শিশু লালন-পালন/পরিচর্যা:
নবজাতক শিশুর খাবার গ্রহণ ও স্বাভাবিক ওজন
, ২২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
কিছু নবজাতক অন্যদের তুলনায় খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যদি এমন হয়ে থাকে যে, আপনি শুধু তাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তবুও তার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে এমন ভাবার কারণ নেই যে আপনি তাকে বেশি খাওয়াচ্ছেন, কারণ শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়া বাচ্চারা সাধারণত প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুধ খায়না। হতে পারে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি তার ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার একটি চিহ্ন।
যদি আপনার শিশু বোতলের মাধ্যমে ফর্মুলা মিল্ক পান করে থাকে তবে কিছু লক্ষণ আপনাকে বুঝিয়ে দেবে তার পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পান হয়েছে, তাকে আর জোর করতে হবে না। লক্ষণসমূহ হলো:
ঠোঁট বন্ধ করে রাখবে।
চোষা বন্ধ করে দেবে।
নিপলটি মুখ থেকে বের করে দেবে।
মাথা সরিয়ে নেবে।
কখন চিকিৎসকের কাছে নেয়া উচিত?
যদি আপনার শিশুর ইস্তিঞ্জা ত্যাগের পরিমাণ ঠিক থাকে, ঘুম থেকে জাগার পর তাকে সজাগ মনে হয় এবং সে যদি ঠিকভাবে দুধ চুষে খেতে পারে তবে তার ওজন নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। যেসব নবজাতকের বৃদ্ধি ধীরে হয় তারা হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই অন্যান্য স্বাভাবিক বাচ্চাদের মতই ওজন লাভ করবে ঠিক একই ভাবে যাদের ওজন দ্রুত বাড়ে তাদেরও একটা সময় গিয়ে ওজন বৃদ্ধির হার কমে স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।
তবে, নিম্নলিখিত লক্ষন গুলোর কোন একটি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে:
যদি বাচ্চার বয়স ২ সপ্তাহ হওয়ার পরেও জন্মকালীন ওজন ফিরে না আসে।
জন্মকালীন ওজন ফেরত আসার পরেও যদি অস্বাভাবিকভাবে আবার কমে যায়।
ঘুম থেকে উঠার পরেও যদি তাকে অবসন্ন ও ভাবলেশহীন দেখায়।
বোতল বা বুকের দুধ পান কোনটিতেই সে আগ্রহী হচ্ছে না।
দৈর্ঘ্যের তুলনায় ওজন বেশি বৃদ্ধি পাওয়া বা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবনতা দেখা দেওয়া।
আপনার যদি নবজাতকের ওজন সম্পর্কে কোন সংশয় বা প্রশ্ন থাকে তবে শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না। এই সমস্ত বিষয়গুলো আপনার শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের অংশ এবং সময়ের সাথে স্থিতিশীল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে সন্তানদের শিশুকাল থেকেই সঠিক পরিচর্যা করে গড়ে তুলার তাওফিক দান করেন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












