তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২৮)
, ০৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ছবি তোলা, আঁকা, বানানো, রাখা হারাম
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে ছবি তোলা, আঁকা, রাখা, বানানো হারাম এবং শক্ত কবীরা গুনাহ্ ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ। যারা বলে বা বলবে বর্তমানে ছবির প্রয়োজন রয়েছে, তারা কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে, যদি তওবা না করে। এদের ছোহবত থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ সাধারনভাবে এরাই গুমরাহীর মূল।
১ম দলীল:
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
“তোমরা মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ছবির অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো। ” পবিত্র সূরা হজ্জ শরীফ: ৩০
২য় দলীল:
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ كُلُّ مُصَوِّرٍ فِـى النَّارِ يُـجْعَلُ لَهٗ بِكُلِّ صُوْرَةٍ صَوَّرَهَا نَـفْسًا فَـيُـعَذِّبُهٗ فِـىْ جَهَنَّمَ
“হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি- প্রত্যেক ছবি বানানোকারী জাহান্নামী অর্থাৎ যারা ছবি তুলে, আঁকে, বানায়, রাখে তারা প্রত্যেকেই জাহান্নামী। তার তৈরিকৃত প্রতিটি ছবিতে জীবন দেয়া হবে। অতঃপর ঐ ছবিগুলো জাহান্নামে তাকে আযাব দিতে থাকবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
৩য় দলীল:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ اِنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا يَـوْمَ الْقِيَامَةِ اَلْمُصَوِّرُوْنَ
“হযরত ইবনে মাস‘ঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি- নিশ্চয়ই যারা ছবি তুলে, আঁকে, বানায়, রাখে কিয়ামতের দিন তাদের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে। ” না‘ঊযুবিল্লাহ! ( বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)
কাজেই, যে সকল ওলামায়ে সূ’রা ছবি তুলে, আঁকে, বানায়, রাখে এবং জায়েয মনে করে, তারা সকলেই কাট্টা কাফির এবং চির জাহান্নামী। না‘ঊযুবিল্লাহ!
তাই এরা কখনোই অনুসরণীয় নয়। এদের পিছনে নামায পড়লে নামায হবে না। কারণ কাফিরের পিছনে নামায পড়া জায়েয নাই। অবশ্যই এরা কাফির হয়ে গিয়েছে । আর এদেরকে সর্বতভাবেই বর্জন করতে হবে। কেননা, সম্মানিত শরীয়ত উনার উছূল হচ্ছেন- হারামকে হালাল মনে করা বা হালালকে হারাম মনে করা কুফরী এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। অর্থাৎ কাফির হয়ে যায়। (আল বাইয়্যিনাত শরীফ: সংখ্যা ২, ৫, ৬, ৭, ১৫, ১৭, ২০, ২১, ২৩, ২৫, ৩৪, ৩৮, ৪২, ৫০, ৫৫, ৫৯, ৬১, ৭৪, ৮২, ৮৭, ৯৭, ১০৬, ১১৩)
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলিম অর্জন করার পর সে অনুযায়ী যে আমল করে না, তার তিনটি অবস্থার যে কোনো একটি হবেই-
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৪)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঢিলা-কুলুখের বিধান
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বেপর্দা হওয়া শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে সহজ করার মাধ্যম
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করলে তা দ্বিগুণ-বহুগুনে বৃদ্ধি করে ফিরিয়ে দেয়া হয়
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আসমাউর রিজাল, জারাহ ওয়াত তা’দীল, উছুলে হাদীছ শরীফ উনার অপব্যাখ্যা করে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাকে জাল বলছে ওহাবী সালাফীরা (১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












