দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয় হয় প্রায় ৯০ কেজি। বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
, ১৯ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) প্রকাশিত 'ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪' অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪.১০ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হয়।
সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে একজন ব্যক্তি বাড়িতে ৭৬ কেজি খাবার নষ্ট করেন, বেলজিয়ামে ৭১ কেজি, নিউজিল্যান্ডে ৬১ কেজি এবং রাশিয়ায় ৩৩ কেজি।
অপরদিকে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
খাদ্যের অপচয় নিয়ে ইউএনইপির ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স শীর্ষক ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর যত খাবার উৎপাদন হয়, তারও একটি বড় অংশ ভাগাড়ে নষ্ট হয়। মূলত; যে কোনো খাদ্য উৎপাদনের শুরু থেকে অর্থাৎ মাঠে শস্য উৎপাদন হোক কিংবা সবজি, ফল, গোশত, ডিম বা দুধ যাই হোক না কেন, তা মানুষের খাবারের প্লেটে যদি না পৌঁছায়, অথবা প্লেটে পৌঁছেও নষ্ট হয়; তবে সাধারণভাবে তাকে খাদ্য অপচয় বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ খাদ্য অপচয় হয় বাংলাদেশে। বছরে বাংলাদেশিরা মাথাপিছু প্রায় ৯০ কেজি খাদ্য অপচয় করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে বছরে এক কোটি ৬ লাখ টন খাদ্য অপচয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে উচ্চ আয়ের পরিবারে এক মাসে মাথাপিছু ২৬ কেজি খাদ্য অপচয় হয়। তুলনামূলক মধ্য এবং নিম্ন আয়ের পরিবারে অপচয় কম হয়।
বাংলাদেশে মূলত কয়েকটি ধাপে বিপুল পরিমাণ খাদ্যের অপচয় হয়। তবে ফসলের ক্ষেত থেকে খাদ্যসামগ্রী বাজারে এসে পৌঁছানোর মধ্যবর্তী পর্যায়ে সবচেয়ে বড় অপচয়টি হয়। এর মধ্যে ফসল তোলার পর্যায়ে এক ধরণের অপচয় হয়, এরপর মজুদ বা সংরক্ষণ করা এবং ব্যাপারীর মাধ্যমে সেটি বাজারজাত করার সময় আরেকবার অপচয় হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যখন বড় শহরে ফসল, সবজি ও ফল, গোশত, ডিম, বা দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আসে তখন আরেক দফায় অপচয় হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শস্যদানা মানে চাল, গম ও ডাল এসব উৎপাদন থেকে মানুষের প্লেট পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই প্রায় ১৮% অপচয় হয়। ফল আর সবজির ক্ষেত্রে অপচয় হয় ১৭-৩২% পর্যন্ত। বার্ষিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ বছরে প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৫ হাজার কোটি টাকা। দেশের জনসংখ্যা যদি ৩০ কোটির বেশি হয় তাহলে বাৎসরিক খাদ্যের চাহিদা ৫ কোটি টন ধরে হিসেব করলে অপচয় হওয়া এ ১ কোটি ৬ লাখ টন দিয়ে দেশের ৬ কোটিরও বেশি মানুষকে ১ বছর খাওয়ানো সম্ভব।
উল্লেখ্য, দেশে যখন প্রতিবছর ৩৫ হাজার কোটি টাকার খাদ্য অপচয় হচ্ছে তখন দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকছে। আর খাবার অপচয় শুধু খাবারের অপচয় না, একই সাথে অর্থ, শ্রম, শক্তির অপচয়।
মূলত, বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন আর ভোক্তার মাঝামাঝি পর্যায়েও অনেক সময় খাবার নষ্ট হয়। হঠাৎ করে কোনো ফসলের দাম বেড়ে গেলে সেটি অনেক সময় বিক্রি কমে যায়। ফল বা সবজি যেহেতু পচনশীল এবং বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত হিমাগারের ব্যবস্থা করা হয়নি তাই এরকম পরিস্থিতিতে খাদ্য নষ্ট হয়। আবার ফসলের দাম কমে গেলেও অনেক সময় কৃষকরা প্রতিবাদস্বরূপ ফসল নষ্ট করে। আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায় ফসলের দাম কমে গেলে কৃষকরা রাস্তায় ফসল ফেলে প্রতিবাদ করে। আবার অনেক বড় বড় খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানি তাদের কাঁচামাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে খুবই খুঁতখুঁতে হয়। এতে দেখা যায় তারা একজন কৃষকের উৎপাদিত সব ফসল না নিয়ে কিছু অংশ নেয়। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনগুলোতে প্রায়ই বলতে শোনা যায় ‘বিশেষভাবে বাছাইকৃত দিয়ে তৈরি’। এই বিশেষভাবে বাছাইয়ের পর বেঁচে যাওয়া ফসল বা ফলগুলোর বেশিরভাগই নষ্ট হয়। আর এভাবেই উৎপাদন পর্যায়ে বা ভোক্তার দ্বারা খাবার নষ্ট বা অপচয় না হয়েও খাবার নষ্ট হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশে যখন প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি টাকা খাদ্য অপচয় হচ্ছে তখন দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষ পুষ্টিহীনতার শিকার। প্রায় ৪৪% নারী রক্তস্বল্পতায় ভোগে। দেশে প্রতি পাঁচজনে একজন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল দুর্গম এলাকার প্রান্তিক মানুষ ও শহরের নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে পুষ্টিহীনতা বেশি।
‘শুধুমাত্র গরীবেরা খাবার পাচ্ছে না বা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে খাবারের অভাবে তাই খাবার অপচয় বন্ধ করা বা কমানো দরকার’ এককভাবে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ, খাবার অপচয় শুধু খাবারের অপচয় না, একই সাথে অর্থ, শ্রম, শক্তির অপচয়। ফসল ফলানো থেকে খাবার কেনা পর্যন্ত প্রচুর মানুষ জড়িত। এতে তারা তাদের অর্থ দেয়, শ্রম দেয়। কিন্তু তাদের দেয়া অর্থ আর শ্রমের খাবার যদি নষ্ট হয় তাহলে সেই অর্থ আর শ্রমও নষ্টই হয় শেষ পর্যন্ত। রান্না করা খাবার তৈরিতেও কিন্তু জ্বালানী ও পানির প্রয়োজন হয়। খাবার যদি নষ্টই হয় শেষ পর্যন্ত তাহলে একই সাথে প্রচুর জ্বালানী নষ্ট হচ্ছে আবার অন্যদিকে খাবার সাথে পানিরও অপচয় হচ্ছে। ফলে একদিকে খাবার যেমন নষ্ট হলো, পরিবেশেরও ক্ষতি হলো।
আমরা মনে করি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই দেশে ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকছে এবং বিপরীতে ১ কোটি ৬ লাখ টন খাদ্যশস্য নষ্ট হবে এটা কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়। সরকারের উচিত হবে খাদ্যশস্যের এই অপচয় রোধে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা। এসব অপচয় রোধ করতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পথ অবলম্বন করা। এছাড়া খাদ্য সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার ধাপগুলোর আধুনিকায়নও করা। এর ফলে খাদ্যপণ্যের অপচয় কমে আসবে। সেই সাথে বর্তমানে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে অপচয় রোধ করে যদি এই বিপুল পরিমাণ খাদ্য রফতানি করা সম্ভব হয় তাহলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রদ্বীন সম্মানিত ইসলাম। কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয় হলো, মুসলিম দেশ হলেও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা কখনই দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ-অনুভূতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেনা। ৩৫ হাজার কোটি টাকার খাদ্য অপচয় হলেও এটি রোধে সরকারের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ লক্ষনীয় নয়। অথচ, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে খাদ্য অপচয় রোধে কঠোর নির্দেশনা মুবারক দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।” পাশাপাশি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “বিনা প্রয়োজনে গাছের একটি পাতাও ছিঁড়ো না।” পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এমনও ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অযু করতে গিয়ে নদীর পানিও বিনা প্রয়োজনে ব্যবহার করা জায়িয নেই।” অথচ দেশের সরকার সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। যা চরম অমানবিকও বটে। কাজেই খাদ্য অপচয়ে ইসলামী অনুভূতি ও অনূশাসন মেনে চলা আবশ্যকীয়।
আমরা মনে করি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই দেশে ৪ কোটি মানুষ সুষম খাদ্যের অভাবে পুষ্টিহীনতায় ভুগবে এবং বিপরীতে ১ কোটি টন খাদ্যশস্য নষ্ট হবে এটা কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়। সরকারের উচিত হবে খাদ্যশস্যের এই অপচয় রোধে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা। এসব অপচয় রোধ করতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পথ অবলম্বন করা। এছাড়া খাদ্য সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার ধাপগুলোর আধুনিকায়নও করা। এর ফলে খাদ্যপণ্যের অপচয় কমে আসবে। সেই সাথে বর্তমানে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে অপচয় রোধ করে যদি এই বিপুল পরিমাাণ খাদ্য রফতানি করা সম্ভব হয় তাহলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হবে।
ফসলের উদ্বৃত্ত উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের জন্য কৃষকদের মাঝে আন্তঃ যোগাযোগ এবং সমন্বয় বাড়ানো যেতে পারে। এটা করা গেলে একদিকে যেমন একই ফসলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তেমনি অন্যদিকে এক ফসলের ঘাটতি অন্য ফসলের দ্বারা মেটানোর মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, ভৌত অবকাঠামো এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারকে অবশ্যই রাস্তাঘাট, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দ্রুত এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তাছাড়া প্রাইভেট সেক্টরকেও সংরক্ষণাগার, হিমাগার এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












