তা’লীমুল মাসায়িল (১১)
, ০৫ই রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ৩০ রবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পানি সম্পর্কিত মাসায়িল
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৭. যে পানির মধ্যে কোনো পাক জিনিস পড়ায় তার রং, গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে গেছে, কিন্তু ওই জিনিস ওই পানিতে রান্না করা হয়নি, আর পানির তরলতা দূর হয়ে গাঢ়ও হয়ে যায়নি।
যেমন- বর্ষাকালে নদীর পানির সাথে বালু মিশ্রিত হয়ে থাকে বা পানির মধ্যে জাফরান পড়ে সামান্য কিছু রঙ্গিন হয়ে গেছে কিংবা সাবান বা অনুরূপ কোনো জিনিস পড়েছে। এসব পানির দ্বারা অজু-গোসল জায়িয হবে না।
৮. যদি কোনো জিনিস পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করায় পানির রং, গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়, তবে সে পানি দ্বারা অজু-গোসল জায়িয হবে না। যদি এমন কোনো জিনিস সিদ্ধ করে থাকে যে, তার দ্বারা ময়লা পরিষ্কার করা হয়, আর সে জিনিস সিদ্ধ করার কারণে পানি গাঢ়ও হয়নি, এবং পানির রং গন্ধ ও স্বাধ পরিবর্তন হয়নি। তবে সে পানির দ্বারা অজু-গোসল জায়িয আছে। যেমন- মুর্দাকে গোসল দেয়ার জন্য কুলপাতা দিয়ে পানি সিদ্ধ করা হয়ে থাকে, এতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু যদি পাতা এত বেশি দেয় যে, পানি গাঢ় হয়ে যায়, তবে সে পানি দ্বারা অজু-গোসল জায়িয হবে না।
৯. পানিতে কাদা অথবা চুন পতিত হয়ে পানির গুণ পরিবর্তন হয়ে গেলে যদি তরল থাকে ও পানির অংশ বেশি থাকে, তবে অজু-গোসল জায়িয হবে। আর কাদার ন্যায় গাঢ় হলে জায়িয হবে না। দুধ মিশ্রিত পানির রং কিংবা স্বাদ পরিবর্তন হলে, তা দ্বারা অজু-গোসল জায়িয হবে না। আর যদি এত অল্প পড়ে যে, দুধের রং দেখা যায় না, তবে জায়িয হবে।
১০. মশা-মাছি, বোলতা-ভিমরুল, বিচ্ছু ইত্যাদি ধরনের প্রাণী পানিতে মরে থাকলে বা বাইরে মরে পানিতে পড়লে, তাতে পানি নাপাক হয় না। আর যেসব প্রাণী পানিতে পয়দা হয় না, কিন্তু পানিতে বাস করে, সেসব প্রাণী পানিতে মরলে বা বাইরে মরে পানিতে পড়লে, পানি নাপাক হয়ে যায়। যেমন- হাঁস, পানকৌড়ি ইত্যাদি।
১১. যেসব প্রাণী পানিতে পয়দা হয় এবং পানিতেই থাকে, সেসব প্রাণী পানিতে মরলে তাতে পানি নাপাক হয় না। যেমন- মাছ, ব্যাঙ, কচ্ছপ, কাঁকড়া ইত্যাদি। ব্যাঙ শুকনার হোক বা পানির হোক উভয়ের একই হুকুম। ব্যাঙ, কচ্ছপ ইত্যাদি পানিতে মরে যদি পঁচে গলেও যায়, তবুও পানি পাক থাকবে। তবে এরকম পানি পান করা বা তা দ্বারা খাদ্য পাকানো জায়িয হবে না। কিন্তু অজু-গোসল জায়িয আছে, যদি পানির ছিফত নষ্ট না হয়।
১২. শূকর ব্যতীত অন্যান্য মৃত জন্তুর পশম, শিং, হাড় ও দাঁত পাক। তা যদি পানিতে পড়ে, পানি নাপাক হয় না। কিন্তু যদি হাড় বা দাঁতে কিছু চর্বি কিংবা গোশত লাগা থাকে এবং তা পানিতে পড়লে, পানি নাপাক হয়ে যাবে।
১৩. যদি পানি এত গরম হয় যে, তা ব্যবহারে শ্বেতকুষ্ঠ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সে পানি ব্যবহার করা জায়িয হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (৩)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (২)
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ-মহিলা সবার জন্য ফরজ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত মুবারক করা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর জন্য ফরযে আইন
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার ছহীহ তাফসীর- ০১
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












