নারীদের পর্দা পালন তথা বোরকা-হিজাবের বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভূমিকায় ফ্রান্সসহ ইসলামবিদ্বেষী দেশগুলো
, ১৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৩ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০৯ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহিলাদের পাতা
পশ্চিমা নাগরিকদের মধ্যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের হার খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এ অবস্থায় তথাকথিত গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষার দাবিদার পশ্চিমা সরকারগুলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি নানা ঠুনকো অজুহাতে পাশ্চাত্যের মুসলমান নাগরিকদের দ্বীন পালনের অধিকারগুলো লংঘন করছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমা সরকারগুলোর মধ্যে ফরাসি সরকার সবচেয়ে বিদ্বেষী প্রতিহিংসামূলক আচরণ প্রকাশ করছে। প্যারিস নারী অধিকারের কথিত সমর্থক হবার দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে মুসলিম নারীগণ ফরাসি সরকারের বৈষম্যমূলক নীতির শিকার হচ্ছে।
ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ২০১০ সালের ফ্রান্স বোরকা নিষিদ্ধ করার আইন কার্যকর করে। এ আইন অনুযায়ী ফরাসি পুলিশ ঘরের বাইরে বোরকা বা হিজাব পরা মুসলিম মহিলাদের ১৫০ ইউরো জরিমানা করতে পারে। এ ছাড়াও এ আইন অনুযায়ী যেসব পুরুষ তাদের স্ত্রী বা বোনকে পর্দা বা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শালীন পোশাক পরতে বাধ্য করবে তাদেরকেও এক বছরের কারাদ- ও ত্রিশ হাজার ইউরো জরিমানা করতে পারে।
এর আগে ফরাসি সংসদ ২০০৪ সালে শিক্ষাঙ্গনে পর্দানশীন মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
প্যারিস ১৯৮৩ সালে নারীর প্রতি বৈষম্য বিরোধী কনভেনশনে যোগ দেয়। ওই কনভেনশনের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘হিজাব পরার কারণে কোনো মেয়ে বা নারীকে শিক্ষার সূযোগ এবং যে কোনো ধরনের সামাজিক কর্মকা-ে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখা যাবে না। ’ অথচ ফ্রান্সের বোরকা বা হিজাবধারী মহিলারা সবচেয়ে কঠোর সীমাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সেই মুসলমানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম নারীদের জন্য পর্দানশীন পোশাক পরিধান ফরয করে দিয়েছেন। বোরকা হিজাব নারীকে অসুস্থ মনের পুরুষদের অশালীন দৃষ্টি ও আশোভনীয় আচরণ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু পাশ্চাত্য নারীর স্বাধীনতার নামে সমাজে সৃষ্টি করেছে অশ্লীল অনাচার। এ অবস্থায় দ্বীন ইসলাম উনার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ঠেকানোর জন্য পাশ্চাত্যে দেশগুলো বোরকা নিষিদ্ধ করেছে এবং নারীকে অশালীন জীবনে ডুবিয়ে দ্বীন ইসলাম উনার বিস্তার ঠেকানো সম্ভব যাবে বলে তারা মনে করে।
অষ্টাদশ শতকের কুখ্যাত বৃটিশ গোয়েন্দা ‘হেম্পার’ মুসলিম বিশ্বে নারীকে বেপর্দা করার পশ্চিমা পদক্ষেপের অশুভ উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেছে, “মুসলিম মহিলারা খুবই পর্দানশীন হওয়ায় তাদের মধ্যে অশালীনতা বা ব্যাভিচারের ধারা চালু করা অসম্ভব। এ অবস্থায় মুসলিম মহিলাদেরকে ধোঁকা দিয়ে তাদেরকে পর্দা বা বোরকার আচ্ছাদন থেকে বের করে আনতে হবে। ”
বর্তমান বিশ্বে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, বোরকা বা হিজাব নারীকে নিরাপত্তা দেয়, তাদেরকে দেয় সম্মান এবং আত্মবিশ্বাস। মার্কিন লেখিকা উইন্ডি শিলিট বলেছে, “পাশ্চাত্যের লাগামহীন বা বলগাহীন জীবন-যাপন পদ্ধতি মাত্রাতিরিক্তি উস্কানীমূলক এবং এর ফলে ধ্বসে পড়ছে পরিবার-ব্যবস্থা ও দেখা দিয়েছে আদর্শিক অচলাবস্থা। বর্তমান প্রজন্মের মানুষ এই লাগামহীন স্বাধীনতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এবং তারা স্বাভাবিক মানবীয় প্রকৃতির মাধুর্যের স্বাদ পুণরায় পেতে চায়। ”
তাইতো ফ্রান্সসহ ও পাশ্চাত্যের অনেক দেশে হিজাব বা পর্দার ওপর নানা সীমাবদ্ধতা আরোপ সত্ত্বেও পশ্চিমা নারী সমাজের মধ্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি ও উনার শালীন পোশাকের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
-উম্মু মুযযাম্মিল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মে সুরাইকা দাওসিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা বেমেছাল ফযীলত মুবারকের অধিকারী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দিতে হবে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টির শুরুতেই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক উনার মধ্যে ছিলেন, আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন (৩)
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ক্বলবী যিকির জারী না থাকলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দোযখে বেপর্দা হওয়া নারীদের শাস্তির বর্ণনা (১০)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
জামায়াতের জন্য মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী (৪)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন মুবারক করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদব-শরাফত বজায় রাখতে হবে
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তিন ধরনের লোক বেহেশতে প্রবেশ করবে না
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সর্বাবস্থায় আজল বা তাড়াহুড়া না করে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












