তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (৭)
, ২৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই মূর্তি ভেঙ্গেছেন:
১ম দলীল
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْبَيْتِ سِتُوْنَ وَثَلاَثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعَنُهَا بِعُوْدٍ فِىْ يَدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم وَيَقُولُ {جَآءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ } {جَآءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ البَاطِلُ وَمَا يُعِيْدُ}
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করলেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার চারপাশে তিনশত ষাটটি মূর্তি ছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাঠি মুবারক দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত (করে ধ্বংস) করতে থাকেন আর ইরশাদ মুবারক করতে থাকেন- ‘হক্ব এসেছেন এবং বাত্বিল বিলুপ্ত হয়েছে’। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সূরা ইসরা’ শরীফ: ৮১
‘হক্ব এসেছেন, বাত্বিলের আর উদ্ভব ও পুনরুদ্ভব ঘটবে না’। ” (পবিত্র সূরা সাবা’ শরীফ: ৪৯) বুখারী শরীফ
সুবহানাল্লাহ!
২য় দলীল
অন্য বর্ণনায় এসেছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَحَوْلَ الْبَيْتِ سِتُّوْنَ وَثَلاَثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعَنُهَا بِعُوْدٍ فِىْ يَدِهٖ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وسلَّم وَيَقُوْلُ {جَآءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ اِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوْقًا} {جَآءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيْدُ}
“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করলেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার চারপাশে তিনশত ষাটটি মূর্তি ছিল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাঠি মুবারক দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত (করে ধ্বংস) করতে থাকেন আর ইরশাদ মুবারক করতে থাকেন- ‘হক্ব এসেছেন এবং বাত্বিল বিলুপ্ত হয়েছে। আর বাত্বিল বিলুপ্ত হওয়ারই যোগ্য’। পবিত্র সূরা ইসরা’ শরীফ: ৮১ সুবহানাল্লাহ! ‘হক্ব এসেছেন, বাত্বিলের আর উদ্ভব ও পুনরুদ্ভব ঘটবে না’। ” (পবিত্র সূরা সাবা’ শরীফ: ৪৯) বুখারী শরীফ সুবহানাল্লাহ!
৩য় দলীল
অন্য বর্ণনায় এসেছেন,
فَكَانَ لَا يُشِيْرُ اِلٰى صَنَمٍ اِلَّا وَيَسْقُطُ
“নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লাঠি মুবারক দিয়ে মূর্তিগুলোকে ইশারা করা মাত্রই সেগুলি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ” সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ দ্বারা এই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন অসংখ্য ও অগণিত কারণ। তার মধ্যে একটি হলো- মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবি, গান-বাজনা, বাঁশি-সূর, বাদ্যযন্ত্র, ধ্বংস করার জন্য এবং উম্মতকে ধ্বংস করার আদেশ মুবারক করতে। তাই তিনি নিজে এগুলো ধ্বংস করেছেন এবং ধ্বংস করতে বলেছেন। অথচ উলামায়ে ‘সূ’রা এর সম্পূর্ণ বিপরীত আমল করে কাট্টা মুরতাদ ও কাট্টা কাফির হচ্ছে।
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র ‘ছলাতুল জুমুয়াহ’ উনার পূর্বে ৪ রাকায়াত সুন্নত নামায অর্থাৎ পবিত্র ‘ক্বাবলাল জুমুয়াহ’ নামায নিয়ে বাতিলপন্থিদের বিভ্রান্ত্রিকর ও মিথ্যা বক্তব্যের দলীলভিত্তিক জাওয়াব (৮)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কাফির মুশরিকদের থেকে দূরে থাকতে এবং তাদেরকেও দূরে রাখার ব্যাপারে নির্দেশ মুবারক
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- ফুটবল-ক্রিকেটসহ সর্বপ্রকার খেলাধুলা করা, সমর্থন করা হারাম ও নাজায়িয (২)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত ৩টি স্তর
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (৩)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া কবীরা গুনাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












