তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
, ২৩ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২১ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশীদের মধ্যে ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশের ব্যাংক হিসাব রয়েছে। বাংলাদেশে ঋণ ও আমানতের সুদের হারের ব্যবধান ৫ দশমিক ২ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্ক ২ দশমিক ৩ শতাংশ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থাৎ ২৮ লাখ ৪০ হাজার ধর্মপ্রাণ বিত্তশালী লোক ধর্মীয় কারণে ব্যাংকে যান না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ০.২ শতাংশ উপজাতির ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার শুধু তৎপরই নয়; বরং বদ্ধপরিকর। সেক্ষেত্রে যারা ধর্মীয় কারণে ব্যাংক সেবা নিচ্ছে না, তাদের সংখ্যা ৪.৫ শতাংশ হওয়ার পরও তাদের ধর্মীয় অনুভুতির প্রতি সরকারের পদক্ষেপ কোথায়?
বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে যে ‘তথাকথিত ইসলামী ব্যাংক’ রয়েছে তা সম্মানিত ইসলামী ভাবধারায় পরিচালিত নয় বিধায় তাকে প্রকৃতপক্ষে ‘ইসলামী ব্যাংক’ বলা যায় না। বরং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নাম ভাঙ্গিয়ে এখানে সুদের ব্যবস্থা আরো বেশি করা যায় বলে এখন শুধু বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীরাই নয়, ইউরোপ-আমেরিকার বিধর্মীরাও তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকিংয়ে নেমেছে।
কুচক্রী ইহুদীদের পরিচালিত কয়েকটি ব্যাংক ‘তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকিং’ চালু করেছে, এটাকে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে? প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি যারা ইসলামী ব্যাংকিং করছে, তারা মানুষের সঙ্গে মারাত্মক প্রতারণা করছে।
বিশেষ করে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে সচল রয়েছে জামাতে মওদুদী পরিচালিত ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’। এ ব্যাংক ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক বলে দাবি করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্মানিত ইসলামী শরিয়াহ উনার নিয়ম অনুসরণ করছে না। বরং মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বাণিজ্যিকীকরণ করছে। জানা গেছে, ব্যাংকটির প্রায় ৭০ শতাংশ মালিকানা বিদেশীদের হাতে। আর ওইসব বিদেশীর মধ্যে ইহুদী ও অমুসলিমও রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
‘ইসলামী ব্যাংক বংলাদেশ লিমিটেড’ প্রচলিত সুদী ব্যাংকের চেয়েও বেশি সুদ আদায় করছে- এ অভিযোগ এখন সবার মুখে মুখে। পাশাপাশি সব তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকেরই কার্যত একই অবস্থা। কোনো লোকসানগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের লোকসান তারা মেনে নিয়েছে এমন নজির নেই। বরং ইসলামী খোলসের অন্তরালেই কার্যতঃ চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের প্রয়োগ ঠিকই করছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সুদের হার উল্লেখ না করলেও সেবা মাস ঘোষণা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো ব্যানার এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে ‘মুদারাবা মাসিক মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় কিংবা মুদারাবা আমানত হিসেবে মুনাফা অর্জনের অমিত সম্ভাবনা’ প্রভৃতি স্কীমের ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালায়।
উল্লেখ্য যে, শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- ‘লাভ-লোকসানের ব্যাংকিং’। এই লাভ-লোকসানটা শরীয়াভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থায় আগেই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ‘নিশ্চিত মুনাফা’ সুদেরই নামান্তর। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে ঋণ দিয়ে নির্ধারিত হারে মুনাফা আদায়কে সুদ বলা হয়। তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো পরোক্ষভাবে এই সুদকে লভ্যাংশ কিংবা মুনাফা বলে দাবি করে।
ইসলামী আর্থিক ব্যবস্থার মূল উপাদান হলো, প্রচলিত সুদী ব্যবস্থার মতো পূর্বনির্ধারিত সুদ (ওহঃবৎবংঃ) বলে কোনো কিছুই ইসলামী ব্যবস্থায় থাকতে পারবে না। ইসলামী ব্যবস্থায় গ্রাহকদেরকে মুনাফার অংশীদার করতে হয়। এ ধারণা বা বিশ্বাস মুসলমানগণ উনাদের মধ্যে এসেছে সম্মানিত ইসলামী অনুশাসন থেকে- যে ঐশী বিশ্বাস ও অনুশাসন তাদেরকে সুদ নেয়া ও দেয়া থেকে দূরে থাকতে বলেছে। মূলত, ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ধারণা খুবই সহজ ও বাস্তবসম্মত এবং সম্পূর্ণ যুক্তিভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত। ফলে অমুসলিমদের পক্ষেও সুদবিহীন ‘আর্থিক প্রডাক্টস’ তৈরি করতে কোনো অসুবিধা হয়নি। আজকে সুদবিহীন আর্থিক প্রডাক্টসের ক্রেতা বিধর্মীরাও।
কাজেই সুদবিহীন ও পূজিবাদবিরোধী সম্মানিত ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ- ‘বাংলাদেশ’কে জোরদারভাবে অনুধাবন করতে হবে। বিশেষ করে যারা ধর্মপ্রাণ মুসলমান, যারা সুদকে অত্যন্ত ঘৃণা করেন ও বর্জন করেন, উনাদের জন্য সুদমুক্ত অর্থনীতির ব্যবস্থা রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে হবে। ০.২ উপজাতির সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় যদি সরকার নিবেদিত হতে পারে, তবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ উনাদের জন্যও সুদমুক্ত অর্থনীতি তথা ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে সুদমুক্ত অর্থনীতির সুফল পেতে হলে আমাদেরকে অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ তথা পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে হবে। এলক্ষ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমান্বিত জীবনী মুবারক আলোচনা তথা সুদের ভয়াবহতা ও কঠোরতা সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরও অনুসরণ করতে হবে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা মুবারক ফয়েয, তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












