সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে-
তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ, তৃতীয় লিঙ্গ ও হিজরা! (৩)
, ২৭ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহিলাদের পাতা
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
عن حضرة أبي هريرة رَضِيَ اللهُ تعالي عَنْهُ عن النَّبِيّ صلى الله عليه وسلم قال أربعة يصبحون في غضب الله ويمسون في سخط الله ، قيل من هم يا رسول الله قال : المتشبهون من الرجال بالنساء والمتشبهات من النساء بالرجال والذي يأتي البهيمة والذي يأتي الرجل.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- চার শ্রেণীর লোক সকাল সন্ধ্যা (সবসময়) মহান আল্লাহ পাক উনার গযব ও অসন্তুষ্টির মধ্যে অবস্থান করে। প্রশ্ন করা হলো তারা কারা? ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নারীর আকৃতি ধারণকারী পুরুষরা, পুরুষের আকৃতি ধারণকারী নারীরা, পশুর সাথে এবং পুরুষের সাথে জিনাকারীরা। (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৪৭১, বায়হাক্বী শরীফ, ইবনু আ‘দী)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
عَنِ حضرة ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تعالي عَنْهُمَا قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নারীর আকৃতি ধারণকারী পুরুষকে এবং পুরুষের আকৃতি ধারণকারী নারীকে লা‘নত বা অভিশাপ দিয়েছেন। (ছহীহ বুখারী শরীফ: ১/২৯৯৩, ৫৫৪৬)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত হয়েছে-
عَنِ حضرة ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله تعالي عَنْهُمَا قَالَ لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلاَتِ مِنَ النِّسَاءِ وَقَالَ أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ قَالَ فَأَخْرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فُلاَنًا وَأَخْرَجَ عُمَرُ فُلاَنًا
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে আরো বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নারীর আকৃতি ধারণকারী পুরুষকে এবং পুরুষের আকৃতি ধারণকারী নারীকে লা‘নত বা অভিশাপ দিয়েছেন। এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এই ধরণের ব্যক্তিদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও।
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অমুক ব্যক্তিকে বের করে দিয়েছেন। এবং হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনিও অমুক ব্যক্তিকে বের করে দিয়েছেন। (ছহীহ বুখারী শরীফ: ৭/২০৫, ৫৮৮৬, ৫৫৪৭)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত হয়েছে-
عن حضرة عمار رضي الله تعالي عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال ثلاثة لا يدخلون الجنة أبداً الديوث والرجلة من النساء ومدمن الخمر. قالوا يا رسول الله أما مدمن الخمر فقد عرفناه فما الديوث؟ قال: الذي لا يبالي من دخل على أهله. قلنا فما الرَجُلة من النساء؟ (قال التي تَشبَّهُ بالرجال)
অর্থ: হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তিন ব্যক্তি কস্মিনকালেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না (১) দাইয়্যুছ (২) পুরুষের ছূরত ধারণকারীনী মহিলা (৩) শরাব পানকারী। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! শরাব পানকারীকে আমরা চিনলাম। তবে দাইয়্যুছ কে? তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দাইয়্যুছ হলো ওই ব্যক্তি যে, তার অধীনস্থদের পর্দা করায় না। তখন আমরা (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা) জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! রজুলাতু মিনান নিসা কারা? উত্তরে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে মহিলা পুরুষের ছূরত ধারণ করে। (ত্ববরানী, বায়হাক্বী, আ‘শরতুন নিসা লিন নাসায়ী ১/১৬৮, আত তারগীব ওয়াত তারহীব)
সুতরাং বোঝা গেল, ট্রান্স মতবাদ একটি অভিশপ্ত ও শয়তানী মতবাদ এবং সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ বিবর্জিত একটি বানোয়াট, ভিত্তিহীন, অকার্যকর, মনগড়া এবং ভুয়া মতবাদ।
-হাফিযুল হাদীছ আল্লামা মুহম্মদ ফযলুল হক্ব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
হাশরের ময়দানে যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর প্রত্যেককেই দিতে হবে
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












