃ মে অধ্যায় থেকে যা জানা যায়, তার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো- পিরোজপুরে তাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাবলা নামক এক বনে মুবারক খান নামে একজন গ্রাম্য মাতবরের বাসায় তারা আশ্রয়ে ছিলো। সে সময় জাফর ইকবালের বাবা পাকিস্তানী সরকারের অনুগত একজন পুলিশ অফিসার ছিলো। থানায় জরুরী ডাক পড়লে জাফরের পিতাকে তার মা যেতে দিতে না চাইলে সে বলে, যদি না যাই আমার নামে হুলিয়া দিয়ে ধরার জন্য চলে আসবে। ছেলেমেয়ে সবাইকে ধরে নিয়ে যাবে। কোথায় পালাব আমরা এতগুলো মানুষ? আমাকে যেতে হবে”। জাফর ইকবালের পিতা এভাবেই নিজের পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানী সরকারের অনুগত থেকেছে।
উক্ত বইয়ের ৭৭ পৃষ্ঠার স্বাধীনতা অধ্যায়ে বলা আছে “যুদ্ধের সময় ঢাকা শহরে লুকিয়ে লুকিয়ে সময় কাটিয়েছে।”
নিরপক্ষে দৃষ্টিতে বলতে হলে বলতে হয়- জাফর ইকবালের পরিবার কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কোন ভূমিকায় ছিলো না, বরং তারা সে সময় এখানে ওখানে পালিয়ে বেড়িয়েছিলো, আবার কখনো কখনো রাজাকারের আশ্রয়ে বা রাজাকারের বেশ ধরে থাকার সুযোগও নিয়েছিলো।