ছাহিবে কা’বা কাওসাইনে আও আদনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আযীমুশ শান মি’রাজ শরীফ উনার বর্ণনা মুবারক (১১)
, ১৪ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ৩১ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

পাঁচ ওয়াক্ত নামায হাদিয়া মুবারক:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে আমার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আসমান ও যমীন সৃষ্টির দিন থেকে আমি আপনার ও আপনার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছি। সুতরাং আপনি ও আপনার উম্মতদেরকে এ আদেশ মুবারকের অনুবর্তী করুন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি নিজেকে ধন্য করার জন্য আমার মহাসম্মানিত নূরুল মাগফিরাত মুবারক অর্থাৎ হাত মুবারক স্পর্র্শ করার আরজি করলেন; আমি অনুমতি দিলাম এবং আমি দ্রুতগতিতে সেখান থেকে ফিরে এলাম। সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট দিয়ে যখন আসছিলাম কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না। এরপর আমি সাইয়্যিদুনা হযরত মুসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট দিয়ে যখন এলাম। তিনি বললেন, আপনাকে কি বলা হলো- ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ! ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বললাম, আমার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার ও আমার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আপনার উম্মত এই পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায আদায় করার শক্তি রাখে না। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পুনরায় ফিরে গিয়ে হালকা করার আবেদন করুন। আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পৌঁছলাম এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরয করলাম, আয় বারে ইলাহী! আমাদের নামায আরো হালকা করে দিন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আমি ১০ ওয়াক্ত নামাযকে হ্রাস করে দিলাম। পুনরায় সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি জিজ্ঞাসা করলে বললাম, দশ ওয়াক্ত হ্রাস করা হয়েছে।
হযরত মুসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি দয়া করে আবার ফিরে যান আরো হালকা করার আবেদন করুন। এরপর রাবী শেষ পর্যন্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন। অবশেষে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন-
هن خمس بخمسين
অর্থাৎ এই পাঁচ ওয়াক্ত নামায দিলাম যা পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাযের সমান।
জমীনে অবতরন মুবারক ও কাফিরদের চু-চেরার জাওয়াব:
অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে এসে পৌঁছলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আসমানে আমি যার কাছ দিয়ে এসেছি, তিনি আমাকে সালাম বা মারহাবা দিয়েছেন এবং আমাকে দেখে হেসেছেন কিন্তু এক ব্যক্তিকে আমি সালাম দিলে তিনি আমার সালামের জবাব দিয়েছেন এবং আমাকে মারহাবা দিয়েছেন কিন্তু আমাকে দেখে তিনি হাসেননি। ওই ব্যক্তি কে? হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, উনি হচ্ছেন দোযখের পাহারাদার বা রক্ষক হযরত মালেক আলাইহিস সালাম। দোযখ সৃষ্টির পর থেকে তিনি কখনও হাসেননি। কাউকে দেখে তিনি হাসলে আপনাকে দেখে অবশ্যই হাসতেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, এরপর আমি ফিরে আসার জন্যে বোরাকে সাওয়ার হলাম। পথিমধ্যে কুরাইশদের একটি উটের কাফেলার কাছ দিয়ে আসা হলো। কাফেলাটি খাদ্যশস্য বহন করছিলো। একটি উটের পিঠে দুটি বস্তা ছিলো, একটি কালো রঙের অপরটি সাদা রঙের। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কাফেলার মুখোমুখি হলেন সেই উটটি উত্তেজিত হয়ে পলায়ন করলো। কিছুদূর ছুটে যেতেই হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলো। ফলে উটের হাত পা ভেঙ্গে গেলো।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখান থেকে চলে এলেন। তিনি সকাল বেলা পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার উক্ত ঘটনা প্রকাশ করলেন।
-আল্লামা সাইয়্যিদ আহমদ শাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১২)
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের তরফ থেকে বিশেষ দাওয়াত মুবারক এবং খুশি মুবারক প্রকাশ
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১১)
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রচিত সম্মানিত কবিতা বা ক্বাছীদাহ্ শরীফ
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছামিন মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যারা জীবতি আছ, তাদরে দায়ত্বি হলো- মুসলমানদরে পক্ষে দো‘আ করা। কাফরেদরে বরিুদ্ধে কঠনি বদ দো‘আ করা
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড (১০)
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক অবমাননাকারীদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদন্ড(৯)
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সিবতু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
এক নযরে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)