এটা বলা হয় শানে নুযূলে। পর্দার পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিলের পূর্বে একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ফিকির করেছিলেন। তিনি অবশ্য অনেক কাফফারা আদায় করেছিলেন এর জন্য। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বয়স মুবারক কম। তিনি উনাকে পরে গ্রহণ করতে পারবেন কি না এ চিন্তা করেছিলেন, যার জন্য পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করা হয়েছিল। তিনি পরবর্তীতে কাফফারা আদায় করেছিলেন। সেটাই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, এটা কখনও চিন্তা করো না।

إِن تُبْدُوا شَيْئًا أَوْ تُخْفُوهُ

তোমরা যা প্রকাশ করো বা চুপিয়ে রাখ তা তিনি জানেন। এটা তোমরা করো না। এটা অন্তর থেকে বের করে দাও। এটা নিয়ে ফিকির করলে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কষ্ট পান। তাহলে দেখা যাচ্ছে এ পবিত্র আয়াত শরীফ অনুযায়ি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিয়ে কোন চূ-চেরা কিল ও কাল করলেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কষ্ট পান। যেমন তিনি বলেছেন সরাসরি অনেক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ।

لَا تُؤذِونِي فِي حَضْرَتْ سَيِّدَتِنَا عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ

যে তোমরা আমাকে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র শান মুবারক সম্পর্কে আমাকে কষ্ট দিও না। নাউযুবিল্লাহ! এটা একটা পবিত্র হাদীছ শরীফ।

لَا تُؤذِونِي فِي حَضْرَتْ اُمِّ الـمؤْمنينَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ

তোমরা আমাকে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাপারে আমাকে কষ্ট দিও না। নাউযুবিল্লাহ! তাহলে কষ্টটা কি? মিষ্টি কথা বললে। নাউযুবিল্লাহ! উনাদের পবিত্র শান-মান মুবারকে চূ-চেরা কিল ও কাল করলে তখন তিনি কষ্ট পান। নাউযুবিল্লাহ! কষ্ট পেলে কি হবে? পবিত্র আয়াত শরীফ আরো নাযিল হয়েছে। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন,

وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ رَسُولَ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

যারা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয় তারা কঠিন লাঞ্ছিত। কঠিন শাস্তি তার জন্য তৈরী করে রাখা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!



সংকলনে-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।