ঘটনা থেকে শিক্ষা
দুনিয়ার মুহব্বত তরক করে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে গরক থাকাটাই মু’মিন মুসলমানের কর্তব্য
, ২৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
একদিন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটা গোল চক্কর দিলেন। একটা দায়রা আঁকলেন। এঁকে মধ্যে একটা পয়েন্ট দিলেন, এর থেকে কিছু রেখা আঁকলেন, সেই চক্কর থেকে অনেক লম্বা। যখন আঁকলেন তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা আপনি কি আঁকলেন? আমরা বুঝতে পারলাম না। তখন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, “এই পয়েন্ট যেটা দেয়া হয়েছে, সেটা হচ্ছে- মানুষের জন্ম স্থান। আর আমি গোল চক্কর যেটা দিয়েছি, সেটা তার মৃত্যুর স্থান। অর্থাৎ তার হায়াত এতটুকু। আর লম্বা লম্বা যে রেখাগুলি আমি দিয়েছি, এটা তার লম্বা লম্বা আশা- আকাঙ্খা। সে মনে করে এটা করবে, সেটা করবে ইত্যাদি ইত্যাদি সে করবে। কিন্তু এক সময় তার মৃত্যু এসে যাবে। যার কারণে তার সেই লম্বা আশাগুলি আর কখনোই পুরা হবে না। সে আশা নিয়েই থাকবে। কিন্তু তার লম্বা আশাগুলি কখনোই পূরণ হবে না। তার মৃত্যু এক সময় তাকে পাকড়াও করে ফেলবে। ”
কাজেই মৃত্যু আসার পূর্বেই নিজের আমল, নিজের আখলাক এবং দুনিয়ার মুহব্বত তরক করে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে গরক হয়ে যেতে হবে।
উম্মতকে নছীহত দানের লক্ষ্যে ও সহজে বুঝার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দায়রা এঁকেছেন। দুনিয়াতে যে যত বড় বড় আশা-আকাঙ্খা নিয়েই থাকুক না কেন, এক সময় মৃত্যু এসে তার সেই আশা-আকাঙ্খাকে ধুলিসাৎ করে দিবে। কাজেই সময় থাকতেই দুনিয়াবী আশা-আকাঙ্খার দিকে মনোযোগ না দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার মহাম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রেজামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের আশা-আকাঙ্খা করতে হবে। উনাদের মুহব্বত-মা’রিফত, রেজামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের কোশেশে প্রতিটি সময়কে কাজে লাগাতে হবে। দুনিয়ার মুহব্বত ত্যাগ করে খালিছভাবে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিল করার জন্য যা যা প্রয়োজন, সবই করতে হবে। তাহলে উনাদের হাক্বীক্বী নিছবত-কুরবত মুবারক হাছিল করা সম্ভব।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ছোহবত মুবারক গ্রহণের ফাযায়িল-ফযীলত, গুরুত্ব-তাৎপর্য ও আবশ্যকতা:
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দা করায় না সে দাইয়ূছ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাক্বীক্বী মৃত্যুকে স্মরণ করার মধ্যেই শহীদী দরজা মিলে
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত আব্বাদ ইবনে বিশর ইবনে ওয়াকাশ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৩)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা কবীরা গুনাহ ও অসন্তুষ্টির কারণ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বক্ষেত্রে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে নেয়াই ঈমানদারের পরিচয়
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












