দুনিয়ার মুহব্বত ত্যাগ করা খুবই জরুরী
, ০৪ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহিলাদের পাতা
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব মাহবুব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “দেখ- আমি দু’টো নসীহত তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি। একটা হচ্ছে- কথা বলে, আর একটা কথা বলেনা। যেটা কথা বলে সেটা হচ্ছে- পবিত্র কুরআন শরীফ। পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে পড়ে নসীহত হাছিল করবে। আর যেটা কথা বলেনা, সেটা হচ্ছে- নির্বাক-মৃত্যু, কথা বলেনা। মৃত্যু দেখে দেখে নসীহত হাছিল করবে। ”
কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তিরই দায়িত্ব হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে পড়ে নসীহত হাছিল করবেন এবং মৃত্যু দেখে দেখে নসীহত হাছিল করবেন, অন্তর থেকে দুনিয়ার মুহব্বত দূর করে দিবেন। কারণ দুনিয়ার মুহব্বত যদি কেউ দূর করে দিতে পারে, তাহলেই ঐ ব্যাক্তির পক্ষে হাক্বীক্বীভাবে মহান আল্লাহ্ পাক উনার পবিত্র মুহব্বত মুবারক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব মাহবুব নূরে মুজাসসাম হযূও পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মুহব্বত মুবারক অর্জন করা সম্ভব। অন্যথায় কখনোই কারো পক্ষে সম্ভব হবেনা। যতই কোশেশ করুক না কেন, দুনিয়ার মুহব্বত দূর না করা পর্যন্ত কারো পক্ষে সেটা হাছিল করা সম্ভব হবেনা। আগে দুনিয়ার মুহব্বত দূর করতে হবে, তারপর তার জন্য কামিয়াবী।
এজন্য বলা হয়েছে, কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, নৌকার নীচে যখন পানি থাকে, তখন সেই নৌকা খুব এতমিনানে চলবে। পানি থাকার কারণে নৌকার সাহায্য হবে। নৌকাটা এতমিনানে চলবে। পানি যখন নৌকার উপরে উঠে যাবে, তখন নৌকাটা ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ নৌকাটা ডুবে যাবে। ঠিক মানুষ যদি দুনিয়ার উপর দিয়ে বিচরণ করে, তবে সে চলতে পারবে। যখন তার অন্তরের মধ্যে দুনিয়া প্রবেশ করবে, তখন সে ধ্বংস হয়ে যাবে। সে যদি দুনিয়ার উপরে বিচরণ করে অর্থাৎ দুনিয়া যদি হাতে রাখে, পকেটে রাখে, তবে দুনিয়ায় সে চলতে পারবে এতমিনানে। কিন্তু যদি সে তার অন্তরের মধ্যে দুনিয়া প্রবেশ করায়ে দেয়, তবে সে নিজে ডুবে যাবে, সে ধ্বংস হয়ে যাবে।
-আহমদ মাশুক মারজান
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












