ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (৩১৫তম পর্ব)
, ২০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
لِىْ مَعَ اللهِ وَقْتٌ لَّا يَسْعٰنِىْ فِيْهِ مَلَكٌ مقرب وَلَا نَبِىٌّ مُّرْسَلٌ
যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে আমার এমন দায়েমীভাবে এমন পবিত্র নিছবত মুবারক রয়েছেন যেখানে কোন নৈকট্যপ্রাপ্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্থান সংকলন হয় না। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এ পবিত্র নিছবত মুবারক সে হাছীল করবে। কিন্তু সে সমকক্ষতা অর্জন করতে পারবে না কোন দিন। এটা কিন্তু স্পষ্ট বলে দেয়া হচ্ছে। তাহলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান মুবারক, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক কতটুকু? কি ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে হবে, মানুষ কি জানে। মানুষ জানে না। বিষয়গুলো কল্পনাতীত বিষয়। উনাদের পবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক কল্পনাতীত বিষয়। মানুষ পুঁথিগত বিদ্যা পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারে শব্দগত দিক থেকে। কিন্তু হাক্বীক্বত সে বুঝতে পারবে না। যদি সাধারণভাবে বলা হয় রসোগোল্লা মিষ্টি। এর মধ্যে আমিত্তি রয়ে গেছে, জিলাপী রয়ে গেছে। আবার এখন রসগোল্লা অনেক শ্রেণির। এখন কোনটা কি রকম। এটা ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে? যাবে না। তাকে যখন খাওয়ানো হবে তখন সে বুঝবে এটা এরকম, এটা এরকম মিষ্টি ওটা, ওরকম মিষ্টি। একটা চিনি একটা গুড় একটা অমুক ইত্যাদি ইত্যাদি। সবতো এক রকম না। একটা সাধারণ দুনিয়াবী সম্পদ যদি সে শব্দ সব বুঝতে না পারে তাহলে এখানে বুঝবে কোত্থেকে, নদী বললে সাগর বললে অনেক বড়। এক কথায় নদী সাগর এতো ছোট না। তাহলে সে বুঝবে কেমনে। তাহলে বিষয়টা খুব ফিকির করতে হবে। উনাদের পবিত্র শান-মান মুবারক এটা কল্পনাতীত বিষয়। প্রত্যেক সৃষ্টির জন্য এ বিষয়টা ফিকিরের বিষয়। এজন্য আমরা বলে থাকি যে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র শান-মান, পবিত্র মর্যাদা মুবারকগুলি মুখস্থ ঠোটস্থ কন্ঠস্থ করতে হবে। পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ যেভাবে মুখস্থ তার চাইতেও আরো বেশি। কারণ মহাসম্মাানিত কালামুল্লাহ শরীফ পড়লে হিদায়েত নাও হতে পারে সে। কিন্তু উনাদের মুহব্বত মুবারক যার ভিতরে সে অবশ্যই জান্নাতী। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সংকলনে-সাইয়্যিদ শাবীব আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












