ছাহিবুল মি’রাজ, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মি’রাজ শরীফ- বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে উপলব্ধির ব্যর্থ প্রয়াস সম্পর্কে কিছু কথা (১)
, ২৬শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
পবিত্র কা’বা শরীফ থেকে জাগ্রত অবস্থায় স্বশরীর মুবারকে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ হয়ে নিমিষে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার পর্যন্ত গমন ও দীদার এবং সেখান থেকে নিমিষে পবিত্র কা’বা শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রত্যাবর্তনকে আমভাবে পবিত্র মি’রাজ শরীফ নাম মুবারকে অভিহিত করা হয়। পবিত্র মি’রাজ শরীফ দু’ভাগে বিভক্ত: ইসরা ও মি’রাজ। পবিত্র কা’বা শরীফ থেকে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত ইসরা এবং পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ থেকে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার পর্যন্ত যাওয়া ও পবিত্র দীদার মুবারক উনাকে পবিত্র মি’রাজ শরীফ বলা হয়। এ মর্মে মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- “মহান আল্লাহ পাক তিনি পরম পবিত্র ও মহিমাময়। তিনি স্বীয় হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রাতের অতি স্বল্প সময়ে পরিভ্রমণ করিয়েছেন পবিত্র মসজিদে হারাম শরীফ থেকে পবিত্র মসজিদে আকসা শরীফ পর্যন্ত। যার চারপাশে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমার মুবারক নিদর্শনসমূহ দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই আমি শ্রবণকারী এবং দর্শনকারী। ” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার সামগ্রিক বিষয় আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনন্য মু’জিযা শরীফ এবং মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনাদের পবিত্র সমন্বয়ে সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি মানুষের সহজাত সীমিত উপলব্ধি ও অনুভবের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল নয়। মূলত: পবিত্র মি’রাজ শরীফ মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তা’য়ালা এবং উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহামিলন ও মু’য়ামিলার এমন এক আনুষ্ঠানিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা হাক্বীক্বীভাবে কুল কায়িনাতের অভাবনীয় ও অবোধ্য।
প্রেক্ষিত কারণে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার হাক্বীক্বী উপলব্ধির ক্ষেত্রে মানুষ বিভিন্ন কষ্ট-কল্পনা ও ধ্যান-ধারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে। সেসবের মধ্যে সূতিকাগারে ঘুরপাক খাওয়া বিজ্ঞানকেই মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ অবলম্বন হিসেবে মনে করে থাকে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় যারা পবিত্র মি’রাজ শরীফ, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উপলব্ধি করতে চায়, তারা অবোধ ও মূর্খ। অনুধাবণ ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সম্মানিত ইসলাম ও বিজ্ঞান যখন সাংঘর্ষিক হয়, নাদান ও গ- মূর্খরা তখন বিজ্ঞানকেই প্রাধান্য দিতে চায়। নাউযুবিল্লাহ! মুসলমানদের মধ্যে যাদের ঈমান ও আক্বীদা বিশুদ্ধ নয়, তারাও ওই বাতিলপন্থীদেরই দলভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ!
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে পবিত্র মি’রাজ শরীফ, বিশেষ করে, পবিত্র দিদার বিরোধী অনেক বই-পুস্তক বেরিয়েছে। পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বিরুদ্ধাচারণ করা, ভুল ব্যাখ্যা দেয়া তথাকথিত বিজ্ঞান মনষ্ক একটি বোদ্ধা মহল এবং উলামায়ে ‘সূ’দের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
আইনষ্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব মিলিয়ে অনেকে পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্পর্কে আজগুবি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়ে থাকে। আইনষ্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বমতে আলোর গতির চেয়ে অধিক কোনো গতি নেই। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব হলো ১৫ কোটি কিলোমিটার। আর আলোর গতিবেগ হলো প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্মানুযায়ী সম্মানিত বোরাক এক সেকেন্ডের বহু পূর্বেই ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছেন। আলোর গতি অনুযায়ী চললে সূর্যের দূরত্ব পরিমাণ পথ অতিক্রমণে সম্মানিত বোরাক উনার প্রয়োজন হতো কমপক্ষে ৮ মিনিট, যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সম্মানিত বোরাক উনার গতির সঙ্গে আলোর গতির তুলনা করতে যাওয়া গুমরাহী ছাড়া আর কিছু নয়। তাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আইষ্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব অচল।
পবিত্র মি’রাজ শরীফে ছাহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, রহমতুল্লিল আলামীন, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার সঙ্গে পবিত্র দিদার ও আলাপন এবং পবিত্র ওহী মুবারক লাভ শেষে যমীনে প্রত্যাবর্তনের পর দেখা যায়, যে বিছানা মুবারকে তিনি শায়িত থেকে পবিত্র মি’রাজ শরীফে গমন করেছিলেন, তা গরম রয়েছে, পবিত্র অযূ মুবারক উনার পানি গড়িয়ে যাওয়া শেষ হয়নি এবং দরজা মুবারক উনার শিকল নড়ছে। সুবহানাল্লাহ!
বিজ্ঞানের ফরমুলায় এক শ্রেণির নাদান পবিত্র মি’রাজ শরীফ বুঝতে চায়। মধ্যাকর্ষণ শক্তি অতিক্রমণের বিষয় সমাধান করতে চায়। নাউযুবিল্লাহ! তারা বলে এবং বিশ্বাস করে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ অনুষ্ঠানকালে সময়কে আটকে রাখা হয়েছে। যে কারণে পবিত্র মি’রাজ শরীফ অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ২৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও পবিত্র বিছানা মুবারক গরম থেকেছে। পবিত্র অযূর পানি মুবারক গড়িয়ে যেতে থেকেছে। দরজা মুবারকের শিকল মুবারক নড়তে থেকেছে। সময় আটকে রাখার কারণে দীর্ঘ ২৭ বছর পার হলেও মুবারক এ বিষয়গুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হতে পারেনি। নাউযুবিল্লাহ!
পবিত্র মি’রাজ শরীফ অনুষ্ঠানকালে সময়ের চলমানতা আটকে রাখার বিষয়টি বাতিলপন্থীদের উদ্ভাবন। আসলে সময়তো মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন। উনার কায়িম মাক্বাম হিসেবে সময়তো স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই সময়ের নিয়ন্ত্রক ও পরিচালক। দীর্ঘ ২৭ বছর এমনভাবে অতিক্রান্ত হয়েছে, যেখানে কুদরতীভাবে সময়ের গতিময়তার কোনো ক্ষেত্রই সৃষ্টি হতে পারেনি। যেমন মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার কাছে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত একাকার। অর্থাৎ সবই বর্তমান। অথচ সময়ের গতিময়তা কখনো থেমে নেই। নিগূঢ় এ বিষয়টি উপলব্ধির জন্য যে সমঝ ও যোগ্যতা প্রয়োজন, তা বিজ্ঞানমনস্ক নাদান ও জাহিলদের নেই। (চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ সাদী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৪)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (৩)
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টনকারী
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (২)
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ঈমান এবং উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী (১)
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহমিুস সালাম উনাদরে বমেছোল মহাসম্মানতি বুলন্দী শান মুবারক এবং উনাদরে মহাসম্মানতি ও মহাপবত্রি শান মুবারক উনার খলিাফ র্বণতি মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার সম্মানিত ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল শান-মান মুবারক
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)