পাঠক প্রতিক্রিয়া:
তথাকথিত নারীবাদীরা কী মানুষ হিসেবে গণ্য হতে চায় না?
, ০১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহিলাদের পাতা
পাশ্চাত্যে সামাজিক মূল্যবোধ নষ্ট হয়ে নারীরা যখন সস্তা পণ্যে পরিণত হয়েছে, তখন তাদের মধ্যে পুরুষবিদ্বেষ বেড়েছে, সর্বত্র সমানাধিকারের জন্য সোচ্চার হচ্ছে তারা। সহজ যোগাযোগের পথ ধরে সেই ঢেউ প্রাচ্য সমাজেও উত্তাল আলোড়ন সৃষ্টি করছে।
নারী যে কিছুই না- এ ধারণা খৃস্টীয় চার্চের এবং চার্চের ধারণা এমন যে, “শয়তান সম্ভবত নারীর রূপ ধরে আসে। ” হিন্দু সমাজে নারীর জীবনমূল্য অতি তুচ্ছ।
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে নারীর অবস্থান অতীব উচ্চে এবং মহিমান্বিতরূপেই মুসলিম নারীরা দ্বীন ইসলাম উনার কাছে সম্মানিত। যে সমাজে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের হুকুম-আহকাম পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়িত হয়নি, সে সমাজে নারীর সঠিক মূল্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
যেমন গণতান্ত্রিক সমাজে-পরিবেশে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত নেই। গণতান্ত্রিক পরিবেশে সেই সঙ্গে গ্রাম-সমাজে দারিদ্র্য ও অশিক্ষার জন্য নারীদের প্রতি অবিচারের মাত্রাও বেড়ে গেছে। ফলে গণতান্ত্রিক সমাজের কথিত শিক্ষিত নারীরা নির্যাতিতা ও অসহায় নারীর মুক্তির জন্য কথিত সামাজিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এবং সেটাই বর্তমান গণতান্ত্রিক সমাজ-পরিবেশে কথিত ‘উদার নারীবাদী’ চেতনা প্রবাহের সৃষ্টি করেছে।
আমাদেরকে সর্বোতভাবে মনে রাখতে হবে যে, এদেশের মানুষের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি যত অনুরাগ বা আবেগ থাকুক না কেন, সমাজ কিন্তু ইসলামিক নয়; বরং গণতান্ত্রিক। বিয়ে, তালাক, সম্পত্তি বণ্টন কিংবা অভিভাকত্ব আইনের কাঠামো প্রণয়নে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন কিছু কিছু মেনে চলার অর্থ এই নয় যে- এটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী সমাজ। কারণ এখানকার মানুষের কিছু কিছু জরুরী কাজে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হুকুম- আহকামের চর্চা আছে সন্দেহ নেই, কিন্তু পুরো মানসিকতাই ইসলামবিরোধী।
এখানে যদি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী সমাজব্যবস্থা কায়িম হতো, যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমনটি পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদিনা শরীফ-এ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তা পুরোপুরি অনুসরণ-অনুকরণ করা হতো তাহলে আজ এখানে নারী ও পুরুষের লিঙ্গনির্ভর বৈষম্য নিয়ে কথিত নারীবাদীদের প্রতিবাদী হয়ে উঠার প্রয়োজন পড়তো না। সততার সঙ্গে একটি নারী যদি বলতে পারে- সে সমাজে নির্যাতিতা, তাহলে বলতে হবে- সেটা আদৌ ইসলামী সমাজ নয়। (সংকলিত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয় উল্লেখ থাকা উচিত
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খছম বা ঝগড়া কু-স্বভাবটি পরিহার করা অপরিহার্য কর্তব্য
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে ৪ শ্রেণীর লোকদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন সুপারিশ ওয়াজিব হবে
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলমান পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্যই ফরযে আইন হচ্ছে- যথাযথভাবে ৫ ওয়াক্ত নামায তারতীব অনুযায়ী যথাসময়ে আদায় করে নেয়া
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হুব্বে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (১)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












