তাসাউফ চর্চা ছাড়া দ্বীন ইসলাম কায়েম সম্ভব না (১)
, ২৬ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০২ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) ইলমে তাছাউফ
পবিত্র দ্বীন ইসলাম কায়েম বলি বা শরীয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা বলি- রাজনীতি করে কিছুই কায়েম সম্ভব না। দরকার নিরঙ্কুশ তাসাউফ চর্চা। দেশে দেশে তাসাউফ চর্চার জন্য, আত্মশুদ্ধির জন্য দরগাহ খানকাহ প্রতিষ্ঠা করা। এতে মানুষদের মনে প্রকৃত অর্থেই দ্বীন ইসলামের প্রতি দরদ মহব্বত পয়দা হবে। তারা সত্যিকার তাওহীদ শিখবে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহব্বত মারেফত শিখবে। ঈমানি কুওয়াত বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃত দ্বীন ইসলামী মহব্বত জেগে উঠলে তবেই ইতিহাস করে ফেলা সম্ভব।
সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়্যুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্রুসেড বিজয়ের পিছনের ইতিহাস তালাশ করে দেখা গেছে, তিনি যেমন সূফী ছিলেন, তেমন সুফী পীর মাশায়েখদের সাথে ছিল হরদম সম্পর্ক। দরগাহ খানকাহ প্রতিষ্ঠা করা, পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন, পীর মাশায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মাজার শরীফ জেয়ারত, তাবারুক গ্রহণ ইত্যাদি ছিল উনার নিয়মিত কাজের অন্তর্ভুক্ত। উনাকে যারা সবচেয়ে বেশি সময় দেন, সক্রিয় থাকেন, তারা হলেন বাগদাদ ও অন্যান্য শহরের সুফী মাশায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা।
সুলতান যেকোনো যুদ্ধে সুফি শায়খদের তাঁবু সৈন্যদের ঘাঁটিতে বসাতেন। সুফি দরবেশ মাশায়েখ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করতেন, সাহায্য চাইতেন। জেরুজালেম বিজয়ের সময় এইভাবে আশেপাশের সমস্ত সুফিগণ জড়ো হয়ে মহাবিজয় প্রত্যক্ষ করেছিলেন বলে, আরব ঐতিহাসিক ইবনুল ওয়ার্দি আমাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন- উনার বিজয় মিশর ও শামের অনেক খিরকাধারী, যাহিদ ও আলিম ব্যক্তিবর্গ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। এমনকি উনাদের কেউই পিছে থাকেন নি। (তাতিম্মাতুল মুখতাসার ফি আরবাবিল বাশার, ২/১৪৭)
ইবনুল আছীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি জানান, দরবেশ আর সুফিগণ উনার কাছে আসতেন। তখন তিনি উনাদের জন্য সামার মজলিশের আয়োজন করতেন। সুফিগণ আন্দোলিত হলে তাদের সাথে তিনিও উঠে দাঁড়াতেন এবং উনারা না বসা পর্যন্ত নিজে বসতেন না। (আল কামিল ফিত তারিখ, ১২/৯৭ পৃ.) (আগামী পর্বে সমাপ্য)
-আছেমী নামদার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৪৬)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৪৫)
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৪৪)
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৪৩) শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা যখন যা আদেশ করবেন তখন তা পালন করাই মুরীদের জন্য সন্তুষ্টি লাভের কারণ
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইলমে তাছাউফ
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র নক্শবন্দিয়ায়ে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যামানার মূল নায়িবে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে তায়াল্লুক-নিসবত ব্যতীত খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক রাখার দাবি বাতুলতার নামান্তর:
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ক্বাদিরিয়া তরীক্বার শাজরা শরীফ
২৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইলমে তাছাউফ
১৭ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












