দেশবাশী এদের শাস্তি চায়
এডমিন, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) বিশেষ প্রতিবেদন

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকার। জানা গেছে, আকমল আলীসহ অন্যান্য রাজাকাররা ৭০ জন পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। তারা এলাকার মা ও বোনদেরকে বেইজ্জতি করেছিল। রাজকাররা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসব অপরাধের জন্য চেয়ারম্যান বিচারক শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাদের বিচার চলছে।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩ বৈশাখ জুমুয়াবার খুব সকালে পাকিস্তানী আর্মি ও রাজাকাররা এ গ্রামে এসে গ্রাম ঘেরাও করে। হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ পেয়ে গ্রামের মানুষের ঘুম থেকে জেগে উঠে। এরপর যুদ্ধাপরাধী আকমল আলী তালুকদার ও তার সঙ্গীয় রাজাকার লাল মিয়া, আনিছ মিয়া, আবদুল মোসাব্বির মিয়া ও পাকিস্তানী আর্মিদের নিয়ে বহু মানুষকে ধরে হীরণ বাবুর পুকুরের পাড়ে নিয়ে যায়। মানুষজন ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন বাড়িতে আরো লোকজন ঢুকে মালামাল লুটপাট করে। ধরে নিয়ে যাওয়াদের অন্যদের হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়।
রাজাকার আকমল আলী, লাল মেম্বার, মোসাব্বিরসহ তাদের সঙ্গীরা লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে ও গুলি করে। রাজাকাররা গ্রাম থেকে তাদের আরো ৬০ থেকে ৭০ জন লোক ধরে নিয়ে আসে। সেখানে গুলি করে ও পিটিয়ে মেরে ফেলে। রাজাকাররা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আগুন দেয়। তারা গ্রামের মহিলাদের বেইজ্জতি করেছিল। ঘটনাস্থলের পুকুরে অনেক লাশ ভাসতে থাকে।